Friday 31 October 2014

বন বিড়ালগুলোর হত্যা দায় কে নিবে ? কর্তৃপক্ষের পদক্ষেপ চাই।

বন বিড়াল দ্রুত দৌড়াতে পারে, পানিতে ভাল সাঁতার কাটতে পারে, গাছে চড়তে পারে, ঝোপ-ঝাড় থেকে প্রায়ই শূণ্যে লাফিয়ে শিকার ধরে। অর্থাৎ জলে স্থলে শূণ্যে সবখানেই সে শিকারে পারদর্শী। প্রথম বন বিড়ালের সাথে আমার দেখা হয় কৈশরে। স্কুলের পুকুর পাড়ের একটি মুরগীর শিকারের দায়ে এলাকাবাসী পানিতে চুবিয়ে বন বিড়ালটিকে হত্যা করা হয়। তারপর আর বন বিড়াল দেখা হয়নি। গত সপ্তাহে ধানমন্ডি বছিলায় এক সৌখিন পশু পালনকারী খাচায় কয়েকটি বন বিড়াল দেখি। তিনি বিড়ালগুলো ধরেছেন বছিলা ও মোহাম্মদপুর বেড়ি বাঁধ এলাকা থেকে। তারপর থেকে তার খাচায় এই শিকারী প্রাণীর বদ্ধ জীবন ঝাপন চলছে। একটা পারদর্শী শিকারী কতটা অসহায় জীবন যাপন করতে পারে তার প্রমাণ মিলে ঐ সৌখিন পশু পালনকারী খামারের গেলে। তার অভিযোগ বিড়ালগুলো তার খামারের মুরগী,কবুতর, নানা প্রজাতির পাখি হত্যা করে । তাই ব্যবসায়ী স্বার্থে তিনি তাদের হত্যা কিংবা আটক করা ছাড়া বিকল্প কিছু করা নেই ।


ছর পাঁচ আগেও বছিলা, মোহাম্মদপুর বেড়ি বাঁধ এলাকায় প্রচুর বন বিড়াল পাওয়া যেত। কিছু আশেপাশের ঝোপঝাড় কেটে ফেলায়, আবাসন কোম্পানীগুলো নদীর তীরের ঘন কাশবনগুগো দখল করে আবাসন প্রকল্প বাস্তাবায়ন করায়। বিড়ালগুলো বাসস্থানের অভাব দেখা দিচ্ছে। কিন্তু এখনও ঢাকা নগরের খুব কাছাকাছি যে বন্যপ্রাণী আছে তার প্রমাণ এই বনবিড়ালগুলো। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় এই বনবিড়ালগুলোর ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ।



এই বন্যপ্রাণী রক্ষায় সরকারে যে প্রতিষ্ঠানটি কাজ করে তাদের একাধিকবার বিভিন্ন সময় জানিয়ে কোন সহযোগিতা পাওয়া যায়নি। কতৃপক্ষের একটি জরুরী সেল ফোন নাম্বার আছে “ বন্যপ্রানী অপরাধ দমন হটলাইন ০১৭৫৫৬৬০০৩৩” ইমেল wccubd@gmail.com গত কয়েকদিনে একাধিক বার তাদের ফোন দিয়ে অপেক্ষায় থাকুন। অপেক্ষায় থাকুন ছাড়া আর কোন উত্তর পাওয়া যায়নি। এই চারটি বন বিড়াল রক্ষায় যদি আমরা প্রতিবারে ন্যায় এবার ও কতৃপক্ষের অবহেলার জন্য ব্যর্থ হই। তবে সভা, সেমিনারে পরিবেশ রক্ষা ভাষণ আর শ্লোগানে গলা ফাটিয়ে চিৎকারই চলবে। বছর শেষে কোটি টাকা ব্যয়ে ছাপানো পুস্তুকে লিখা হবে বন বিড়ালের ছবি, বর্ণনা। আর বিপন্ন তালিকা থেকে মহা বিপন্নের তালিকায় যুক্ত হবে বনবিড়ালের নাম। এক সময় হারিয়ে যাবে বন বিড়াল। আমরা যে প্রাণীগুলো ইতিমধ্যে হারিয়ে ফেলেছি তার দায় কার এই নিয়ে বিস্তর যুক্তি তর্ক থাকবে। কিন্তু এই চারটি বন বিড়াল হত্যার দায় নিসন্দেহে বন্যপ্রানী অপরাধ দমন নিয়ন্ত্রনের নিয়োজিত কতৃপক্ষের। কারণ তাদের দায়িত্বহীন আচরণের জন্যই প্রাণীগুলো উদ্ধার করা সম্ভব হচ্ছে না।


বনবিড়াল বিষয়ক তথ্য: ইন্টারনেট থেকে প্রাপ্ত

বন বিড়ালের বৈজ্ঞানিক নাম Felis chaus Ges এবং ইংরেজি নাম Jungle Cat। দেহের আকার ৬০ সে.মি.ও লেজ ২৬ সে.মি.। দেহের রঙ ধূসর-বাদামী মেশান। গলার নিচের পশম হালকা। দেহের পেছনের অংশে, পায়ে এবং লেজে বেশ কিছু কালো রঙের ডোরাকাটা দাগ আছে। লেজের শেষ প্রান্ত কালো রঙের। চোখের নিচে লম্বা কালো রঙের দাগ আছে। এদের প্রজননকাল ডিসেম্বর থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত।

Saturday 20 September 2014

সরকারের ৮০ ভাগ বনায়ন হচ্ছে ভুলনীতিতে।

একসময় বৃক্ষ সুশোভিত অঞ্চলগুলো আমাদের চাহিদা পূরণ করে জীবনে স্বাচ্ছন্দ্য আনত। দুঃখজনক হলেও সত্যি, আজ আর সেই দিন নেই। বাংলাদেশের আম, কাঁঠাল, সুপারি, নারকেল বাগানের পরিসর ক্রমশ সংকীর্ণতর হতে হতে প্রায় শূন্যের কোঠায় এসে পৌঁছেছে।

ইট, কাঠের আমাদের এই শহরের বৃক্ষের জন্য কোন স্থান নেই। সবাই শুধু অট্টালিকা বানাতে ব্যস্ত। তথাকথিত এই উন্নয়ন আমাদের জীবন ধারানের সবচেয়ে প্রয়োজনীয় উপাদান অক্সিজেনের যোগানদাতা গাছের স্থান নেই। আমাদের অক্সিজেনের যোগানদাতা গাছের পক্ষে আমাদেরকেই লড়তে হবে।
সরকারের ৮০ ভাগ বনায়ন হচ্ছে ভুলনীতিতে। বনায়নের নামে লাগানো হচ্ছে হাইগ্রোথের বিদেশী গাছ। এর মাধ্যমে জীববৈচিত্র রা করা যাবেনা।

৯৭ ভাগ পাখি বাসা বাধে এবং খাবার খায় দেশি গাছে। তাই মনোপলি বাগান করে জীববৈচিত্র রা করা যাবেনা। এগুলোর মধ্যে অনেক এমন প্রজাতি রয়েছে যা পরিবেশের জন্য তিকর ও পানিখেকো বলে পরিচিত, এ গাছ বাতাসে নাইট্রোজেন ছেড়ে দেয়। বিদেশি ইউক্যালিপটাস গাছে মশা-মাছিসহ কোনো কীটপতঙ্গ বসে না। যার ফলে এসব গাছ পাখির খাদ্য ও প্রাণীকুলের আবাসের ওপর খারাপ ফল বয়ে আনে। আকাশমনি গাছের ফুলের পরাগরেণুু বাতাসে ছড়িয়ে অ্যাজমাসহ ফুসফুসের নানা রোগ ছড়ায়। পরিবেশের ভারসাম্য রায় ভৌগোলিক অবস্থান অনুযায়ী গাছ নির্বাচন করা উচিত।

আমাদের ভূমিতে আমদানি করা রাুসে প্রজাতির এসব বিদেশী বৃক্ষের কারণে জীববৈচিত্রের উপর মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। অনেক প্রাণী বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে। এছাড়া জীববৈচিত্র্য তিগ্রস্থ হওয়ায় অধিবাসীদের সামাজিক ও সাংস্কৃতিক জীবন, অর্থনৈতিক উন্নয়নও তিগ্রস্থ হচ্ছে।

দেশীয় জাতের পরিবেশসম্মত বিভিন্ন প্রজাতির গাছের সৃজিত বনায়নে যেমন দেশীয় পীকুল ও প্রাণীকুল রা পাবে তেমনি হারিয়ে যাওয়ার তালিকা থেকে রা করতে পারব আমাদের দেশীয় গাছকে।

Wednesday 6 August 2014

নৌমন্ত্রীর পদত্যাগ উচিত না বে-উচিত?


নৌমন্ত্রীর পদত্যাগ উচিত না বে-উচিত?

৮৫ জনের ধারণ ক্ষমতায় ২০০জন, ফিটনেসবিহীন নৌযানে যাত্রী পরিবহন। এইটাকে কোন ভাবেই দূঘটনা নয়। এইটা পরিকল্পিত হত্যাকান্ড।


এই প্রশ্নটির উত্তরে অনেকেরই ধারনা নৌ মন্ত্রী কি জাহাজ চালায় !  তবে কেন তার দায় নিতে হবে? 



গত দুই দশকের ১৯৯৪ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত এই ২০ বছরে ৬৫৮টি লঞ্চ দুর্ঘটনায় মারা গেছে প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার লোক।  নিখোঁজ আছে  ১৫০০ জন। এই দুই দশকের সকল দায় আপনার নয় মন্ত্রী। কিন্তু মাননীয় আপনার সময়কালে কিছু পরিসংখ্যান  

২০০৯ সালে ৩০৯ জন।
২০১০ সালে ৩৮টি দুর্ঘটনায় ৭০ জন। 
২০১১ সালে ৩৫টি লঞ্চ দুর্ঘটনায় ১৫৬ জন।
২০১২ সালের মার্চে মেঘনায় এমভি শরীয়তপুর-১ ডুবে শতাধিক নিখোঁজ ।       (তবে এক্ষেত্রে কান্টি বোটের দায় এড়াতে পারেন)
২০১৩ সালে ১১টি দূর্ঘটনায় ৪৫০ জন ।
২০১৪ চলমান.......................................

  (তবে এক্ষেত্রে কান্টি বোটের দায় এড়াতে পারেন)

যাত্রীদের নিরাপদ ভ্রমনের দায়িত্ব রাষ্ট্রের। অবহেলার কারণে কারো মৃত্যু হলে তার দায়িত্ব রাষ্ট্রের। আপনি মন্ত্রী হয়েছেন আপনি রাষ্ট্রের জনগণের কাছে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। আপনারা দায়িত্ব নেয়ার সময় শপথ করেছেন, কারো প্রতি অনুরাগ বা বিরাগভাজন না হয়ে, সকল ভয়ভীতির ঊর্ধ্বে থেকে দেশ পরিচালনা প্রতিজ্ঞা করেছেন ।

এখন যদি বিএনপির মালিকানা ফিটনেসবিহীন জাহাজ ডুবে? তবে তার দায় আপনাকেই নিতে হবে। কারণ আমার বিএনপি, জামাত, আওয়ামী মালিকানা কোন ব্যক্তির কাছে আমাদের নিরাপদ নৌ চলাচলের দায়িত্ব অর্পণ করিনি। আমরা আপনার মত একজন বলিষ্ঠ নেতার কাছে আমাদের নিরাপদ নৌ যোগাযোগের দায়িত্ব দিয়েছি। শপথে  আপনি বলেননি যে বিএনপি, জামাত,আওয়ামী মালিকানা নৌযানের দায়িত্ব আপনি নিতে পারবেন না?  সুতরাং  দেশের বিভিন্ন প্রান্তে  নৌ দূঘটনা এবং অবস্থাপনার দায় আপনার কাধেই।  

রাষ্ট্র আপনাকে যে দায়িত্ব দিয়েছে এবং  রাষ্ট্রের কাছে আপনি যে শপথ করেছেন তা রক্ষায় আপনি ব্যর্থ। 


মাননীয় মন্ত্রী বাড়িতে যদি চুরি হয় তবে বাড়ি দারোয়ানকেই দায় নিতে হয়। এটি নিয়ম। চোরের কাছ থেকে সম্পদ রক্ষা দারোয়ানের কাজ। আপনি আমাদের নৌ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল ব্যক্তি।  আপনি এই ঘটনায় কতজনকে চাকুরিচ্যুত করবেন। আর কতজন মালিকে সাজার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবেন তার ভার আপনার উপর। কিন্তু আমরা নিভয়ে বলতে পারি আপনি যে শপথ নিয়ে ছিলেন জনগণের রক্ষায় তা আপনার মন্ত্রণালয় ব্যর্থ হয়েছে। 

সুতরাং এখন সিদ্ধান্ত আপনার উপরে নয়। সিদ্ধান্ত রাষ্ট্রের মালিকের কাছে।  যারা দায়িত্বে ব্যর্থ হয় তাকে কি রাষ্ট্রের মালিক বার বার সুযোগ দিবে? কারণ ২০০৯ থেকে যত দূঘটনা হয়েছে। তার কোনটার দায়ী দোষী ব্যক্তির শাস্তি হয়নি। দোষীদের শাস্তির আওতায় আনতে আপনি ব্যর্থ।


আমার সেই মন্ত্রী চাই,  ”যে  কারো প্রতি অনুরাগ বা বিরাগভাজন না হয়ে, সকল ভয়ভীতির ঊর্ধ্বে রাষ্ট্রের জনগণের স্বার্থে কাজ করবে”। 


আপনার মন্ত্রণালয়ের সিটিজেন চার্ট বলে আমার অধিকার আছে নিরাপদ নৌ যাতায়াতের। আর আপনার দায়বদ্ধতার। 

সিটিজেন চার্ট
এখানে সুস্পষ্টভাবে আপনার প্রতিষ্ঠানের দায়বদ্ধতা আছে। এবং যাত্রী হিসেবে আমাদের নিরাপদ সেবা পাবার অধিকার আছে। যা আপনার প্রতিষ্ঠান দিতে ব্যর্থ  হয়েছে। সুতরাং এর দায় যদি সদরঘাটের কুলি কিংবা মাওনা ঘাটের কোন কর্মকর্তাকে অপসারণের মাঝে নিতে হয়। তবে প্রতি বছর নৌ দূর্ঘটনা ঘটবে। আর এর দায় যদি আপনার মত দায়িত্বশীল ব্যক্তি নেয়। তবেই নৌ মন্ত্রণালয়ে কার্যকর পরিবর্তন আসবে। 

Saturday 14 June 2014

নষ্ট লাশ দেখবালের নষ্ট মানুষগুলো, কোনদিন ধন্যবাদ পেতে পারে না।


গত ২৬ বছর যাবৎ চাকুরী করি ঢাকা মেডিক্যালে । যে লাশ কেউ ধরে না, সেই লাশ আমি ধরি। কোন লাশের হাত থাকে না, মাথা থাকে না।
কোন লাশের তো আবার মা বাপ-ই নাই ।

যে মানুষটা থাকে পরিবারের সব, সেই মানুষের লাশটাও পরিবারের লোকজন ধরতে আসে না। আমরা সেই লাশগুলোকে গোছল দেই। সুগন্ধি মাখি।

আমাদের কোনদিন ধন্যবাদ!
কেউ আসে না এখানে।
ফুল তো দূরের কথা।

আপনারও যে আমাদের কাছে আসবেন না। তাও জানি।
আমরা মানুষ না। আমরা একদল অমানুষ এখানে থাকি | লাশ কাটি, গোছল দেই। আমাদের নিয়ে হাজারো মিথ্যে গল্প মানুষের মুখে মুখে। কেউ যখন আসে তখন এমন ভাব | এ যেন এক নিষিদ্ধ পল্লী। কিন্তু আপনার প্রিয়জন, যার দেহ পচে গেছে তাকে কি আপনি ধরবেন? না ধরবেন না।

আমি তো তার কেউ না। তারপরও আমিই তার দেহ সাজিয়ে দেই। এই নষ্ট লাশ দেখভালের নষ্ট মানুষগুলো কোন ধন্যবাদ পেতে পারে না?

ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের উচুঁ নিচু ভেদাভেদ বাদ দিয়ে। সকল কর্মচারীদের ধন্যবাদ দিতে গিয়েছিলাম আজ আমরা। আসার পথে একজন জিজ্ঞাসা করল কি হচ্ছে এখানে? বললাম সারাজীবন তো মানুষের সেবা দিয়েছেন। আমরা সেবা নিয়েছি। কখনো বলিনি ”ধন্যবাদ আপনাদের, আমাদের সেবা দেওয়ার জন্য “।

নিচু সুরে তিনি জিজ্ঞাস করলেন
কি গিয়েছেন নাকি মর্গের দিকে? আমাদের একটা ফুল দিতে?

আমাদের প্রোগ্রাম শেষ। আমরা সারাদিন মেডিক্যালে কলেজের বিভিন্ন প্রান্তে ছুটেছি ।যাকে পেয়েছি তাকেই ধন্যবাদ জানিয়েছি। কিন্তু সত্যি যাওয়া হয়নি, সেই লাশ কাটা ঘরের মানুষগুলোর কাছে।

আমার সীমাবদ্ধতা, অজ্ঞতার জন্য ক্ষমাপ্রার্থী আগামীতে আপনার কাছেই আমরা যাব সবার আগে। আপনাকে দিয়ে শুরু করব ”ধন্যবাদ আপনাদের, আমাদের সেবা দেওয়ার জন্য”।

আমি এবং আমরা ক্ষমা প্রার্থী।

Wednesday 19 March 2014

বিধিমালা প্রণয়ণে তামাক কোম্পানির হস্তক্ষেপ: আন্তর্জাতিক তামাক নিয়ন্ত্রণ চুক্তির লঙ্ঘন

বিধিমালা প্রণয়ণে তামাক কোম্পানির হস্তক্ষেপ: 
আন্তর্জাতিক তামাক নিয়ন্ত্রণ চুক্তির লঙ্ঘন

Add caption


তামাক কোম্পানিগুলো বিদ্যমান আইন লঙ্ঘণ করে এবং আইন ও বিধিমালা সম্পর্কে বিভ্রান্তি সৃষ্টির মাধ্যমে সরকারের তামাক নিয়ন্ত্রণ কাযর্ক্রমকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। জনস্বাস্থ্য রক্ষায় এ অপচেষ্টা সম্পর্কে সরকারকে সতর্ক থাকতে হবে।  তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের বিধিমালা প্রণয়নে বিলম্ব, নীতিনিধারণী পর্যায়ে বিধিমালা বিষয়ে বিভ্রান্ত প্রচারণা, কোম্পানির আইনভঙ্গ করে বিজ্ঞাপনসহ নানা কাযর্ক্রমের বিষয়ে পর্যবেক্ষনের পরবর্তীতে তামাক নিয়ন্ত্রণ কর্মীরা এই উৎকন্ঠা প্রকাশ করেন। আজ সকালে রিপোর্টার্স ইউনিটিতে বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোট আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা এই অভিমত ব্যক্ত করেন। এছাড়া সম্প্রতিক সময়ে আইন মন্ত্রণালয়ে তামাক কোম্পানির প্রতিনিধিদের নিয়ে তামাক নিয়ন্ত্রণ বিধিমালা বিষয়ক সভার বিষয়েও উৎকন্ঠা প্রকাশ করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন পরিবেশবিদ আবু নাসের খান, ইপসার প্রধান নির্বাহী মো: আরিফুর রহমান, নিরাপদ ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ইবনুল সাইদ রানা, নাটাব এর প্রকল্প সমন্বয়কারী সাগুফতা সুলতানা, এইড এর উপ-কর্মসূচী সমন্বয়কারী নুরুজ্জামান পলাশ এবং বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোটে’র সম্পাদক এডভোকেট সৈয়দ মাহবুবুল আলম প্রমূখ।

আবু নাসের খান বলেন, গত ০৫/০৩/১৪ খ্রিঃ আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা, ২০১৪ -র খসড়ার তামাক কোম্পানিকে সম্পৃক্ত করে অনুষ্ঠিত পর্যলোচনা সভা আন্তর্জাতিক তামাক নিয়ন্ত্রণ চুক্তি এফসিটিসি-র আর্টিকেল ৫.৩-র পরিপন্থী । নীতি প্রণয়নে তামাক কোম্পানির এ ধরনের সম্পৃক্ততা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দেশের ভাবমূর্তিকে ক্ষুন্ন করবে।

আরিফুর রহমান বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে তামাক কোম্পানিগুলো ছোট/বড় দোকানীদের আইনের ভুল ব্যাখা দিয়ে আইন লঙ্ঘনে উৎসাহী করে তামাকজাত দ্রব্যের বিজ্ঞাপন প্রচার করছে। অনেক বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রতিষ্ঠানে তারা সামাজিক দায়বদ্ধতার আদলে তামাকজাত দ্রব্যের প্রচারণা চালাচ্ছে। তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন ২০০৫ প্রণয়নের প্রেক্ষিতে বিজ্ঞাপন বন্ধে যে অর্জন হয়েছিল তা ব্যাহত করতে কোম্পানিগুলো অপচেষ্টা চালাচ্ছে।

সৈয়দ মাহবুবুল বলেন, সংশোধিত আইনে তামাকজাত দ্রব্যের মোড়কে ছবিসহ সতর্কবানী প্রদানের বিধান রয়েছে। যা মানুষকে ধূমপান হতে বিরত থাকতে সহযোগিতা করবে। কিন্তু বিধিমালা চুড়ান্ত করার অভাবে এখনো মোড়কের গায়ে ছবিসহ স্বাস্থ্যসর্তকবানী প্রদান করা সম্ভব হচ্ছে না। আইনে নাটক সিনেমায় ধূমপানের দৃশ্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কিন্তু দেশী ও বিদেশী নাটক-সিনেমায় ধূমপানের দৃশ্য দেখানো হচ্ছে।

ইবনুল সাইদ রানা বলেন, বিদ্যমান আইনে সরকারী-বেসরকারী সকল প্রতিষ্ঠানে ধূমপানমুক্ত সাইন স্থাপন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। আইন অমান্যে ১০০০ টাকা জরিমানার বিধান করা হয়েছে। কিন্তু  অনেক প্রতিষ্ঠানেই এখনো ধূমপানমুক্ত সাইন স্থাপন করা হয়নি। সাগুফতা সুলতানা বলেন, আইনের বিধান বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বিধিমালার মাধ্যমে জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ সেলের সাংগঠনিক কাঠামো তৈরী, কর্মপরিধি নির্ধারণ ও  কর্তৃত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নিয়োগ করা জরুরি।

সংবাদ সম্মেলনে জনস্বাস্থ্য ও দেশের সম্মান রক্ষায় বিধিমালা প্রণয়ন প্রক্রিয়ায় তামাক কোম্পানিগুলো যাতে কোন ধরনের প্রভাব বিস্তার না করতে পারে সে বিষয় জরুরি পদক্ষেপ গ্রহন এবং দ্রুত তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের বিধিমালাটি পাশের দাবি জানানো হয়। 


Thursday 27 February 2014

সমর্থক গোষ্ঠীর অপরিপক্ক দেশপ্রেমের সাথে যদি ধর্ম যোগ হয়। তবে বিদ্বেষ ছড়াতে খেলাধূলা থেকে ভয়ানক কিছু নেই দুনিয়াতে।

এক দেশের সঙ্গে অন্যদেশে খেলাধূলা আয়োজনের অন্যতম উদ্দেশ্য দু দেশের সম্পর্কের উন্নয়ন। দুনিয়াব্যাপী খেলাধূলা আয়োজকদের আয়োজনের এই উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য ব্যাপক পরিবর্তন হয়েছে। এখন পাকিস্তানের ভারত খেলা মানে দুইদেশের বোমারু বিমানগুলো আর একবার রণসাজে যুদ্ধে যাওয়ার প্রস্তুতি।

বাংলাদেশ/পাকিস্তান, ভারত/পাকিস্তানের খেলা মানে ফেবুর পাতায় পাতায় পাকিস্তানের/ভারতের পতাকার উপর মুতে দেশেপ্রেমের প্রকাশ।

যেখানে উদ্দেশ্য ছিল এই খেলাধূলাকে কেন্দ্র করে দুইদেশের মধ্যে সর্ম্পকের উন্নয়ন হবে। সেখানে এই খেলাধূলাকে পুজিঁ করে। রাষ্ট্রের সঙ্গে রাষ্ট্রের যে সর্ম্পকের সূচনা হচ্ছে তাতে ফলাফল রাষ্ট্রগুলোর জাতীয় বাজেটে হাজার কোটি টাকার অস্ত্রের খাত বাড়ার পক্ষে জন সমর্থন বাড়ে।

বছর কয়েক পর যদি খেলার বিরতীর মাঝে বড় বড় অস্ত্র কোম্পানীর বিজ্ঞাপন দেখা যায়। তবে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। কারণ ক্রীড়া আসর মানেই দেশপ্রেম পুজিঁ করে দুদেশের পতাকায় মুতামুতি। যুদ্ধ বিমানের ছুটাছুটির কিংবা আর একটা হিন্দু পরিবার দেশ ছাড়ার প্রস্তুতি।

সমর্থক গোষ্ঠীর অপরিপক্ক দেশপ্রেমের সাথে যদি ধর্ম যোগ হয়। তবে বিদ্বেষ ছড়াতে খেলাধূলা থেকে ভয়ানক কিছু নেই দুনিয়াতে।

Tuesday 25 February 2014

ধানমন্ডিতে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান ॥ জেল ও জরিমানা আদায়

ধানমন্ডিতে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান ॥  জেল ও জরিমানা আদায়



Add caption



তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন লঙ্ঘণ করে সিগারেটের প্রচারণার দায়ে আজ ভ্রাম্যমান আদালত ধানমন্ডির দুটি দোকানে অভিযান চালিয়ে পয়ষট্টি হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে ম্যানেজারকে আটক এবং অবৈধ বিজ্ঞাপন অপসারণ করেছে। ঢাকা জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. শওকত আলী এ ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন।

ধানমন্ডি সাতমসজিদ সড়কে (৪নং সড়কসংলগ্ন) জারুরিয়া সুপারশপে অভিযান চালিয়ে মার্লবোরো সিগারেটের অবৈধ বিজ্ঞাপন প্রদর্শনের অভিযোগে ভ্রাম্যমান আদালত “ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন ২০০৫ (সংশোধিত ২৯ এপ্রিল ২০১৩)” এর ধারা ৫ এর উপধারা ৪ অনুযায়ী পঞ্চাশ হাজার টাকা (৫০,০০০/=) জরিমানা করে। এ সময় জরিমানা অনাদায়ে জারুরিয়া সুপার শপ-এর ব্যবস্থাপক আটক করে ২ মাসের কারাদন্ড প্রদান করা হয়। পরে সরকারী কোষাগারে জরিমানার অর্থ জমা দিলে আটককৃত ম্যানেজারকে ছেড়ে দেয়া হয়।

এছাড়া ধানমন্ডির রবীন্দ্র সরোবর মঞ্চসংলগ্ন ডায়নামিক ফুড কর্নার-এ অভিযান চালিয়ে সিগারেটের অবৈধ বিজ্ঞাপন প্রদর্শনের দায়ে পনের হাজার টাকা (১৫,০০০/=) জরিমানা করা হয়।

ভ্রাম্যমান আদালত এ সময় বিভিন্ন দোকানে সিগারেটসহ তামাকজাত দ্রব্যের অবৈধ বিজ্ঞাপন অপসারণ করে। এ সময় ধানমন্ডি এলাকায় ব্যাপক সাড়া করে। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শওকত আলীর নেতৃত্বে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করার সময় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ধানমন্ডি এলাকার পরিদর্শক নাজমুল হোসেন খান, ধানমন্ডি থানার এস আই শামসুল হক ও মতিউর রহমান, তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়নে ঢাকা জেলা টাস্কফোর্স কমিটির সদস্য ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ (ডাবি¬উবিবি) এর ন্যাশনাল এডভোকেসি অফিসার, সোস্যাল এডভান্সমেন্ট ফোরাম (সাফ) সংস্থার নির্বাহী পরিচালক মীর আবদুর রাজ্জক উপস্থিত ছিলেন।

ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা শেষে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. শওকত আলী বলেন, সরকার জনস্বার্থে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন প্রণয়ন করেছে। কিন্তু কিশোর-তরুণ প্রজন্মকে ধূমপানের নেশায় আসক্ত করার জন্য তামাক কোম্পানিগুলোর প্রলোভনে অন্যায্য মুনাফার লোভে অনেকে আইন লঙ্ঘণ করে প্রচারণা চালাচ্ছে। আইন বাস্তবায়নে সবার সহযোগিতা প্রয়োজন।

ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ (ডাবি¬উবিবি) ট্রাস্ট এর ন্যাশনাল এডভোকেসি অফিসার সৈয়দা অনন্যা রহমান বলেন, তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়নে ঢাকা জেলা প্রশাসনের ভূমিকা ইতিবাচক। তামাক কোম্পানিগুলো আইন লঙ্ঘণ করে প্রচারণা চালাচ্ছে। আইন লঙ্ঘনের তথ্য গণমাধ্যমে তুলে ধরে প্রশাসনকে অবহিত করার ক্ষেত্রে গণমাধ্যম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
ধানমন্ডিতে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান ॥
 জেল ও জরিমানা আদায়

তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন লঙ্ঘণ করে সিগারেটের প্রচারণার দায়ে আজ ভ্রাম্যমান আদালত ধানমন্ডির দুটি দোকানে অভিযান চালিয়ে পয়ষট্টি হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে ম্যানেজারকে আটক এবং অবৈধ বিজ্ঞাপন অপসারণ করেছে। ঢাকা জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. শওকত আলী এ ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন।

ধানমন্ডি সাতমসজিদ সড়কে (৪নং সড়কসংলগ্ন) জারুরিয়া সুপারশপে অভিযান চালিয়ে মার্লবোরো সিগারেটের অবৈধ বিজ্ঞাপন প্রদর্শনের অভিযোগে ভ্রাম্যমান আদালত “ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন ২০০৫ (সংশোধিত ২৯ এপ্রিল ২০১৩)” এর ধারা ৫ এর উপধারা ৪ অনুযায়ী পঞ্চাশ হাজার টাকা (৫০,০০০/=) জরিমানা করে। এ সময় জরিমানা অনাদায়ে জারুরিয়া সুপার শপ-এর ব্যবস্থাপক আটক করে ২ মাসের কারাদন্ড প্রদান করা হয়। পরে সরকারী কোষাগারে জরিমানার অর্থ জমা দিলে আটককৃত ম্যানেজারকে ছেড়ে দেয়া হয়।

এছাড়া ধানমন্ডির রবীন্দ্র সরোবর মঞ্চসংলগ্ন ডায়নামিক ফুড কর্নার-এ অভিযান চালিয়ে সিগারেটের অবৈধ বিজ্ঞাপন প্রদর্শনের দায়ে পনের হাজার টাকা (১৫,০০০/=) জরিমানা করা হয়।

ভ্রাম্যমান আদালত এ সময় বিভিন্ন দোকানে সিগারেটসহ তামাকজাত দ্রব্যের অবৈধ বিজ্ঞাপন অপসারণ করে। এ সময় ধানমন্ডি এলাকায় ব্যাপক সাড়া করে। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শওকত আলীর নেতৃত্বে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করার সময় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ধানমন্ডি এলাকার পরিদর্শক নাজমুল হোসেন খান, ধানমন্ডি থানার এস আই শামসুল হক ও মতিউর রহমান, তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়নে ঢাকা জেলা টাস্কফোর্স কমিটির সদস্য ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ (ডাবি¬উবিবি) এর ন্যাশনাল এডভোকেসি অফিসার, সোস্যাল এডভান্সমেন্ট ফোরাম (সাফ) সংস্থার নির্বাহী পরিচালক মীর আবদুর রাজ্জক উপস্থিত ছিলেন।

ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা শেষে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. শওকত আলী বলেন, সরকার জনস্বার্থে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন প্রণয়ন করেছে। কিন্তু কিশোর-তরুণ প্রজন্মকে ধূমপানের নেশায় আসক্ত করার জন্য তামাক কোম্পানিগুলোর প্রলোভনে অন্যায্য মুনাফার লোভে অনেকে আইন লঙ্ঘণ করে প্রচারণা চালাচ্ছে। আইন বাস্তবায়নে সবার সহযোগিতা প্রয়োজন।

ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ (ডাবি¬উবিবি) ট্রাস্ট এর ন্যাশনাল এডভোকেসি অফিসার সৈয়দা অনন্যা রহমান বলেন, তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়নে ঢাকা জেলা প্রশাসনের ভূমিকা ইতিবাচক। তামাক কোম্পানিগুলো আইন লঙ্ঘণ করে প্রচারণা চালাচ্ছে। আইন লঙ্ঘনের তথ্য গণমাধ্যমে তুলে ধরে প্রশাসনকে অবহিত করার ক্ষেত্রে গণমাধ্যম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।

Monday 17 February 2014

বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন হটলাইন ০১৭৫৫৬৬০০৩৩ সচল করার প্রসঙ্গে।

বরাবর
প্রধান বন সংরক্ষক
বন ভবন, আগারগাঁও
ঢাকা।

বিষয় : বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন হটলাইন ০১৭৫৫৬৬০০৩৩ সচল করার প্রসঙ্গে।

জনাব
শুভেচ্ছা নিবেন।

বন্যপ্রাণী দেশের সম্পদ, জীবন,জীবিকা ও পরিবেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দেশের বন্যপ্রাণী রক্ষায় বন্যপ্রাণী অপরাধ সংক্রান্ত যে কোন তথ্য জানাতে বন অধিদপ্তর ও বিশ্ব ব্যাংক যৌথভাবে  হটলাইন (০১৭৫৫৬৬০০৩৩) নাম্বারে জনগণকে ফোন করুন অথবা ইমেইল করার জন্য অনুরুধ করে একটি স্টিকার প্রকাশ করেছে।

২০ অক্টোবর ২০১৩ বন অধিদপ্তরের আগারগাঁওস্থ বন ভবন থেকে এই স্টিকারটি সংগ্রহ করি। দেশের একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে জনগণকে বন্যপ্রাণী অপরাধ বিষয়ক তথ্য জানানোর অনুরুধ করে এই স্টিকারটি ফেসবুক, ইমেইল, ব্লগসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারনা চালাই। অনেকেই এই স্টিকারটির মধ্যে যে মোবাইল ফোন নাম্বারটি যোগাযোগের জন্য দেওয়া হয়েছে তাতে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে একাধিকবার কল  দিয়ে কাক্ষিত নাম্বারে সংযোগ পায়নি। নাম্বাটিতে কল দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কলটি রিসিভ করার পর বিভিন্ন তথ্যের জন্য বিভিন্ন নাম্বারে চাপুন বলা হয়। উক্ত নাম্বার সমূহে চাপলেই লাইনটি কেটে যায়। ফলে জনগণ সংশ্লিষ্ট্য কর্তব্যরত ব্যক্তিদের বন্যপ্রাণী অপরাধ বিষয়ক তথ্য প্রদানে ব্যর্থ হচ্ছে।
বন্যপ্রাণী সংক্রান্ত অপরাধ দমনে এগিয়ে দেশের সাধারণ জনগণকে সম্পক্তি করতে উক্ত নাম্বারটি সচল করতে প্রয়োজনীর ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য অনুরুধ করছি।

ধন্যবাদসহ

সৈয়দ সাইফুল আলম
পরিবেশকর্মী




সংযুক্তি
বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন হটলাইন বিষয়ক স্টিকার।

অনুলিপি
ক্স সচিব, বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়
ক্স বিশ্ব ব্যাংক

Wednesday 5 February 2014

তামাকজাত দ্রব্যের মোড়কে ছবিসহ স্বাস্থ্য সতর্কবাণীর প্রচলন দ্রুত করতে হবে।


তামাকজাত দ্রব্যের মোড়কে ছবিসহ স্বাস্থ্য সতর্কবাণীর প্রচলন দ্রুত করতে হবে।

মানবদেহে ক্যান্সার সৃষ্টির অন্যতম প্রধান কারণ ধূমপানসহ তামাক ব্যবহার। প্রতিবছর পৃথিবীতে প্রায় ৮২ ল মানুষ ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মারা যায়। বাংলাদেশে প্রতিবছর ১২ ল মানুষ ক্যান্সারসহ তামাক ব্যবহারজনিত প্রধান ৮টি রোগে আক্রান্ত হয়। এর মধ্যে ৫৭ হাজার মানুষ মৃত্যুবরণ করে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গবেষণায় বলা হয়েছে; বিড়ি-সিগারেটসহ তামাকজাত দ্রব্যে প্রায় ৪ হাজারেরও বেশী তিকর রাসায়নিক পদার্থ রয়েছে; যার মধ্যে ৪৩ টি সরাসরি ক্যান্সার সৃষ্টির সঙ্গে জড়িত। ক্যান্সার নিয়ন্ত্রণে তামাকের ব্যবহার কমিয়ে আনা এবং তামাকজাত দ্রব্যের মোড়কে ছবিসহ স্বাস্থ্য সতর্কবাণী থাকা আবশ্যক। 

ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগীর চিকিৎসা খরচ খুবই বেশী। এছাড়া প্রাথমিক অবস্থায় ক্যান্সার সনাক্ত না হলে এ রোগে আক্রান্ত রোগীর চিকিৎসা করেও রোগীকে বাচানো সম্ভব হয় না। তাই চিকিৎসা ব্যবস্থার চাইতে ক্যান্সার প্রতিরোধকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিতে হবে। ক্যান্সারের অন্যতম কারণ তামাক ব্যবহার। এ ল্েয তামাকের ব্যবহার নিরুৎসাহিতকরণ এবং ক্যান্সার প্রতিরোধে বিড়ি-সিগারেটসহ তামাকজাত দ্রব্যের মোড়কে ছবিসহ সতর্কবাণীর প্রচলন দ্রুত করা জরুরি ।

 ক্যান্সার নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজন প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহন করা। এজন্য তিকর তামাক, মাদকের ব্যবহার কমাতে কার্যকর পদপে নিতে হবে। বিড়ি-সিগারেটের প্যাকেটে ছবিসহ সতর্কবাণী প্রচলন দ্রুত করা জরুরি। মাদক ব্যবসা ও চোরাচালানের সঙ্গে জড়িতদের কঠোর সাজা নিশ্চিত করতে হবে। 

ক্যান্সার নিয়ন্ত্রণে সব বয়সী মানুষের শারীরিক পরিশ্রম বাড়াতে হবে। পর্যাপ্ত শারীরিক পরিশ্রম ক্যান্সারের ঝুঁকি হ্রাসে সহায়ক। শহরের সবজায়গায় হাঁটার উপযোগী পরিবেশ তৈরি করতে হবে। মানুষকে শারীরিক পরিশ্রমে উদ্বুদ্ধ করার জন্য উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করতে সরকারের যথাযথ পদপে গ্রহন করতে হবে। ক্যান্সার নিয়ন্ত্রণে মাদকসহ ক্ষতিকর কোমল পানীয়-ফাস্ট ফুড ও জাঙ্ক ফুড সামগ্রীর বিজ্ঞাপন ও প্রচারণা নিষিদ্ধ করতে হবে। এজন্য সরকারকে কঠোর হতে হবে। এছাড়া এসব তিকর সামগ্রীর ওপর উচ্চহারে কর বাড়াতে হবে। 

 ক্যান্সার প্রতিরোধে তামাক ও মাদক ব্যবহার, ফাস্টফুড-জাঙ্কফুড-কোমল পানীয় নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি তাজা শাকসব্জি ও ফলমূল খেতে শিশু-কিশোরসহ সব বয়সী মানুষকে উৎসাহী করে তুলতে হবে। মানুষতে খেলাধুলা, হাঁটা ও সাইকেল চালনায় উৎসাহী করে তুলতে হবে। এজন্য খেলার মাঠ, পার্ক, ফুটপাথের পরিবেশ উন্নত ও সাইকেল লেন গড়ে তোলার প্রতি মনোনিবেশ করতে হবে।