একসময় বৃক্ষ সুশোভিত অঞ্চলগুলো আমাদের চাহিদা পূরণ করে জীবনে
স্বাচ্ছন্দ্য আনত। দুঃখজনক হলেও সত্যি, আজ আর সেই দিন নেই। বাংলাদেশের আম,
কাঁঠাল, সুপারি, নারকেল বাগানের পরিসর ক্রমশ সংকীর্ণতর হতে হতে প্রায়
শূন্যের কোঠায় এসে পৌঁছেছে।
ইট, কাঠের আমাদের এই শহরের
বৃক্ষের জন্য কোন স্থান নেই। সবাই শুধু অট্টালিকা বানাতে ব্যস্ত। তথাকথিত
এই উন্নয়ন আমাদের জীবন ধারানের সবচেয়ে প্রয়োজনীয় উপাদান অক্সিজেনের
যোগানদাতা গাছের স্থান নেই। আমাদের অক্সিজেনের যোগানদাতা গাছের পক্ষে
আমাদেরকেই লড়তে হবে।
সরকারের ৮০ ভাগ বনায়ন হচ্ছে ভুলনীতিতে। বনায়নের
নামে লাগানো হচ্ছে হাইগ্রোথের বিদেশী গাছ। এর মাধ্যমে জীববৈচিত্র রা করা
যাবেনা।
৯৭ ভাগ পাখি বাসা বাধে এবং খাবার খায় দেশি গাছে। তাই মনোপলি বাগান
করে জীববৈচিত্র রা করা যাবেনা। এগুলোর মধ্যে অনেক এমন প্রজাতি রয়েছে যা
পরিবেশের জন্য তিকর ও পানিখেকো বলে পরিচিত, এ গাছ বাতাসে নাইট্রোজেন ছেড়ে
দেয়। বিদেশি ইউক্যালিপটাস গাছে মশা-মাছিসহ কোনো কীটপতঙ্গ বসে না। যার ফলে
এসব গাছ পাখির খাদ্য ও প্রাণীকুলের আবাসের ওপর খারাপ ফল বয়ে আনে। আকাশমনি
গাছের ফুলের পরাগরেণুু বাতাসে ছড়িয়ে অ্যাজমাসহ ফুসফুসের নানা রোগ ছড়ায়।
পরিবেশের ভারসাম্য রায় ভৌগোলিক অবস্থান অনুযায়ী গাছ নির্বাচন করা উচিত।
আমাদের
ভূমিতে আমদানি করা রাুসে প্রজাতির এসব বিদেশী বৃক্ষের কারণে জীববৈচিত্রের
উপর মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। অনেক প্রাণী বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে। এছাড়া
জীববৈচিত্র্য তিগ্রস্থ হওয়ায় অধিবাসীদের সামাজিক ও সাংস্কৃতিক জীবন,
অর্থনৈতিক উন্নয়নও তিগ্রস্থ হচ্ছে।
দেশীয় জাতের পরিবেশসম্মত বিভিন্ন
প্রজাতির গাছের সৃজিত বনায়নে যেমন দেশীয় পীকুল ও প্রাণীকুল রা পাবে তেমনি
হারিয়ে যাওয়ার তালিকা থেকে রা করতে পারব আমাদের দেশীয় গাছকে।