Thursday 24 December 2015

মোবাইল ফোন কোম্পানীর কলচার্জ, ইন্টারনেট চার্জসহ ভ্যাট ও অন্যান্য চার্জ অন্তভুক্ত করে প্যাকেজে প্রকৃত দাম উল্লেখ করা প্রসঙ্গে।

বরাবর
এডভোকেট বেগম তারানা হালিম এমপি
প্রতিমন্ত্রী
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ



বিষয় : মোবাইল ফোন কোম্পানীর কলচার্জ, ইন্টারনেট চার্জসহ ভ্যাট ও অন্যান্য চার্জ অন্তভুক্ত করে প্যাকেজে  প্রকৃত দাম  উল্লেখ করা প্রসঙ্গে।


জনাব
শুভেচ্ছা নিবেন।
দেশের টেলিযোগাযোগ ক্ষেত্রে  ইতিবাচক পরিবর্তন আনার জন্য গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগকে ধন্যবাদ জানাই। টেলিযোগাযোগ ক্ষেত্রের এই উন্নয়ন দেশের তৃণমূল পর্যায়ের মানুষ সুফল ভোগ করছে।  বিভিন্ন মোবাইল কোম্পানী তাদের প্যাকেজে শুধুমাত্র তাদের কল চার্জ উল্লেখ করে। ভ্যাট ও অন্যান্য চার্জ উল্লেখ করে না। ফলে গ্রাহক বিভ্রান্ত হবার সুযোগ থেকে যায়। এক্ষেত্রে সকল চার্জসহ প্যাকেজ ঘোষনা করা কিংবা রিচার্জের পর প্রথমেই সরকারের নিধারিত ভ্যাট ও অন্যান্য চার্জ কেটে নেওয়ার ব্যবস্থাা গ্রহন করা।

কিছু কিছু ক্ষেত্রে সকল চার্জ অন্তভুক্ত করে বিভিন্ন প্যাকেট চালু করা হয়।  যেমন গত কয়েকদিন আগে আমি একটি মোবাইল কোম্পানী ৫০৪ টাকার ইন্টারনেট, এসএমএস, টক টাইমসহ একটি প্যাকেজ কেনার জন্য ৬০০ টাকা রিচার্জ করি। কারণ আমার ধারনা ছিল ৫০৪টাকা প্যাকেজের সাথে ভ্যাটসহ অন্যান্য চার্জ যুক্ত হবে। ৬০০টাকা রিচার্জ করার পর জানতে পারি যে আমি প্যাকেটটি সচল করতে পারব না। কারণ ৫০৪টাকার অতিরিক্ত রিচার্জ করলে প্যাকেজ সচল হবে না।

গ্রাহক অধিকার রক্ষায় আমার সুপারিশ হল । প্রতিবার রির্চাজের পর পরই ভ্যাটসহ অন্যান্য সরকারী চার্জ কেটে ফেলার অনুরোধ করছি। যেমন ৩০০ টাকা রিচার্জে ভ্যাট ১৫% হিসেবে ৪৫ টাকা সরকারী কোষাগারে সয়ংক্রিয়ভাবে জমা হয়ে যাবে। তাহলে প্রকৃত পক্ষে কত টাকা প্রতি মিনিটে কলচার্জ রাখে তা গ্রাহকের কাছে সহজেই সুস্পষ্ট হবে।

গ্রাহক স্বার্থরক্ষায় আপনার প্রতিষ্ঠানের কার্যকর ভূমিকা রাখার আপনি ও আপনার প্রতিষ্ঠানের সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে ধন্যবাদ জানাই।



ধন্যবাদসহ

সৈয়দ সাইফুল আলম
০১৫৫২৪৪২৮১৪


অনুলিপি:

১.    সচিব, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার

Tuesday 15 December 2015

মোবাইল ফোন কোম্পানীর কলচার্জ, ইন্টারনেট চার্জসহ ভ্যাট ও অন্যান্য চার্জ অন্তভুক্ত করে প্যাকেজে প্রকৃত দাম উল্লেখ করা প্রসঙ্গে।

মহাপরিচালক
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর
কারওয়ান বাজার
ঢাকা।



বিষয় : মোবাইল ফোন কোম্পানীর কলচার্জ, ইন্টারনেট চার্জসহ ভ্যাট ও অন্যান্য চার্জ অন্তভুক্ত করে প্যাকেজে  প্রকৃত দাম  উল্লেখ করা প্রসঙ্গে।

জনাব
শুভেচ্ছা নিবেন।
দেশের টেলিযোগাযোগ ক্ষেত্রে  ইতিবাচক পরিবর্তন আনার জন্য গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারকে ধন্যবাদ জানাই। টেলিযোগাযোগ ক্ষেত্রের এই উন্নয়ন দেশের তৃণমূল পর্যায়ের মানুষ সুফল ভোগ করছে।  বিভিন্ন মোবাইল কোম্পানী তাদের প্যাকেজে শুধুমাত্র তাদের কল চার্জ উল্লেখ করে। ভ্যাট ও অন্যান্য চার্জ উল্লেখ করে না। ফলে গ্রাহক বিভ্রান্ত হবার সুযোগ থেকে যায়। এক্ষেত্রে সকল চার্জসহ প্যাকেজ ঘোষনা করা কিংবা রিচার্জের পর প্রথমেই সরকারের নিধারিত ভ্যাট ও অন্যান্য চার্জ কেটে নেওয়ার ব্যবস্থাা গ্রহন করা।

গ্রাহক অধিকার রক্ষায় আমার সুপারিশ হল । প্রতিবার রির্চাজের পর পরই ভ্যাটসহ অন্যান্য সরকারী চার্জ কেটে ফেলার অনুরোধ করছি। যেমন ৩০০ টাকা রিচার্জে ভ্যাট ১৫% হিসেবে ৪৫ টাকা সরকারী কোষাগারে সয়ংক্রিয়ভাবে জমা হয়ে যাবে। তাহলে প্রকৃত পক্ষে কত টাকা প্রতি মিনিটে কলচার্জ রাখে তা গ্রাহকের কাছে সহজেই সুস্পষ্ট হবে।

গ্রাহক স্বার্থরক্ষায় আপনার প্রতিষ্ঠানের কার্যকর ভূমিকা রাখায় আপনি ও আপনার প্রতিষ্ঠানের সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে ধন্যবাদ জানাই।


ধন্যবাদসহ

সৈয়দ সাইফুল আলম
০১৫৫২৪৪২৮১৪

Tuesday 29 September 2015

এখনো বুড়িগঙ্গার সব রূপ হারিয়ে যায়নি।



এখনো বুড়িগঙ্গার সব রূপ হারিয়ে যায়নি।

গত ২৯ সেপ্টেম্বর ছিল নদী দিবস। এই দিনে নদীকে নিয়ে ভালবাসা অথবা নদীকে ভালবাসে দুনিয়াব্যাপী কোটি মানুষ নদীর পক্ষে লড়াই করতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয় মনে প্রাণে। নদীর প্রতি ভালবাসার এই দিবসে কয়েকজন নদী প্রেমিকের সাথে গিয়েছিলাম বুড়িগঙ্গা নদীর তীর ঘেষা রাজধানীর একমাত্র জেলে পল্লীতে।

বুড়িগঙ্গায় অক্সিজেনের মাত্রা কত? বিষাক্ত গ্যাস কোনটা কত আছে? কোথায় কি দূষণ হচ্ছে? নদী নিয়ে দূর্ণীতি হাজারো সংবাদ পড়ি এই নদীটাকে নিয়ে। কিন্তু বুড়িগঙ্গার আরো অনেক রূপ আছে। কাশফুল, বক, মাছরাঙ্গা, পাল তোলা নৌকা, জেলে,মাঝি, নদীকে ঘিরে কতসব উৎসব যে এখনো টিকে আছে তা অজানাই রয়ে গেল।  আজ জানাব নদীর অন্যরূপ। অন্য একদল মানুষের কথা যারা এখনো এই নদী নিভর। তাদের জীবন জীবিকা এই নদীকে ঘিরে। প্রতিনিয়ত সংগ্রামের পাশাপাশি  তারা স্বপ্ন দেখে আবারও এই নদীটায় বর্ষায় রুই,কাতল, বোয়াল, পুঁটি ধরা পড়বে ঝাঁকে ঝাঁকে। শীতকালে বাড়া/ঝাপ (গাছের ডাল-পালা দিয়ে নদীতে মাছ ধরার ফাঁদ ) থেকে আবারও শিং,মাগুর,কৈ, বাইম ধরা পরবে। এখনো বর্ষায় এই নদী যাদের জীবিকা নির্বাহের অন্যতম উৎস। বুড়িগঙ্গার জলেই যাদের ঘরের অধিকাংশ কাজ চলে। সেই মানুষদের গল্প দেখতে আর শুনতে বুড়িগঙ্গা রিভার কিপার শরীফ জামিল ভাই আজ নদী দিবসে আয়োজন করে জেলেদের সাথে আড্ডা। বুড়িগঙ্গার পাড়ে জেলেদের জেলে পেশায় টিকে থাকার গল্প শুনে আপনিও অবাক হবেন। এত দূষিত নদীতে কি মাছ থাকে? এই শহরে এখনো কি করে শত বছরের জেলে পাড়ার লোকগুলো তাদের পেশায় টিকে আছে?

গ্রামের তরুণরা তাদের প্রবীণদের কাছ থেকে এই নদীর অনেক গল্প শুনেছে। কে কত বড় মাছ ধরেছে এই নদী থেকে। জেলে পাড়ার মানিক রাজবংশী গর্বের সাথে বলেন এক যুগ আগেও মাছে ভরে যেত নৌকা। তিনি জানালেন বছর কয়েক আগেও এই পল্লীতে অসংখ্য জেলে-জাল-নৌকা ছিল।  মানুষগুলোর মাছ ধরা-কেনা-বেচাই ছিল প্রধান পেশা। বেপারীরা অগ্রিম টাকা দিয়ে যেত। ফরিদপুর, পাবনা থেকে লোক আসত এই পল্লীতে রোজ কামলা খাটতে। গেল বছর শেষবারের মত এসেছিল লোক। এই বছর আসে নদীতে মাছ নেই। তাছাড়া সারা রাত খেটে পাওয়া যায় জন প্রতি পঞ্চাশ থেকে দুইশ টাকা। 

 এখন ডিপজল, সোয়ারি ঘাট, কারওয়ান বাজার, নিউ মার্কেট থেকে পাইকারী বাজার থেকে মাছ কিনে রায়ের বাজারে বিক্রি করে। অনেকে ভিটে-বাড়ী বিক্রি করে কলকাতায় চলে গেছে। যারা গেছে তাদের তালিকায় নিজের পরিবারের লোকও আছে। কিন্তু আমি যেতে পারিনি।
বাপ-দাদা চৌদ্দ পুরুষের ভিটা।
শুধু যে ভিটার টানে থাকি তা নয়।
নদীর প্রতি একটা টান পরে গেছে
কয়েকবার যেতেও চেয়েছি। মন সায় দেয় না। শান্তি পাই না।  কেন জানি মনে হয়। নদীতে আবারও মাছ পরবে। আমি নৌকা,জাল সব বিক্রি করে দিয়েছি বেপারিরে দেনা শোধ দিতে। তবে মাছ পড়লেই আবার জাল নিব। মাছ কিনে বিক্রি করে সুখ নাই। মাছ ধরে বিক্রি করাতে আলাদা আনন্দ আছে।

সন্ধ্যায় নদীতে দেখা হল সুবল রাজবংশীর সাথে। সে এখনো প্রতিরাতে মাছ ধরতে যায় নদীতে। তার মত আরো সাতটি নৌকা টিকে আছে এই জেলে পাড়ায়। সন্ধ্যার পর তারা আটজনের দল যায় নদীতে। সারা রাত মাছ ধরে সকালে বেপারীরা মাছ বিক্রি করে রায়ের বাজারের। মাছের পরিমাণ এখন খুবই কম তবুও বাপ দাদা পেশাটা আকড়ে ধরে আছে।

কাল সারা বিকেল জেলেদের সাথে আড্ডার পাশাপাশি উপভোগ করলাম বুড়িগঙ্গার অন্য রূপ। বর্ষায় কিন্তু জেলে পাড়াটা পুরো ভিন্ন রূপ ধারণ করে।  নদীর তীর ঘেষে কাশ ফুল। সারি সারি মাছ ধরার নৌকা, তীরে ছাড়ানো মাছ ধরার জাল, সচ্ছ পানি কি নেই এই নদীতে? এই সবই এখনো অল্প পরিসরে হলেও দেখা যাবে বুড়িগঙ্গার তীরের জেলে পাড়াতে। শুধু পাওয়া যাবে না বর্ষার এই সচ্ছ জলে মাছ। কিন্তু মাছ ধরাই যাদের চৌদ্দপুরুষের পেশা,নেশা। তাদের জন্য নদীর অথ অনেক বিস্তৃণ। নদী তাদের কাছে সুখ-দু:খ, আনন্দ-বেদনা, জীবন-জীবিকা, উৎসব আরো কত কি । তাই তো সুবলের কন্ঠে যতই কাল হোক নদীর জল এই নদীকে ঘৃণা করি কি করে। এখনো তো তার কৃপায় বেচে আছি।


সন্ধ্যার পর পর আমরা চলে আসছি মেঠো পথ ধরে, উদ্দ্যেশ বসিলার প্রধান সড়ক থেকে গাড়িতে উঠব। জেলে পাড়ার নারী-পুরুষ, বাচ্চারা গাড়ি পযর্ন্ত এগিয়ে দিয়ে গেল। গাড়িতে উঠার আগ মূহুর্তে এক বয়স্ক লোক শরীফ ভাইয়ের হাত চেপে ধরল। বাপ নদীটারে আগের মত করে দাও। মরার আগে আমি নদীটারে আগের মত দেখতে চাই। নদীর জন্য মানুষটা কাঁদছে। এই জেলের চোখের জল শুধু কি নদীর জন্য। নাকি নদী কেন্দ্রিক তার ভালবাসা, যে ভালবাসার জন্য সবাই চলে যাওয়ার পরও বৃদ্ধ ভিটে বাড়ি বিক্রি করে যায়নি।

বুড়িগঙ্গাকে ঘিরে জেলে পল্লীর এই জেলে পরিবারগুলো সুখ-দুঃখের কথা কখনো কোন নীতি নিধারনীর সভা সমাবেশে আলোচনা হবে না। কিন্তু আমরা যারা নদী নিয়ে কথা বলি, পরিকল্পনা করি, নদীকে ভালবাসি তাদের কাছে অনুরোধ একবার এই বর্ষায় সময় করে ঘুরে আসুন বছিলার জেলে পল্লী থেকে। নদী ঘিরে চলা এই মানুষগুলোর কাছে থেকে অনুপ্রেরণা পাবেন। ভালবাসতে পারবেন নদীকে, লড়তে পারবেন নদীর জন্য আরো শক্ত করে।

সৈয়দ সাইফুল আলম
পরিবেশকর্মী
shovan1209@yahoo.com

Monday 14 September 2015

“গুটি কয়েক ব্যক্তি আর প্রতিষ্ঠান নদী দূষণ দখলে দায়ী ভয় ভীতির উর্ধ্বে বৃহৎ স্বার্থে রাষ্ট্রের এদের নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।”

“গুটি কয়েক ব্যক্তি আর প্রতিষ্ঠান নদী দূষণ দখলে দায়ী
 ভয় ভীতির উর্ধ্বে বৃহৎ স্বার্থে রাষ্ট্রের এদের নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।”


আইন আছে, আদালতের নির্দেশনা আছে। তবে আইনকে শ্রদ্ধা না করে গুটি কয়েক ব্যক্তি আর প্রতিষ্ঠান নদী দূষণ ও দখল করছে। তাদের বিরুদ্ধে সবাইকে সম্মিলিত ভাবে রুখে দাড়াতে হবে।  নদী পাড়ের সকল মানুষই নদীর রক্ষক তথা রিভার কিপার হিসেবে কাজ করবে। আমরা সবাই মিলে আমাদের নদী বাঁচাব। দুষণমুক্ত রাখব সরা বছর সাতার উপযোগী রাখব। কারণ নদী না বাঁচলে নগর, সভ্যতা জীবন কিছুই বাঁচবেনা।

 আমাদের সন্তানেরা এখন কম্পিউটারে নদী দেখে। সুইমিংপুলে সাতার শেখে। যা ভীষণ কষ্ট দেয় মনে। সম্প্রতি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নদীর নাব্যতা রক্ষার যে নির্দেশ দিয়েছেন তার দ্রুত বাস্তবায়ন দেখতে চান তত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক এ উপদেষ্টা।

 বুড়িগঙ্গার সীমানা পিলার দেখে মনে হল নদীর পাড় আর নেই। অনেক পিলারই স্থাপন করা হয়েছে নদীর মাঝে।  নদীকে দখল ও দূষণমুক্ত করার রাজনৈতিক সদিচ্ছারও ঘাটতি আছে। রাজনৈতিক সদিচ্ছাকে জনমুখি করতে নদীপাড়ের মানুষের জোরালো ভূমিকা রাখতে পারেন।

 নিউইয়র্কের হাডসন ও টেমস নদীপাড়ের মানুষেরা যেভাবে একতাবদ্ধ হয়ে নদীকে দূষণমুক্ত করেছে আমাদেরকেও তাই করতে হবে। গাজী আশরাফ লিপু বলেন,  আগামী নির্বাচনের ইশতেহারে ঢাকার পাশের নদী দূষণমুক্ত করার কথা যুক্ত করতে হবে।

Tuesday 5 May 2015

ধর্ম নিয়ে শুধু মোল্লারাই ব্যবসা করে ? তবে এরা কারা?


বুড়িগঙ্গা দ্বিতীয় চ্যানেল বা আদি বুড়িগঙ্গার বিশাল অংশ ভরাট করে গড়ে উঠেছে ম্যাটাডোর কারাখানা। সেই কারখানার দখলের বৈধ্যতা দিতে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত মসজিদ।

ধর্ম নিয়ে শুধু মোল্লারাই ব্যবসা করে ? তবে এরা কারা?

Friday 3 April 2015

রেলের ভাড়া বৃদ্ধি নয়, সেবার মান বাড়াও

রেলের ভাড়া বৃদ্ধি নয়, সেবার মান বাড়াও


৩ এপ্রিল ২০১৫ জাতীয় প্রেসকাব, ঢাকায় নিরাপদ ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন এর উদ্যোগে রেলের ভাড়া বৃদ্ধি নয়, সেবার মান বাড়াও দাবিতে এবং রেলের ভাড়া বৃদ্ধির প্রতিবাদে নাগরিক সমাবেশ অনুষ্টিত হয়।
এডভোকেট সুলতান মাহমুদ বান্না‘র সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন এনডিএফ এর চেয়ারম্যান ইবনুল সাঈদ রানা, সম্মিলিত জলাধার রা আন্দোলনের সদস্যসচিব মশিউর রহমান রুবেল, স্বদেশ মৃত্তিকা মানব উন্নয়ন সংস্থার সভাপতি আকবর হোসেন, নিরাপদ ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন এর ডিরেক্টর আলাউদ্দিন, এসইএল ভলান্টিয়ার্স এর সদস্য হারেজ আলী, কামাল হোসেন, রেজাউল করিম, সানবিন ইসলাম, আমেনা ইয়াসমিন ইতি, ওমড় ফারুক, মুহাইমিনুল ইসলাম লিমন, কামরুল হাসান ফরাজি ইয়াসির আরাফাত এবং নিরাপদ ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশনের সদস্যবৃন্দ প্রমূখ। সভায় সভাপতিত্ব করেণ পিস এর সমাসচিব ইফমা হোসাইন।

সভায় বক্তারা বলেন রেলের ভাড়া বৃদ্ধি রেলের যাত্রীদের অন্যপথে চলায় বাধ্য করবে।  রেলের ভাড়া বাড়ানো নয়, সেবার মান বাড়ানো হউক, রেলের অপচয়, দূর্নিতি অব্যবস্থাপনা দূর করার উদ্যোগ নেয়া হউক। রাষ্ট্রের সেবা প্রতিষ্ঠান রেল, এটা বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান নয়, এটার লাভ লোকসান বর্ণনার প্রয়োজন নেই, প্রয়োজন সেবার মান বৃদ্ধি। 

সেবার মান বাড়ানো ও লোকসান কমানোর অজুহাতে রেলের ভাড়া বাড়ানোর উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। যাহা রেল এর সুনাম নষ্ট করার জন্য আরোও একবার চেষ্টা। আবারো বাড়ানো হচ্ছে রেল ভাড়া। ইতিপূর্বে আড়াই বছর আগে একবার রেলের ভাড়া বাড়ানো হয়েছে।  পান্তরে বাড়েনি কোন সেবার মান। বেড়েছে টিকেট কালোবাজারী, বেড়েছে রেলের উন্নয়নের নামে পুকুরচুড়ি। নতুন করে ভাড়া বাড়ানোর েেত্র যুক্তি দেখানো হচ্ছে- প্রতিবেশী দেশের তুলনায় এদেশে রেলের ভাড়া কম। এজন্য রুট ও ট্রেন ভেদে ১০ থেকে ১৫ শতাংশ ভাড়া বাড়ানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। তাছাড়া রেলে পণ্য ও কনটেইনার পরিবহনে ভাড়া ১৫ শতাংশ  পার্সেল পরিবহনে ক্ষেত্রে ১০ শতাংশ ভাড়া বাড়ানো পায়তারা চলছে। ইতিপূর্বে বিগত ২০১২ সালের অক্টোবরে রেলের যাত্রী ও পণ্য উভয় ক্ষেত্রেই ৫০ শতাংশ ভাড়া বাড়ানো হয়। যদিও বিভিন্ন যাত্রীবাহী ট্রেনে ভাড়ায় ছাড় তুলে দেয়ায় প্রকৃতপে ভাড়া বেড়ে যায় ৭০ থেকে ১১০ ভাগ। যার ফলে রেলে যাত্রী ও পণ্য পরিবহন কমে যায়, এতে তিগ্রস্ত হয় রেলের সুনাম।

২০১২ সালের অক্টোবরে রেলের ভাড়া বাড়ানোর ক্ষেত্রে যাত্রী পরিবহন ভাড়া কিলোমিটার প্রতি ২৪ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ৩৬ পয়সা করা হয়েছিল। নতুনভাবে ভাড়া বাড়ানোর ক্ষেত্রে তা বাড়িয়ে ৪০ পয়সার করা হচ্ছে। নতুন করে ভাড়া বাড়ানোর পরও এদেশের রেল ভাড়া প্রতিবেশী ভারতের চেয়ে কমই থাকবে বলে দাবি করছেন রেল সংশ্লিষ্টরা, যা প্রশ্নবিদ্য। আমাদের প্রশ্ন প্রতিবেশী দেশের তুলনায় আমাদের রেলের সেবার মান বৃদ্ধি পাচ্ছে কতটুকু?

সভায় সরকারের প্রতি দাবি করা হয়
১। রেলের ভাড়া বৃদ্ধি নয়, সেবার মান বাড়াও
২। রেলের আসন, বগি (কোচ) বাড়াও, ট্রিপ বাড়াও
৩। প্রতিটি লাইনে ট্রেন সংখ্যা বাড়াও
৪। প্রতিটি ষ্টেশন  টয়লেট, বিশ্রামাগার পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখার উদ্যোগ নাও
৫। সারা দেশে নতুন করে রেল লাইন স্থাপনের উদ্যোগ নাও
৬। ট্রেনের সময়সূচী ঠিক রাখার উদ্যোগ নাও
৭। রেলের উন্নয়নের জন্য প্রতিবেশী দেশের সাথে তাল মিলিয়ে খরচ করা নয়, সেবার মান নিশ্চিত কর
৮। রেলের সম্পত্তি ইজারা বা লিজ দিয়ে রেলকে ধ্বংস করা যাবে না। সকল সম্পত্তির হিসাব জন সম্মুখে প্রকাশ করা হউক
৯। রেলের মান উন্নয়নে রেলের কর্মকর্তা কর্মচারীদের দতা বৃদ্ধির প্রশিন এর ব্যবস্থা করা হউক
১০। দ কর্মকর্তা কর্মচারীদের ভাল কাজের জন্য পুরস্কার এবং অদদের তিরস্কার নিশ্চিত করা হউক

Wednesday 1 April 2015

বুড়িগঙ্গা আদি চ্যানেল দখল, ভরাট ও দূষণমুক্ত কর


                                     বুড়িগঙ্গা আদি চ্যানেল দখল, ভরাট ও দূষণমুক্ত কর



বেপরোয়া  দখল-ভরাট এবং ক্রমবর্ধমান দূষণ ও অব্যাহত আগ্রাসনের ফলে বুড়িগঙ্গার আদি চ্যানেল এখন মৃত প্রায়। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ ও মহামান্য হাইকোর্টের সুস্পষ্ট নির্দেশনা থাকলেও ঢাকার প্রাণস্বরূপ বুড়িগঙ্গার আদি চ্যানেল পুণরুদ্ধারে বিভিন্ন সময়ে বিচ্ছিন্ন কিছু উচ্ছেদ অভিযান ছাড়া কিছু হয়নি। যা আদি চ্যানেল উদ্ধারে কোন কাজে আসেনি। মহানগরী ঢাকার জনস্বাস্থ্য, পরিবেশ ও অর্থনীতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বুড়িগঙ্গার এই আদি চ্যানেলের সরকারি বেসরকারি সকল দখল অবিলম্বে উচ্ছেদ করে বুড়িগঙ্গা আদি চ্যানেল পুণরুদ্ধার করা হোক। আজ ২৮ মার্চ ২০১৫, শনিবার, সকাল ১১ টায়, জাতীয় প্রেসকাবের সামনে পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (পবা) সহ ১৪টি সংগঠনের যৌথ উদ্যোগে এক মানববন্ধনে বক্তারা উক্ত দাবী জানান।

নাসফের সভাপতি ও পবার যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমান ময়নার সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন পবার নির্বাহী সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী মো: আবদুস সোবহান, পবার সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য মনজুর হাসান দিলু, শামীম খান টিটো, পবার সমন্বয়কারী আতিক মোরশেদ, গ্রীণমাইন্ড সোসাইটির সভাপতি আমির হাসান, পল্লীমা গ্রীণের সদস্য সচিব আনিসুল হোসেন তারিক, বিসিএইচআরডির নির্বাহী পরিচালক মো: মাহবুল হক, দেবীদাস ঘাট সমাজ কল্যাণ সংসদের সভাপতি মো: মুসা, পীসের মহাসচিব ইফমা হোসাইন, আইইডির সহকারী সমন্বয়কারী তারিক হাসান মিঠুল, কাজী এনায়েত হোসেন প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নদী খাল জলাধার দখল ভরাট বন্ধে বিভিন্ন সময়ে নির্দেশনা দিয়ে আসছেন এবং সম্প্রতি কুড়িল ফাইওভারের ওখানে দুটি লেক করে নদীর সাথে সরাসরি সংযোগ স্থাপনের বিষয়ে জোরালে বক্তব্য দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য এবং মহামান্য হাইকোর্টের নির্দেশনা থাকলেও দখল ভরাট ও দূষণে বুড়িগঙ্গা আদি চ্যানেল সংলগ্ন ঢাকার পশ্চিমাঞ্চলের মো:পুর, রায়েরবাজার, হাজারীবাগ, কালুনগর, ভাগলপুর, নবাবগঞ্জ, শহীদনগর, কামালডাঙ্গা, ইসলামবাগসহ এ এলাকার খালগুলোও এখন মরতে বসেছে। ফলে বর্ষার সময় এই এলাকা সামান্য বৃষ্টিতেই ভয়াবহ জলাবদ্ধতার মুখে পড়ে। অধিক বৃষ্টিতে অনেক ঘরবাড়ি পানিতে তলিয়ে যায়। জনগণের দুর্ভোগ তখন আরও প্রকট আকার ধারণ করে। মহানগরীর পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্যের কথা বিবেচনা করে স্থানীয় জনসাধারণ, মহানগরবাসী, পরিবেশ বিশেষজ্ঞসহ সুশীল সমাজ দখলের এই জঘন্য প্রতিযোগিতা বন্ধে সরকারের কঠোর হস্তেেপর দাবী জানিয়ে আসছেন। 

মানববন্ধন থেকে নিন্মোক্ত দাবীসমূহ জানানো হয়ঃ

ক্স    বুড়িগঙ্গা আদি চ্যানেল দখল ভরাট করে নির্মাণকৃত কারখানা ও বাড়িঘরের পানি বিদ্যুৎ গ্যাসসহ সকল নাগরিক সুযোগ এখনই বন্ধ করে দেয়া এবং অবিলম্বে সকল দখল ও ভরাট এবং দূষণমুক্ত করতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা।
ক্স    সিএস রের্কড অনুযায়ী বুড়িগঙ্গার আদি চ্যানেলের সিমানা নির্ধারণ করে স্থায়ী পিলার স্থাপন করা।
ক্স    বুড়িগঙ্গার আদি চ্যানেলে প্রদত্ত ভ’মি বরাদ্দসমূহ সরকার কর্তৃক অনতিবিলম্বে বাতিল করা।
ক্স    ব্যক্তি ও সংস্থার নামে বুড়িগঙ্গার আদি চ্যানেলের রেকর্ডসমূহ আইন বহির্ভূত ঘোষণা করে সেগুলো বাতিল করা।
ক্স    খনন করে আদি চ্যানেলের গতি প্রবাহ পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে আনা।
ক্স    নদী দূষণমুক্ত করার লক্ষে পয়ঃবর্জ্য পরিশোনাগার স্থাপন; গৃহস্থালী বর্জ্য পানি প্রবাহে ফেলা থেকে বিরত থাকা; ট্যানারীগুলো জরুরীভিত্তিতে স্থানান্তর এবং বর্জ্য পরিশোধনাগার স্থাপন ও বর্জ্য পরিশোধন করা; শিল্পকারখানায় বর্জ্য পরিশোনাগার স্থাপন এবং নিয়মিত তা পরিচালনা করা, নৌযানের বর্জ্য ও তেল নদীতে ফেলা থেকে বিরত থাকা।

Thursday 26 March 2015

আমাদের বাঁচতে দিন, বুড়িগঙ্গা দূষণ বন্ধ করুন। বুড়িগঙ্গা পাড়ের শিশুদের আহবান

আমাদের বাঁচতে দিন, বুড়িগঙ্গা দূষণ বন্ধ করুন। বুড়িগঙ্গা পাড়ের শিশুদের আহবান

আজ বুধবার ৭মে ২০১৪ বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে বছিলা গ্রামের বছিলা (পুরাতন) সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের  প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দুইশতাধিক স্কুলের শিশু অঙ্গীকারবদ্ধ হয় তারা নদী দূষণরোধে স্থানীয় এলাকাবাসীদের সচেতন করবে এবং নিজেরা নদী দূষণ থেকে বিরত থাকবে।

 বিগত কয়েক দশক যাবৎ ল্য করা যাচ্ছে যে, সরকারী উদাসীনতা, সিদ্ধান্তহীনতা, দূর্বলতা, দূর্ণীতি ও সমন্বয়হীনতার কারণে আমাদের নদীসমূহ ক্রমাগতভাবে ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে, দখল-দূষণ বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং মানুষ সুপেয় পানির অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়ে নানা রোগব্যাধিতে আক্রান্ত হচ্ছে। ঢাকা মহানগরী পৃথিবীর মধ্যে সবচেয়ে সুন্দর পরিবেশের অধিকারী জনপদ হিসেবে পরিচিত ছিল। আজ তা বিশ্বের সর্বোচ্চ দূষিত, পূঁতিগন্ধময়, অপরিস্কার, ময়লা অধ্যুষিত, ক্রমাগত পানিশূন্যতার শিকার, হতশ্রী শহরে পরিণত হচ্ছে। এর প্রধান কারণ হচ্ছে মহানগরীর চারপাশের সকল নদীতে ব্যাপক দখল ও দূষণজনিত বিপর্যয়।

বুড়িগঙ্গাসহ ঢাকার আশেপাশের প্রায় সকল নদীগুলো অবৈধভাবে দখল হয়ে যাচ্ছে, যেখানে-সেখানে ঘর-বাড়ী, কারখানা, ইটের ভাটা তৈরী হচ্ছে, লংঘিত হচ্ছে জলাশয় সংরণ আইন। বিভিন্ন সময়ে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের ল্েয অভিযান চালানো হলেও অজ্ঞাত কারণে সম্পূর্ণ হয়নি। ২৭৭টি ট্যানারী, যাত্রীবাহী ও ব্যবসায়িক জাহাজ নিঃসৃত জ্বালানী ও ময়লা, সরকারী প্রতিষ্ঠান ঢাকা ওয়াসার সকল ময়লা চার-পাঁচটি বৃহৎ ড্রেণ দিয়েই প্রতি সেকেন্ডে প্রায় তিন কিউবিক ঘনমিটার বর্জ্য, বছরে ৮৮ টন ট্যানারী বর্জ্য।

 শিল্প কারখানায় কোন বর্জ্য পরিশোধন ব্যবস্থা না থাকায় মারাতœক বর্জ্য নদীসমূহকে দূষিত করছে।  বুড়িগঙ্গা নদীতে প্রচুর এমোনিয়া, ক্যালসিয়াম কোরাইড, সোডিয়াম হাইড্রক্সাইড, সালফিউরিক এসিড, পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, ম্যাংগানিজ, লোহা, তামা, দস্তা, আর্সেনিক, ব্রোমিন, সীসা, নিকেল, স্ট্রংশিয়াম, ক্যাডমিয়াম, রুবিডিয়াম, থ্যালিয়াম, ক্রোমিয়াম, ক্যাডমিয়াম ও  সীসার মত রাসয়ানিক বর্জ্য প্রতিমূহুর্তেই পড়ছে।  এই দূষণের কারণে পানিতে দ্রবিভূত অক্সিজেনের পরিমান এতই কম যে এগুলোতে কোন জলজ প্রাণী বা মাছ নাই। শিল্পপতিরা বর্জ্য উৎপাদক কারখানাসমূহে বর্জ্য পরিশোধন প্ল্যান্ট সংযোজন করছে না। তাদের মুনাফার বদলে জাতি তার সকল নদী জলাশয় হারাতে বসেছে, পানি হচ্ছে ভীষণ ভাবে দূষিত, জনস্বাস্থ্য হুমকীর মুখে। নদীর দুই পাড়ের লক্ষ লক্ষ মানুষের জীবনের ।
    
 ঢাকা ও চারপাশের নান্দনিক সৌন্দর্য, ফসল, মৎস সম্পদ, নৌ-পরিবহন, জনমানুষের জীবন-জীবিকা, আবাসন ও সু-স্বাস্থ্যের জন্য এই  নদীসমূহ রা করতে হবে, কারণ নদী বাঁচানোর দাবী আমাদের জীবন বাঁচানোর সমার্থক। দূষিত করার ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক, প্রাতিষ্ঠানিক ও রাষ্ট্রীয় সকল কর্মকান্ড এখনই বন্ধ করতে হবে। আর নদী বিপর্যয়ের চলমান প্রক্রিয়া বন্ধ না হলে ঢাকার পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্য বিপর্যয় আরো বৃদ্ধি পাবে, মহানগরী হবে বসবাসের অযোগ্য।

Wednesday 25 March 2015

শংকর এলাকা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখার অভিযান

 
সকলে নিজ দায়িত্বে বাড়ির সামনের অংশ প্রতিদিন পরিস্কার করলে এলাকা সুন্দর থাকবে। এলাকার সবাইকে যেখানে সেখানে ময়লা ফেলা থেকে বিরত থাকতে হবে। যত্রতত্র ময়লা-আবর্জনা ফেলার ফলে বিভিন্ন রোগের ঝুঁকি বৃদ্ধি পাচ্ছে। এছাড়া এলাকার সৌন্দর্য্যহানিও ঘটছে। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন একটি এলাকা এলাকাবাসীর মর্যাদা বৃদ্ধি করে।  আজ সকাল ১০টায় পশ্চিম ধানমন্ডি শংকর বাড়ি মালিক সমিতি আয়োজনে ও ওয়ার্ক ফর এর বেটার বাংলাদেশ ট্রাস্ট এবং পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (পবা) এর সহযোগিতায় শংকর এলাকা ময়লা-আবর্জনা পরিস্কার করা কর্মসূচিতে বক্তারা এ কথা বলেন।

কর্মসূচি থেকে বাড়িওয়ালাদের প্রতি আহবান  জানিয়ে বলা হয়, আপনার বাড়ির গেইটের সামনে অংশ নিজ দায়িত্বে পরিষ্কার রাখুন, বাড়ির প্রতিদিনের ময়লা-আবর্জনা প্যাকেট করে ময়লার ভ্যানে ফেলুন, বাড়ির জানালা দিয়ে ময়লা ফেলবেন না, ভাড়াটিয়াদের ময়লা-আবর্জনা যত্রতত্র ফেলা থেকে বিরত রাখুন, আপনার সন্তানকে শৈশব থেকে যত্রতত্র ময়লা-আবর্জনা ফেলা থেকে বিরত থাকতে অভ্যস্ত করুন।

এছাড়া স্কুলের শিক্ষক, ছাত্র-ছাত্রীদের প্রতি আহবান জানিয়ে বলা হয়, স্কুল পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা, স্কুলের মধ্যে ময়লা-আবর্জনা ফেলা থেকে বিরত থাকা, রাস্তায় চলাচলের সময় যত্রতত্র ময়লা-আবর্জনা ফেলবেন না, অন্যকে যত্রতত্র ময়লা আবর্জনা ফেলা থেকে বিরত রাখুন এবং দোকানদারদের প্রতি আহবান জানিয়ে বলা হয়, যত্রতত্র ময়লা-আবর্জনা ফেলে এলাকার পরিবেশ নষ্ট করবেন না, আপনার দোকানের সামনে একটি ঝুড়ি বা ময়লা ফেলার পাত্র রাখুন, ক্রেতাদের ময়লার পাত্রে ময়লা ফেলতে উৎসাহিত করুন, প্রতিদিনের ময়লা স্থানীয় ময়লার ভ্যানে ফেলুন, রাতে দোকান বন্ধের পূর্বে নিজ দোকানের সামনে ঝাড়– দিয়ে পরিষ্কার করে দোকান বন্ধ করুন, জলাবদ্ধতা থেকে রা পেতে ড্রেন ও সুয়ারেজ লাইনে ময়লা-আবর্জনা ফেলা থেকে বিরত থাকুন।

সিটি কর্পোরেশনের প্রতি আহবান জানিয়ে বলা হয়, ডেভেলপার কোম্পানী কতৃক সৃষ্ট আবর্জনা ও দূষণ কঠোর হস্তে নিয়ন্ত্রণ করুণ, সিটি কর্পোরেশন কর্তৃক নিয়মিতভাবে ভোর হওয়ার পূর্বে ময়লা অপসারন ও ঝাড়–র ব্যবস্থা করা, যত্রতত্র ময়লা-আবর্জনা, ময়লা-আর্বজনা, থুথু, পানের পিক, খাবারের প্যাকেট, বোতল, প্লাস্টিক ও পলিথিন বর্জ্য ফেলা বন্ধে পুলিশের মাধ্যমে জরিমানা আদায়ের ব্যবস্থা করা।

আয়োজকরা বলেন, এলাকা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা সকলের দায়িত্ব। এজন্য প্রয়োজন ব্যাপক জনসচেতনতা। যত্রতত্র ময়লা-আবর্জনা ফেলা হচ্ছে কি না নিয়মিত তদারকি এবং ব্যবহারকারীদের জন্য ময়লার পাত্র সরবরাহ করতে হবে সিটি করপোরেশনকে। আমরা আমাদের শংকর এলাকাকে একটি আদর্শ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন এলাকা হিসাবে গড়ে তুলতে চাই। যত্রতত্র ময়লা আবর্জনা ফেলা বন্ধে এটা আমাদের প্রথম পদক্ষেপ।

সমাজসেবক মঞ্জুর হাসান দিলুর সভাপতিত্বে কর্মসূচিতে অংশগ্রহন করেন পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (পবা) এর কো-অর্ডিনেটর আতিক মোরশেদ, অধ্যক্ষ নুরুল ইসলাম, শংকর এলাকার বাড়ির মালিক  মো. মোশাররফ হোসেন দুলাল, এস.এম. এজাজ হোসেন বাচ্চু, মো. হেমায়েত, মো. সফুর খান, মানু খান, হাজি নুরুল হক মন্ডল, মো. ভুট্টো, মো সাহেদ সহ ওয়েস্ট ধানমন্ডি ইউসুফ হাই স্কুল, আলী হোসেন গার্লস হাই স্কুল ও ধানমন্ডি কচিকন্ঠ স্কুলের ছাত্র/ছাত্রীবৃন্ধ।

Sunday 22 March 2015

সকলের জন্য পানি নিশ্চিত করতে পানির উৎসসমূহ ভরাট ও দূষণমুক্ত করা জরুরী

পানি সম্পদের পরিকল্পিত ব্যবস্থাপনা ও যথাযথ নিরাপদ পানি সরবরাহ ব্যবস্থা দারিদ্র বিমোচন, অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও পরিবেশগত স্থায়ীত্বশীলতা নিশ্চিতকরণের অন্যতম নিয়ামক। প্রকৃতি, কৃষি, শিল্প, খাদ্য, বিদ্যুাৎ, স্বাস্থ্য, নগরায়ন ও নারীর সমতায়নে পানি অপরিহার্য। অপরিকল্পিত নগরায়নের ফলে ঢাকা শহরের অনেক অঞ্চলে ভূগর্ভস্ত পানির স্তর ৭০ মিটার নেমে গেছে। শিল্পকারখানা একদিকে বিপুল পরিমাণ পানি ব্যবহার করছে, অন্যদিকে অপরিশোধিতভাবে শিল্প বর্জ্য ফেলে ভয়াবহ পরিবেশ দূষণ ঘটাচ্ছে। আজ বিশ্ব পানি দিবস উপলক্ষ্যে সকাল ১১টায় শাহবাগ জাতীয় জাদুঘর এর সামনে থেকে প্রেসকাব পর্যন্ত বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা), ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ ট্রাস্ট, এনজিও ফোরাম ফর পাবলিক হেলথ, নিরাপদ ডেভলপমেন্ট ফাউন্ডেশন, সম্মিলিত জলাধার রক্ষা আন্দোলন, অরুণোদয়ের তরুণ দল, মাস্তুল ফাউন্ডেশন, বিসিএইচআরডি, সিরাক-বাংলাদেশ, ইয়ূথ কোয়ালিশন ফর কাইমেট জাস্টিস এবং প্রত্যাশার যৌথ উদ্যোগে “পানির অধিকার প্রতিষ্ঠায় পদযাত্রা’ কর্মসূচিতে বক্তারা এ কথা বলেন।

বক্তারা বলেন, গত দশকে পানির ক্ষেত্রে কিছু অগ্রগতি হওয়ার সত্বেও বিশ্বে ৭৪ কোটি ৮০ লাখ মানুষ বিশুদ্ধ পানি পায় না। ২৪৮ কোটি মানুষ সঠিক পয়ঃনিস্কাশন ব্যবস্থার আওতায় নেই। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরামর্শ, বেশির ভাগ পরিস্থিতিতে বেশিরভাগ লোকের দৈনিক চাহিদা মেটানোর জন্য প্রয়োজন ৭ দশমিক ৫ লিটার পানি। মৌলিক চাহিদা ও ব্যক্তিগত স্বাস্থ্য চাহিদা ও বিশুদ্ধ খাদ্য পানীয়ের জন্য প্রতিজনে ২০ লিটারের মতো পানি প্রয়োজন হতে পারে।

বক্তারা আরো বলেন, পানি আমাদের অধিকার। সকলের জন্য পানি নিশ্চিত করা সরকারের দায়িত্ব। পানি সঙ্কট মোকাবিলা ও পানির যোগান নিশ্চিত করতে সকল প্রকার পানির উৎস নদী-নালা, খাল-বিল, পুকুর ও জলাশয়ের দূষণ প্রতিরোধ ও ভরাট বন্ধের উদ্যোগ গ্রহণ প্রয়োজন। ভরাট ও দূষণের কারণে ভূ-উপরিস্থ পানি ব্যবহার করা যাচ্ছে না। নির্ভরতা বেড়েছে ভূ-গর্ভস্থ পানির উপর। বর্তমানে দেশের ৯৮ ভাগ খাবার ও শুকনো মৌসুমে সেচ কাজে ৮০ ভাগ পানি ভূ-গর্ভস্থ থেকে সরবরাহ করা হয়। অনিয়ন্ত্রিত ভূ-গর্ভস্থ পানি উত্তোলন প্রকৃতি দূর্যোগ বয়ে আনবে। পানির উৎসসমূহ সংরক্ষণ ও পরিকল্পনার মাধ্যমে সেগুলির যথাযথ ব্যবহারই ভূ-গর্ভস্থ পানি ব্যবহার হ্রাস করতে পারে। আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের পানি প্রাপ্যতা নিশ্চিত করতে এর উৎসগুলো ভরাট ও দূষণমুক্ত করে সংরক্ষণ করা অত্যান্ত জরুরী।

বক্তারা পদযাত্রা থেকে ভু-গর্ভস্থ পানির ব্যবহার হ্রাস এবং ভূ-উপরিস্থ পানির ব্যবহার বৃদ্ধির ল্েয প্রয়োজনীয় নীতি ও পরিকল্পনা প্রণয়ন এবং তার যথাযথ বাস্তবায়ন করা, পানির উৎস হিসেবে নদ-নদী, খাল-বিল ও জলাশয় রা আইন বাস্তবায়ন করা, শিল্প-কারখানার, পয়ঃবর্জ্য এবং গৃহস্থালী বর্জ্য নদী বা জলাশয়ে ফেলা বন্ধ করা, নদী, খাল, বিলসহ যে কোন ধরনের জলাশয়কে পেছনে দিয়ে স্থাপনা বা পরিকল্পনা নিষিদ্ধের ল্েয প্রয়োজনীয় নীতিমালা প্রণয়ন, পুকুর, দীঘি, খাল-বিল-নদীসহ যে কোন জলাশয় ভরাট বন্ধে কার্যকর পদপে গ্রহণ, বৃষ্টির পানি সংরণ ও ব্যবহারে ব্যবস্থা করতে হবে, শহর ও নগর এলাকায় নতুন করে পুকুর, জলাধার তৈরি করার সুপারিশ করেন।।

বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা)’র ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক স্থপতি ইকবার হাবিব এর সভাপতিত্বে ও ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ ট্রাস্ট এর প্রকল্প কর্মকর্তা জিয়াউর রহমান এর সঞ্চালনায় পদযাত্রা কর্মসুচির সংক্ষিপ্ত আলোচনায় বক্তব্য রাখেন নিরাপদ ডেভলপমেন্ট ফাউন্ডেশন এর পরিচালক ইবনুল সাঈদ রানা, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা)’র নির্বাহী সদস্য মহিদুল হক খান, বুড়িগঙ্গা বাঁচাও আন্দোলনের সমন্বয়ক মিহির বিশ্বাস, উবিনীক এর গবেষণা উপদেষ্ঠা ড. সোবহান, ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ ট্রাস্ট’র ন্যাশনাল এডভোকেনি অফিসার সৈয়দা অনন্যা রহমান, মাস্তুল ফাউন্ডেশন এর সদস্য তানভির আল মামুন, বিসিএইচআরডি’র নির্বাহী পরিচালক মাহাবুবুল হক প্রমূখ।

Saturday 21 March 2015

জলাধার ও বৃষ্টির পানি সংরক্ষণে দ্রুত পদক্ষেপ জরুরি

জলাধার ও ভ’গর্ভস্থ পানি এবং বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ ও পরিবেশসম্মত ব্যবস্থাপনায় সরকারি সংস্থাগুলো দায়িত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে না বরং পানি উত্তোলন ও ব্যবহারেই সংস্থাগুলোর অধিক মনোযোগ। ফলে পানি সম্পদ আজ হুমকির সম্মুখীন। এ অবস্থা চলতে থাকলে আগামী দিনগুলোতে এই বিশাল জনগোষ্ঠীর সুপেয় পানি চাহিদা মেটাতে এবং খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকারকে কঠোর পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হবে। অবিলম্বে পানি সম্পদের উৎসগুলো সংরক্ষণ ও পরিবেশসম্মত ব্যবস্থাপনা গড়ে তুলতে হবে। আজ ২১ মার্চ ২০১৫ সকাল ১১টায় পবা কার্যালয়ে বিশ্ব পানি দিবস উপলক্ষ্যে ‘পানি সম্পদ সংরক্ষণ ও পরিবেশসম্মত ব্যবস্থাপনা’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় বক্তারা উক্ত অভিমত ব্যক্ত করেন।

পবার নির্বাহী সদস্য প্রকৌশলী তোফায়েল আহমেদের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের সার্বক্ষণিক সদস্য মো: আলাউদ্দিন। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পবার সম্পাদক ও ঢাকা সিটি কলেজের প্রফেসর ড. মশিউর রহমান। অন্যান্যের মধ্যে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, পবার নির্বাহী সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী মো: আবদুস সোবহান, পবার সম্পাদক মনজুর হাসান দিলু, পবার সহ-সম্পাদক স্থপতি শাহীন আজিজ, পীসের মহাসচিব ইফমা হোসাইন,মডার্ণ কাবের সভাপতি আবুল হাসনাত, আইইডির সমন্বয়কারী তারিক হাসান মিঠুল প্রমুখ।

ড. মশিউর রহমান তার মূল প্রবন্ধে বলেন, রাজশাহী ও রংপুর বিভাগ এবং খুলনা বিভাগে কৃষিকাজের জন্য গভীর নলকূপের মাধ্যমে ভূগর্ভ থেকে অতি মাত্রায় পানি অহরণ করা হচ্ছে। সেখানে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর ক্রমাগত নিচে নেমে যাওয়ার কারণে শুকনো মৌসুমে নদীর প্রবাহ দ্রুত শুকিয়ে যায়। পুকুর, জলাশয় এবং হস্তচালিত নলকূপ  থেকে সাধারণ মানুষ তার প্রয়োজনিয় পানি তখন আর সংগ্রহ করতে পারে না। সেখানকার মানুষের জীবন যাপনে সৃষ্ট এই সঙ্কট নিরসনকল্পে রাষ্ট্রকে দায়িত্ব নিতে হবে। বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ ও এর কার্যকর ব্যবহার নিশ্চিত করা না হলে ২০৫০ সাল নাগাদ বাংলাদেশের মানুষের জন্য খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতের  বিষয়টি অধরাই থেকে যাবে।

প্রকৌশলী মো: আবদুস সোবহান তার বক্তব্যে বলেন, ২০১০ সালে বিশ্বে যে ১৫টি দেশ সবচেয়ে বেশী ভ’গর্ভস্থ পানি উত্তোলন করে তাদের মধ্যে ভারত, চীন, যুক্তরাষ্ট্র, পাকিস্তান , ইরান এর পরই বাংলাদেশের অবস্থান। বাংলাদেশে ২০১০ সালে ৩০.২১কিউবিক কিলোমিটার ভ’গর্ভস্থ পানি উত্তোলন  করা হয়। এর মধ্যে ৮৬% সেচ কাজে, ১৩% গৃহস্থালী এবং ১% শিল্পে ব্যবহৃত হয় (ঘধঃরড়হধষ এৎড়ঁহফ ডধঃবৎ অংংড়পরধঃরড়হ, টঝঅ, ৯/২০১৩)। বিএডিসির তথ্যানুযায়ী ২০০৪ থেকে ২০১০ সালের মধ্যে অগভীর নলক’পের সাহায্যে সেচের পরিমাণ ১৪,৪৪১ বর্গ কিলোমিটার থেকে কমে ১৩,৬৯১ বর্গ কিলোমিটারে দাড়িয়েছে। মার্চ এবং এপ্রিল মাসে ১৬ লাখ অগভীর নলক’পের মধ্যে ৪ লাখ অকেজো হয়ে পড়ে।

দেশের উত্তর-পশ্চিম অঞ্চলে বিগত ৩০ বছর (১৯৮১-২০১০) ধরে বার্ষিক গড় ১.৪% হারে ভ’গর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে যাচ্ছে। ভ’গর্ভস্থ পানির স্তর সবচেয়ে বেশী নেমেছে রাজশাহীতে। প্রতি ইউনিট এলাকায় নলক’পের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। এর ফলে প্রতিটি নলক’পের আওতাধীন এলাকা ১৯৮৪-৮৫ হতে ২০১০-১১ অত্যন্ত কমে ১৪.৫ থেকে ২.৮ হেক্টরে দাড়িয়েছে। গড়ে নদীর পানির স্তর ১৯৮১ হতে ২০১০ এর মধ্যে ২০ মিটার থেকে কমে ১৯ মিটারে দাড়িয়েছে। এই হ্রাস প্রবণতা ভ’গর্ভস্থ পানির স্তর নেমে যাওয়ার সাথে ইতিবাচকভাবে সম্পর্কযুক্ত। ১৯৮৯ - ২০১০ সালের মধ্যে শুষ্ক মৌসুমের মোট জলাভ’মির প্রায় তিন ভাগের এক ভাগ হারিয়ে গেছে। এসব সূচক থেকে ধারণা করা যায় যে দেশের উত্তর-পশ্চিম অঞ্চলে ভ’গর্ভস্থ পানির ব্যবহার টেকসই/দীর্ঘস্থায়ী নয়।

নীতি বিশ্লেষক এডভোকেট সৈয়দ মাহবুবুল আলম বলেন, সিটি কর্পোরেশন, ওয়াসা পানি ব্যবহার ও দুষণ করছে। কিন্তু পানি সম্পদ সংরক্ষণ বা পানি রিচার্জ করার জন্য পদক্ষেপ গ্রহণে সংস্থাগুলো দায়িত্বশীল নয়। অপরদিকে রাজউকের কারণে এ নগরে পানি রিচার্জের অন্যতম অধার উম্মুক্ত স্থান ও জলাধারগুলো ধ্বংশ হচ্ছে। যা পানি সংকটকে ত্বরান্বিত করবে। পানি সম্পদ সংরক্ষনের সাথে ৪০টির বেশি সংস্থা এবং প্রায় ২০টি বেশি আইন রয়েছে। তথাপিও রাষ্ট্রীয় সংস্থাগুলোর পানি সম্পদ সংরক্ষনে এ ধরনের উদাসীনতা বাংলাদেশ সংবিধানে অনুচ্ছেদ ১৮ক এর পরিপন্থি।

আলোচনা সভা থেকে নিন্মোক্ত সুপারিশ করা হয় :
ক্স    নদী, খাল-বিল, হাওর-বাওড়, লেক, দিঘী-পুকুর, নি¤œাঞ্চল, জলাভ’মি দখল, ভরাট ও দূষণ বন্ধে বিদ্যমান আইন অনুযায়ী কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহন করা।
ক্স    ভবিষ্যত প্রজন্মের প্রাপ্য ন্যায্য স¤পদ নিশ্চিত করার ল্েয আমাদের আরো অধিকতর টেকসই জীবনযাত্রার প্রতি গুরুত্ব আরোপ করা।
ক্স    ভ’গর্ভস্থ পানির রিচার্জ এবং  ভ’পৃষ্ঠস্থ ও ভ’গর্ভস্থ পানির প্যাটার্ন ও ব্যাপ্তি অনুসরণের জন্য উপযুক্ত মনিটরিং ব্যবস্থা গড়ে তোলা।
ক্স    বিভিন্ন আঞ্চলিক প্রেক্ষাপট বিবেচনা নিয়ে পানির স্তর রিচার্জের লক্ষে একটি জাতীয় প্রোগ্রাম/কৌশল গ্রহণ করা ।
ক্স    পানির স্তর রিচার্জ, নিষ্কাশন, মাটির আদ্রতা পরিবর্তন ও পানি সঞ্চয়ের বিষয় বিবেচনায় নিয়ে পানি বাজেট প্রস্তুত করা ।
ক্স    টেকসই পানি ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি যেমন আšতর্জাতিক ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট ও আর ডি এ মিলিতভাবে  উদ্ভাবিত সেচের পানি সাশ্রয়ী পদ্ধতি অল্টারনেট ওয়েটিং এন্ড ড্রাইয়িং-এর উপর সচেতনতা এবং এডভোকেসি প্রচারণা জোরদার করা।
ক্স    বোরো ধানের পরিবর্তে উচ্চ মূল্যের ফসল উৎপাদনে জোর দেয়া উচিত।  কম পানি প্রয়োজন ও ব্যয় সাশ্রয়ী ফসল আলু, ডাল, গম চাষে অগ্রাধিকার দেয়া ।
ক্স    বুড়িগঙ্গা নদীকে গতিশীল রাখার জন্য এর সাথে ধলেশ্বরী-কালিগঙ্গা নদীর সংযোগ পুনপ্রতিষ্ঠা করতে হবে।
ক্স    শুকনো ঋতুতে মজা নদীর খাতে ফসল চাষের প্রক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।
ক্স    পরিকল্পিত ভাবে শাখা নদী গুলোর খাত খননের কার্যক্রম গ্রহন করতে হবে।
ক্স    ছোট বা বড় নদীর স্বাভাবিক প্রবাহে বিঘœ সৃষ্টি হয় এমন কার্যক্রম গ্রহন করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
ক্স    প্লাবন ভূমিতে গভীর নল স্থাপন করে ভূগর্ভস্থ পানির আধারস্তরে বৃষ্টি ও বর্ষার পানি সঞ্চালনের ব্যবস্থা করতে হবে।
ক্স    ঢাকা মহানগরীসহ সকল শহরে ভবন নির্মাণের েেত্র আনুপাতিক হারে উন্মুক্ত মাটির আঙ্গিনা রাখার বাধ্যতামুলক ভবন নির্মাণ বিধি সন্নিবেশিত করা প্রয়োজন যেন বৃষ্টির পানি মাটির অভ্যন্তরে প্রবেশ করতে পারে।
ক্স    নগরের ভবন নির্মাণের বিধিমালায় বৃষ্টির পানি সংরক্ষন এবং তা আবাসিক প্রয়োজনে ব্যবহার করা যায় এমন অবকাঠামো ভবনের নক্সায় বাধ্যতামুলক ভাবে অন্তর্ভুক্ত রাখতে ও তা বাস্তবায়ন করতে হবে।
ক্স    মধুপুর চত্বর অঞ্চলের নদী যেমন বংশী, বানার, কাওরাইদ, সুতি, খিরু, বালু, শীতলক্ষ্যা, তুরাগ প্রভৃতির অংশ বিশেষে পরিকল্পিত ভাবে রাবার ড্যাম স্থাপনের মাধ্যমে স্থানিয় বৃষ্টিপাতের পানি সংরক্ষণ এবং সেই পানি ভূগর্ভস্থ পানির আধারস্তরে (ডুপিটিলা) প্রবিষ্ট করার ব্যবস্থা করা প্রয়োজন।
ক্স    ঢাকা মহানগর এবং অন্যান্য শহরের সরকারি অফিস আদালত, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ খেলার মাঠ, উদ্যান ও বিভিন্ন উন্মুক্ত স্থানে নল বা কূপ স্থাপন করে বৃষ্টির পানি ভূগর্ভস্থ ডুপিটিলা স্তরে সঞ্চালনের ব্যবস্থা অতি জরুরি ভিত্তিতে গ্রহণ করা প্রয়োজন।

Saturday 14 March 2015

আপনার এলাকায় রাত ১০টার পর উচ্চ শব্দে গান বাজলে আপনি যা করবেন।

রাত ১২:০০। পুরো এলাকা কেপে উঠল।
বিকট শব্দে। এক দল লোক দৌড়াচ্ছে। আতশবাজির আকাশে আলোর ঝলকানি। ঘটনা কি?

উচ্চ শব্দে বেজে উঠল গান “ আজকের দিনটা... ..আজ জন্মদিন তোমার”

আজ আমাদের এলাকার এক মেয়ে জন্মদিন  । তার হবু বর চমক দিতে এই আয়োজন।
পুরো এলাকাবাসী মিনিট ২০শের এই ব্যাপক আয়োজন  উপভোগ করল ।

পরের দিন পাড়া কত মেয়ের মনে যে একরকম বর পাবার স্বাদ জাগল কে জানে।

তিনদিন পর মেয়ের গায়ে হলুদ ।  সূর্য ডুবার পর থেকে উৎসব। ছেলে পক্ষের লোকজন আসে মোটর সাইকেলের বিশাল বহর নিয়ে। পুরো এলাকা কাপিয়ে দিল মোটর সাইকেলের হণের শব্দে।


তারপর ভোর রাত পযন্ত চলছে সঙ্গীত অনুষ্ঠান। বাইরে থেকে শিল্পী আনা হয়েছে।
কিন্তু শব্দ ছাড়া আর কিছু উপভোগ করার ভাগ্য আমাদের নেই।

তার পরে দিন মেয়ের বাড়ি লোকজন ছেলের বাড়িতে গেল  বিশাল বহর নিয়ে। রাতে আবারও শতাধিক মোটর সাইকেল হর্ণ দিয়ে মেয়েদের বাড়ি পযন্ত দিয়ে গেল। আনন্দ আর আনন্দ। পুরো এলাকা বিয়ে বিযে উৎসব আলোর ঝলকানি।

না আমরা দাওয়াত পাইনি।

শুক্রবার মেয়ে বিয়ে তাই দিন কয়েক রাত জেগে উৎসব চলছে ঐ বাড়িতে। সাথে পুরো এলাকাবাসী  বিনামূল্যে গান উপভোগ করছেন।

বিনামূল্যের গানের এই উৎসব ব্যাপক বিরক্ত হয়ে গেল। রাত জাগাটা আমাদের জন্য ভয়াবহ যন্ত্রণার।

গান বন্ধ বা নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা আমার নেই।

কিন্তু হতাশা হলে কি চলে ???

আমি শব্দ দূষণ বিধিমালা ২০০৬ পড়লাম। সেখানে সুস্পষ্ট ভাবে বলা হয়েছে। রাত ১০টার পর উচ্চ শব্দে গান বাজানো নিষেধ। তাছাড়া অনুমতি নেওয়াা বাধ্যতামূলক।  তবে অনুমতি কোন ভাবেই ৫ ঘন্টার বেশি হতে পারবে না।

বিধিমালাটি প্রিন্ট করে থানায় দিয়ে আসলাম। পাশাপাশি অনুরোধ করলাম। রাত ১২টা পযন্ত যেন তাদের গান বাজানোর সুযোগ দেওয়া হয়।  তবে মটর সাইকেলের ইতরামি যেন বন্ধ হয়।

বাসায় এসে আমি ৮টায় পুলিশকে অনুরোধ করলাম। তারা যেন জানিয়ে দেয় রাত ১২টার পর উচ্চ শব্দে গান বাজাতে নিষেধ করে দিয়ে আসে। টহল পুলিশের গাড়িটি এসে সর্তক করে দিয়ে যায়।

১২টায় আমি পুলিশকে ফোন দিলাম। ধন্যবাদ জানাতে। আজ  আর কোন পটকার বিকট শব্দ নেই। গানের উচ্চ শব্দ নেই।

তারপর থেকে যতদিন ১২টার পর উচ্চ শব্দে গান বাজে আমি দুইবার ফোন দেই। একবার পুলিশকে অনুরোধ করি।  ২য় বার ফোন দেই ধন্যবাদ দেওয়ার জন্য।

 আপনারএলাকায় রাত বিরাতে  “ শীলা, শীলা কি....... গান কিংবা বুকটা ফাইটা যায় অথবা যেকোন উচ্চ শব্দ শুধু অভিযোগ দিন ফোনে। বাকি কাজ পুলিশের ।

Monday 2 March 2015

তাহলে ভাইয়ের নামে একটা ধর্ম খুলেন। চরম মৌলবাদ রূপে নিজেদের প্রকাশ করেন। আর পারলে প্রতিদিন ভাইরে ধুইয়া ধুইয়া পানি খাবেন।

এক বড় ভাইয়ের সাথে কথা বলছিলাম গত দু’দিনের দেশের অবস্থা নিয়ে। তিনি আমার মত মধ্যবিত্তের মানুষজনরে মহা ধোলাই দিলেন। রক্ত দেখলেই পালিয়ে যাওয়া এই মধ্যবিত্ত শ্রেনীর তলে/উপরের দৃশ্যমান/অদৃশ্যমান সকল অংশের বর্ণনাসহ গালি দিলেন। তিনি প্রতি বাক্যকেই লাল-নীল মেলা বইয়ে তথ্যসূত্র দিতে থাকলেন। এত কঠিন তার যুক্তি ছিল যে আমার মত মেধাহীন মানুষের বুঝবে কোন ভাবেই সম্ভব না। অসীম জ্ঞানের অধিকারী হওয়ায় তিনি কোন ভাবেই আমার কথার নিজের কোন ব্যাখ্যা দিতে পারছিলেন না।

শুধু বড় বড় ব্যক্তি আর বিভিন্ন রংয়ের বইয়ের তথ্য উপাত্ত দিলেন। কোনভাবেই কথা বলার সুযোগ না দিয়ে মধ্যবিত্তের বিপ্লবের চৌদ্দ গোষ্ঠী উদ্ধার করলেন। এত ভক্তদ্বারা ভাই বেষ্টিত, যে তার সাথে কিছু বলার আগে তার চারপাশের ভক্তরা কামড় দিতে চায়। চলে আসা ছাড়া বিকল্প কিছু ছিল না। 

তয় বড় ভাইয়ের জন্য আমার কয়েকটা বাক্য ব্যয় করলাম।
১. আমার কাছে মানবতা দেশ, আইন, ধর্ম ,তর্ক, বিজয়ে থেকে বেশি কিছু। কারণ আমি জানি এবং বিশ্বাস করি মানবতার স্বার্থে এই সবকিছুর পয়দা হইছে।

২. মানবতার প্রতি শ্রদ্ধাশীল বলেই মানবতা বিরোধী অপরাধীদের আমরা বিচার চাইছি। বলা হয়নি যে তাদের বিচারবহির্ভূত মৃত্যুদন্ড দেওয়া হোক।

৩. যারা মানবতাবিরোধী কাজ করেছে তাদের সাথেও মানবতাবিরোধী পদক্ষেপ নেওয়া যাবে না। তাহলে আমরা সমান অপরাধী।

৪.এইবার আসি আপনার মধ্যবিত্তের বিষয়ে বিশেষ চুলকানি নিয়া। শুনেন ভাই মধ্যবিত্তের শ্রেনীকরণ কইরা যে মানুষগুলারে সারা সন্ধ্যা গালাগালি কইরা বিদ্যা জাহির করলেন । সেই মধ্যবিত্ত না খাড়াইলে আপনার কোন বিপ্লবই খাড়া হয় না।

এই শ্রেনীর মানুষগুলারে খাড়া না কইরা কিংবা জ্ঞানের বা...ল ফালানো ঝিলিক দেখানোর কারণে আর্দশগত দিক দিয়া দিন দিন বিলুপ্ত সম্প্রদায়ের দিকে যাচ্ছেন।

৫. ভক্তগুলারে অন্ধ কইরা পয়দা কইরে না। নিজের যুক্তি সব ভক্তদের মাঝে চাপাই দিয়া বিপ্লব বিপ্লব স্বপ্ন দেখলে বিপ্লব হইব না। স্বপ্ন দোষ হইব। চারজন আর পাঁচ ভক্ত ঘিরে থাকব আর আপনি বিপ্লব,বিপ্লব কইরা জাবর কাটবেন।

৬. ভক্তগুলারে বলেন একটু সহ্য ক্ষমতা বাড়াইতে। আম জনতার প্রশ্ন ‍উপলব্ধি করা ক্ষমতা নিজের মধ্যে পয়দা করতে হইব। বই দিয়া জ্ঞান হয় সত্য, কিন্তু ভাইয়ের জ্ঞান আছে আর সেই জ্ঞানের ক্ষমতা দিয়া শিষ্য পার হইয়া যাইব, রোবট পয়দা কইরে না। তাহলে দেখবেন তাহারা অতিসত্ত্বর আপানে ভুলে আবারও কোন জ্ঞানপাপীকে অনুসরণ করা শুরু করবে।

সর্বশেষে আপনার শিষ্য কিংবা ভক্তদের জন্য বলি,
ভাইয়ের কথাই ঠিক। ভাইয়ের যুক্তির পাল্টা কোন যুক্তি উপস্থাপন করা যাবে না। ভাইয়ের যুক্তি বিপক্ষে কিছু কইলে মাইর দেওয়াই যদি আপনাদের অর্জিত জ্ঞান হইয়া থাকে। তাহলে ভাইয়ের নামে একটা ধর্ম খুলেন। চরম মৌলবাদ রূপে নিজেদের প্রকাশ করেন। আর পারলে প্রতিদিন ভাইরে ধুইয়া ধুইয়া পানি খাবেন।

দেশটা ক্রমেই জবাইখানা হয়ে যায়।

একদল লোক ভ্রান্ত আর্দশ প্রতিষ্ঠায় মানুষ কোপায়। আর একদল লোক শ্লোগানে শ্লোগানে আকাশ কাঁপায় একটা একটা .... ধর, ধইরা ধইরা জবাই কর।
দেশটা ক্রমেই জবাইখানা হয়ে যাচ্ছে। কেমন আর্দশের চর্চ্চা হচ্ছে দেশে, শুধু জবাইয়ে সমাধান খুঁজে সবাই।

দেশপ্রেমিকগুলোর দেশপ্রেমের বিশুদ্ধতা কামনা করছি।

আমি দেশকে ভালবাসি। দেশের প্রতি টান অনুভব করি। কিন্তু তার অর্থ আমার কাছে এই নয়। আমার রাষ্ট্রের শক্তি দিয়ে অন্য রাষ্ট্রের জনগণের অধিকার ছিনিয়ে নিতে সহযোগিতা করা।বাংলাদেশ রাষ্ট্রের কর্মকান্ড যদি কোন রাষ্ট্রে আগ্রাসন চালায়। তার সমর্থন দেওয়া মত দেশপ্রেম আমার মধ্যে নাই। তবে অপকর্মে সমর্থক দেশপ্রেমিকগুলোর দেশপ্রেমের বিশুদ্ধতা কামনা করছি।

Saturday 28 February 2015

আপনার এলাকায় রাত ১০টার পর উচ্চ শব্দে গান বাজলে আপনি যা করবেন

পুরো এলাকা কেপে উঠল।  বিকট শব্দে। এক দল লোক দৌড়াচ্ছে। আতশবাজির আকাশে আলোর ঝলকানি। ঘটনা কি?
can-stock-photo_csp16620315উচ্চ শব্দে বেজে উঠল গান “ আজকের আকাশে… ..আজ জন্মদিন তোমার” আজ আমাদের এলাকার এক মেয়ে জন্মদিন  । তার হবু বর চমক দিতে এই আয়োজন। পুরো এলাকাবাসী মিনিট ২০শের এই ব্যাপক আয়োজন  উপভোগ করল ।  পরের দিন পাড়া কত মেয়ের মনে যে একরকম বর পাবার স্বাদ জাগল কে জানে।
তিনদিন পর মেয়ের গায়ে হলুদ ।  সূর্য ডুবার পর থেকে উৎসব। ছেলে পক্ষের লোকজন আসে মোটর সাইকেলের বিশাল বহর নিয়ে। পুরো এলাকা কাপিয়ে দিল মোটর সাইকেলের হণের শব্দে।
তারপর ভোর রাত পযন্ত চলছে সঙ্গীত অনুষ্ঠান। বাইরে থেকে শিল্পী আনা হয়েছে।  কিন্তু শব্দ ছাড়া আর কিছু উপভোগ করার ভাগ্য আমাদের নেই।
তার পরে দিন মেয়ের বাড়ি লোকজন ছেলের বাড়িতে গেল  বিশাল বহর নিয়ে। রাতে আবারও শতাধিক মোটর সাইকেল হর্ণ দিয়ে মেয়েদের বাড়ি পযন্ত দিয়ে গেল। আনন্দ আর আনন্দ। পুরো এলাকা বিয়ে বিযে উৎসব আলোর ঝলকানি।
fi6না আমরা দাওয়াত পাইনি।  শুক্রবার মেয়ে বিয়ে তাই দিন কয়েক রাত জেগে উৎসব চলছে ঐ বাড়িতে। সাথে পুরো এলাকাবাসী  বিনামূল্যে গান উপভোগ করছেন।

বিনামূল্যের গানের এই উৎসব ব্যাপক বিরক্ত হয়ে গেল। রাত জাগাটা আমাদের জন্য ভয়াবহ যন্ত্রণার।  গান বন্ধ বা নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা আমার নেই। কিন্তু হতাশা হলে কি চলে ???
আমি শব্দ দূষণ বিধিমালা ২০০৬ পড়লাম। সেখানে সুস্পষ্ট ভাবে বলা হয়েছে। রাত ১০টার পর উচ্চ শব্দে গান বাজানো নিষেধ। তাছাড়া অনুমতি নেওয়াা বাধ্যতামূলক।  তবে অনুমতি কোন ভাবেই ৫ ঘন্টার বেশি হতে পারবে না।
বিধিমালাটি প্রিন্ট করে থানায় দিয়ে আসলাম। পাশাপাশি অনুরোধ করলাম। রাত ১২টা পযন্ত যেন তাদের গান বাজানোর সুযোগ দেওয়া হয়।  তবে মটর সাইকেলের ইতরামি যেন বন্ধ হয়।
বাসায় এসে আমি ৮টায় পুলিশকে অনুরোধ করলাম। তারা যেন জানিয়ে দেয় রাত ১২টার পর উচ্চ শব্দে গান বাজাতে নিষেধ করে দিয়ে আসে। টহল পুলিশের গাড়িটি এসে সর্তক করে দিয়ে যায়।
১২টায় আমি পুলিশকে ফোন দিলাম। ধন্যবাদ জানাতে। আজ  আর কোন পটকার বিকট শব্দ নেই। গানের উচ্চ শব্দ নেই।
তারপর থেকে যতদিন ১২টার পর উচ্চ শব্দে গান বাজে আমি দুইবার ফোন দেই। একবার পুলিশকে অনুরোধ করি।  ২য় বার ফোন দেই ধন্যবাদ দেওয়ার জন্য।
আপনারএলাকায় রাত বিরাতে  “ শীলা, শীলা কি……. গান কিংবা বুকটা ফাইটা যায় অথবা যেকোন উচ্চ শব্দ শুধু অভিযোগ দিন ফোনে। বাকি কাজ পুলিশের ।

Tuesday 6 January 2015

সুন্দরবন নিয়ে বন্ধুদের সুন্দর স্বপ্নটা বাঁচিয়ে রাখতে এগিয়ে আসুন।

সুন্দরবন ইস্যুটা চাপা পড়ে গেল। কিন্তু কয়েকটা ছেলে-মেয়ে এখনো সুন্দরবন থেকে ফিরেনি। দিনের পর দিন সুন্দরবন এলাকা থেকে গ্রামবাসীর সহযোগিতায় তেলের বর্জ্য সংগ্রহ করছে।

বিপুল পরিমাণ তেল চুপচুপে কচুরিপানা এবং ডালপালা-শিকড় নদী থেকে তুলে এনে যেখানে সেখানে স্তুপ করে ফেলে রাখা হয়েছিল, কিছু মাটিচাপা দেয়া হয়েছিল বনবিভাগের ব্যবস্থাপনায়। @Anusheh Anadil, @Tanjilur Rahman এবং তাঁদের বন্ধুরা মিলে এই বাঁশের মাচাগুলো বানিয়ে চারিদিকে ছড়িয়ে পড়া থেকে রক্ষা করেছেন। তাদের সংগ্রহে এখন প্রায় প্রায় ২০টন বর্জ্য হয়েছে। এই বর্জ্যগুলোর সঠিক ব্যবস্থাপনার দরকার।

কোন ভাবে মাটির নিচে পুতে ফেলে স্থানীয় মানুষের ভূগর্স্থ পানি ও মাটি দূষিণত করা যাবে না । তাছাড়া বর্ষায় যদি নদী/খালে আবার মিশে যায় বর্জ্য। তবে তা বর্জন করতে হবে।

আগুনে পুড়াতে চাইলে কোথায় পুড়তে হবে। কিভাবে পুড়তে হবে। কিভাবে পোড়ালে স্বাস্থ্য ও পরিবেশের ঝুঁকি কমবে? এগুলো হল প্রশ্ন। এই প্রশ্নের উত্তর চায় আমাদের সুন্দরবনের অবস্থানকারী বন্ধুরা।

সুন্দরবন মানে বাঘ, কুমির, ডলফিনের বন নয়। সুন্দরবন ঘিরে থাকা মানুষগুলো, নদীর পাড়ের ছোট মাছরাঙা, ছোট ছোট কীটপতঙ্গগুলোরও বন সুন্দরবন। সুতরাং সুন্দরবনের আশে পাশে এই বর্জ্যগুলো সঠিক ব্যবস্থাপনার আগে বাঘ, কুমির, ডলফিনের পাশাপাশি সুন্দরবনের আশেপাশে বসবাসকারী মানুষগুলোর স্বাস্থ্য, কৃষি, খাদ্য নিরাপত্তার কথা কথা বিবেচনায় আনতে হবে।

যে মানুষগুলো সুন্দরবনে তেল কাদায় মাখামাখি করে বর্জ্যগুলো সংগ্রহে ব্যস্ত। তারা কেউ কিন্তু সেচ্ছাসেবি প্রতিষ্ঠান কিংবা সুন্দরবন তাদের কারো বসতি নয়। তবুও নাড়ীর টান। কারণ এই মানুষগুলো বিশ্বাস করে তারা প্রকৃতির সন্তান।

এই মানুষগুলো বিশ্বাস করে আধুনিকতা, জ্ঞান, উন্নয়ন, প্রযুক্তির উদ্দেশ্য হল প্রকৃতিকে বশে আনা কিংবা প্রকৃতি থেকে বিছিন্ন হওয়ার প্রচেষ্টা নয়। প্রকৃতির কাছাকাছি বসবাস আর অভ্যস্থ হয়ে উঠার নামই টেকসই উন্নয়ন। তাই তারা প্রকৃতির পক্ষে লড়ে।

আমি আপনি হয়তো সুন্দরবন যেতে পারিনি। কিন্তু যে ছেলে মেয়েগুলো স্থানীয় গ্রামবাসীর সহযোগিতায় এত বড় একটা কাজ করেছে। তাদের পাশে তো দাড়াতে পারি।

আমরা তো বলতেই পারি সাড়ে তিন লাখ লিটার তেল ব্যবস্থাপনার সামর্থ্য আমাদের নেই। কিন্তু ২০টন বর্জ্য ব্যবস্থাপনার শক্তি কি আমাদের নেই? যদি শক্তি না থাকে, আমাদের শক্তি অর্জন করতে হবে। কারণ দূর্যোগ মোকাবেলার শক্তি আমাদেরই অর্জন করতে হবে।

আর এই শক্তি অর্জনে যে মানুষগুলো এগিয়ে আসে রাষ্ট্রের দূযোর্গে সবার আগে। তাদের সমর্থন জানানো, সাহস জোগানো অন্যতম কাজ। আমার বিশ্বাস করি তরুনা পরিবর্তন আনবে । যদি এই তরুনদের কর্মকান্ডে আপনি যুক্ত না হন । তবে কি করে পরিবর্তন আসবে।

কোন আর্থিক সহযোগিতা নয়। আমরা বন্ধুরা ‍সুন্দরবনে অপেক্ষায় আছে কি করে বর্জ্যগুলো পরিবেশসম্মত ব্যবস্থাপনা করতে পারে। আসুন মতামত দিয়ে তাদের সহযোগিতা করি।

Thursday 1 January 2015

কোমল পানীয় কোম্পানীর মিথ্যা ও অনৈতিক বিজ্ঞাপন:

অধ্যাদেশ ১৯৫৯ মিথ্যা প্রচারণার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা বিষয়ে ১৯ ধারার (১) এ বলা আছে, কোন ব্যক্তি এমন বিজ্ঞাপন প্রকাশ করিবেন না, তাহা কোন খাদ্যবস্তুকে মিথ্যাভাবে বর্ণনা করে বা এর প্রকৃতি, বস্তু বা মান সর্ম্পকে ভিন্নরূপ ধরাণা দিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করে।

ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর ৪৪ ধারায় বলা আছে, মিথ্যা বিজ্ঞাপন দ্বারা ক্রেতা সাধারনখে প্রতারিত করিবার দন্ড। -কোন ব্যক্তি কোন পণ্য বা সেবা বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে অসত্য বা মিথ্যা বিজ্ঞাপন দ্বারা ক্রেতা সাধারণকে প্রতারিত করিলে তিনি অনুর্ধ্ব এক বৎসর কারাদন্ড, বা অনাধিক দুই লক্ষ টাকা অর্থদন্ড, বা উভয় দন্ডে দন্ডিত হইবেন।

দুনিয়াব্যাপী বহুজার্তিক কোম্পানীগুলো মুনাফাকে প্রাধান্য দিতে গিয়ে নীতি নৈতিকাকে বিন্দুমাত্র তোয়াক্কা করে না। নামকরা কোমল পানীয় কোম্পানীগুলো অনৈতিক বিজ্ঞাপন প্রচারে র্শীষে। আমাদের মত দেশগুলোতে বিজ্ঞাপন নিয়ন্ত্রণে নীতিমালা না থাকায় কোম্পানীগুলো অসত্য,মিথ্যা, বিভ্রান্তকর তথ্য দিয়ে তাদের পণ্যের প্রচার করছে। এক্ষেত্রে কোমল পানীয় কোম্পানীগুলো অপ্রতিরোধ্য।

মনোলোভা বিজ্ঞাপন দিয়ে কোমল পানীয়ের নামে বিষ তুলে দেয়া হচ্ছে শিশুদের। বিজ্ঞাপনের চমৎকারিত্বের আড়ালে মানুষকে প্রতারিত করে অবাধে ক্ষতিকর কোমল পানীয় বেচা-কেনা চলছে। শিশুদের স্কুলের গেইট, এমনকি পুলিশের থানার গেইটে কোমল পানীয় বিজ্ঞাপন দেখা যাচ্ছে।

ভারতে হিমাচল প্রদেশের মানালী-রোহতাং হাইওয়ের দুপাশের পর্বতে পাথড়ে গায়ে রং দিয়ে কোকাকোলা ও পেপসি তাদের পণ্যের বিজ্ঞাপন দেয়। সুপ্রীম কোর্ট ২০০২ সালে ১৭ সেপ্টেম্বর প্রত্যেক কোম্পানীকে ২লাখ টাকা করে জরিমানা করে। ভারতে সংসদীয় কমিটি তাদের এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করে কোকাকোলা-পেপসি তাদের ভ্রান্ত বিজ্ঞাপন দিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করছে। শিশুদের আকৃষ্টি করেই কোম্পানীগুলো বিজ্ঞাপনগুলো তৈরি করা হয়।

কয়েক যুগ ধরে ভ্রান্ত তথ্যেও বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে কোমল পানীয় কোম্পানীগুলো ইতিমধ্যে একটি প্রজন্মের কাছে কোমল পানীয় মানে স্বাস্থ্যকর, বিশুদ্ধ পানীয় রূপে নিজেদের পরিচয় নিয়েছে। বাংলাদেশে কোমল পানীয় বিজ্ঞাপনের কোন নিয়ন্ত্রণই নেই। যথাযথ কতৃপক্ষের দূর্বলতার সুযোগ নিয়ে মুনাফালোভী, ক্ষতিকরণ কোমল পানীয় তাদের অনৈতিক, ভ্রান্ত তথ্য নির্ভর বিজ্ঞাপন প্রচারে মাধ্যমে মানুষদের আকৃষ্টি করেই যাচ্ছে।

এক বাক্যে বলা যায় কোমল পানীয় ক্ষতিকর অপ্রয়োজনীয় বিলাসী পানীয়। কেবলমাত্র জনমত তৈরি করেই এর ব্যবহার কমিয়ে আনা সম্ভব নয়। সচেনতার পাশাপাশি এই ক্ষতিকারক পানীয়টি নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রয়োজন সুনিদিষ্ট আইন। সরকারী ও সামাজিক ভাবে কিছু উদ্দ্যোগ গ্রহন করলে বহুলাংশে কোমল পানীয় নিয়ন্ত্রণ সম্ভব।

যেমন : কোমল পানীয় বোতল এবং মোড়কে স্বাস্থ্য সর্তকবাণী লিখতে হবে। কোমল পানীয়তে কি পরিমাণ কীটনাশক থাকে তা উল্লেখ্য করতে হবে। শিশুদের বিদ্যালয়ের ক্যান্টিন এবং চারপাশের একটি নিদিষ্ট সীমানায় কোমল পানীয় বিক্রি নিষিদ্ধ করতে হবে।

কোমল পানীয় প্রতি ভ্যাট, ট্যাক্স বাড়াতে হবে। র্সবপরি কোমল পানীয় নিয়ন্ত্রণে একটি নীতিমালা তৈরি করতে হবে। টেলিভিশন, সংবাদপত্রসহ সকল প্রকার প্রচার মাধ্যমে কোমল পানীয় বিজ্ঞাপন নিষিদ্ধ করতে হবে।

শুধুমাত্র অর্থনীতির দোহাই দিয়ে বিষাক্ত কোমল পানীয় বেচা-কেনা বন্ধে সরকারের দায়িত্ব এড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ নেই। মনে রাখতে হবে আমরা ব্যবসা চাই কিন্তু জনস্বাস্থ্য, পরিবেশ, প্রাণ ও প্রকৃতি, সংস্কৃতি বিকিয়ে দিয়ে ব্যবসার করার অধিকার রাষ্ট্রেকে কেউ দেয়নি। তাই জনস্বার্থে মানবদেহের জন্য তিকর কোমল পানীয় বেচা-কেনা বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা রাষ্ট্রকে নিতে হবে।

তুরাগ নদী আমাদের নদী। আমার আমাদের মালিকানা বুঝে নিতে চাই। আমার স্বার্থে, আমার ভবিষ্যৎ প্রজন্ম রক্ষার স্বার্থে।

ঢাকার চারপাশে যে চারটি নদী আছে তার মধ্যে তুরাগ অন্যতম। তুরাগ নদী ও তার দুইপারের বিস্তৃণ সবুজ বেষ্টনী ঢাকা, সাভার, গাজীপুর, টাংঙ্গাইলসহ বিশাল এলাকাকে এখন সবুজের মোড়কে জড়িয়ে রেখেছে। এই তুরাগ আজ বিপন্ন।

তুরাগের দুই পারে উন্নয়নের নামে কিছু ব্যক্তি ও গোষ্ঠী বিশেষ দখলে নেমে। এই শহর, বুড়িগঙ্গাকে গ্রাস করে এখন তারা হাত বাড়িয়েছে তুরাগের দিকে। তুরাগ দখলের প্রাথমিক পর্যায়ে যদি আমরা রুখে দিতে পারি, এই দখলদারদের তবে জয় আমাদের অনিবার্য। আমাদের নিজেদের এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের বিশুদ্ধ পানি, খাবার আর নির্মল প্রানবন্ত পরিবেশে বাঁচার অধিকার নিশ্চিত করেতে তুরাগকে রক্ষা করতে হবে।

গত কয়েক মাস আমি তুরাগ নদীর বিভিন্ন এলাকার দখলের ছবি তুলেছি। খুব বেশি পরিমান দখল এখনো শুরু হয়নি। সেচ্ছাশ্রমে কাজ করে এমন কিছু ব্যক্তির মাধ্যমে আমরা ১৯০টি দখলের তালিকা আমার তৈরি করেছি। প্রাথমিকভাবে এই দখলদার ও তাদের স্থাপনা উচ্ছেদ করতে পারলেই তুরাগ রক্ষায় কার্যকর সমাধান হবে। আমাদের সংগ্রহ করা ছবিগুলো আমরা নিয়মিত বিভিন্ন গণমাধ্যম, সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্টানগুলোতে পাঠিয়েছি। ইতিমধ্যেই অনেক গণমাধ্যম এই বিষয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। কিন্তু তাতে তো তুরাগের দখল থামে না। আসুন আর একটু কঠোর হই। আর একটু জোরে কন্ঠ ছাড়ি। বুঝতে শিখি তুরাগ আমার নদী। এই নদীতে যতটা মালিকানা আমার তারচেয়ে অনেক কম দাবীদার ঐসকল দখলদার। আইন, আদালত, সাহসী, সচেতন মানুষ সবই আছে আমাদের পক্ষে। তারপরও চোখের সামানে তুরাগ শেষ হতে পারে না।



তুরাগ নদী আমাদের নদী। আমার আমাদের মালিকানা বুঝে নিতে চাই। আমার স্বার্থে, আমার ভবিষ্যৎ প্রজন্ম রক্ষার স্বার্থে।