সুন্দরবন ইস্যুটা চাপা পড়ে গেল। কিন্তু কয়েকটা ছেলে-মেয়ে এখনো সুন্দরবন
থেকে ফিরেনি। দিনের পর দিন সুন্দরবন এলাকা থেকে গ্রামবাসীর সহযোগিতায় তেলের
বর্জ্য সংগ্রহ করছে।
বিপুল পরিমাণ তেল চুপচুপে কচুরিপানা এবং
ডালপালা-শিকড় নদী থেকে তুলে এনে যেখানে সেখানে স্তুপ করে ফেলে রাখা হয়েছিল,
কিছু মাটিচাপা দেয়া হয়েছিল বনবিভাগের ব্যবস্থাপনায়। @Anusheh Anadil,
@Tanjilur Rahman এবং তাঁদের বন্ধুরা মিলে এই বাঁশের মাচাগুলো বানিয়ে
চারিদিকে ছড়িয়ে পড়া থেকে রক্ষা করেছেন। তাদের সংগ্রহে এখন প্রায় প্রায় ২০টন
বর্জ্য হয়েছে। এই বর্জ্যগুলোর সঠিক ব্যবস্থাপনার দরকার।
কোন ভাবে
মাটির নিচে পুতে ফেলে স্থানীয় মানুষের ভূগর্স্থ পানি ও মাটি দূষিণত করা
যাবে না । তাছাড়া বর্ষায় যদি নদী/খালে আবার মিশে যায় বর্জ্য। তবে তা বর্জন
করতে হবে।
আগুনে পুড়াতে চাইলে কোথায় পুড়তে হবে। কিভাবে পুড়তে হবে।
কিভাবে পোড়ালে স্বাস্থ্য ও পরিবেশের ঝুঁকি কমবে? এগুলো হল প্রশ্ন। এই
প্রশ্নের উত্তর চায় আমাদের সুন্দরবনের অবস্থানকারী বন্ধুরা।
সুন্দরবন
মানে বাঘ, কুমির, ডলফিনের বন নয়। সুন্দরবন ঘিরে থাকা মানুষগুলো, নদীর
পাড়ের ছোট মাছরাঙা, ছোট ছোট কীটপতঙ্গগুলোরও বন সুন্দরবন। সুতরাং সুন্দরবনের
আশে পাশে এই বর্জ্যগুলো সঠিক ব্যবস্থাপনার আগে বাঘ, কুমির, ডলফিনের
পাশাপাশি সুন্দরবনের আশেপাশে বসবাসকারী মানুষগুলোর স্বাস্থ্য, কৃষি, খাদ্য
নিরাপত্তার কথা কথা বিবেচনায় আনতে হবে।
যে মানুষগুলো সুন্দরবনে তেল
কাদায় মাখামাখি করে বর্জ্যগুলো সংগ্রহে ব্যস্ত। তারা কেউ কিন্তু সেচ্ছাসেবি
প্রতিষ্ঠান কিংবা সুন্দরবন তাদের কারো বসতি নয়। তবুও নাড়ীর টান। কারণ এই
মানুষগুলো বিশ্বাস করে তারা প্রকৃতির সন্তান।
এই মানুষগুলো বিশ্বাস
করে আধুনিকতা, জ্ঞান, উন্নয়ন, প্রযুক্তির উদ্দেশ্য হল প্রকৃতিকে বশে আনা
কিংবা প্রকৃতি থেকে বিছিন্ন হওয়ার প্রচেষ্টা নয়। প্রকৃতির কাছাকাছি বসবাস
আর অভ্যস্থ হয়ে উঠার নামই টেকসই উন্নয়ন। তাই তারা প্রকৃতির পক্ষে লড়ে।
আমি
আপনি হয়তো সুন্দরবন যেতে পারিনি। কিন্তু যে ছেলে মেয়েগুলো স্থানীয়
গ্রামবাসীর সহযোগিতায় এত বড় একটা কাজ করেছে। তাদের পাশে তো দাড়াতে পারি।
আমরা
তো বলতেই পারি সাড়ে তিন লাখ লিটার তেল ব্যবস্থাপনার সামর্থ্য আমাদের নেই।
কিন্তু ২০টন বর্জ্য ব্যবস্থাপনার শক্তি কি আমাদের নেই? যদি শক্তি না থাকে,
আমাদের শক্তি অর্জন করতে হবে। কারণ দূর্যোগ মোকাবেলার শক্তি আমাদেরই অর্জন
করতে হবে।
আর এই শক্তি অর্জনে যে মানুষগুলো এগিয়ে আসে রাষ্ট্রের দূযোর্গে সবার আগে।
তাদের সমর্থন জানানো, সাহস জোগানো অন্যতম কাজ। আমার বিশ্বাস করি তরুনা
পরিবর্তন আনবে । যদি এই তরুনদের কর্মকান্ডে আপনি যুক্ত না হন । তবে কি করে
পরিবর্তন আসবে।
কোন আর্থিক সহযোগিতা নয়। আমরা বন্ধুরা সুন্দরবনে
অপেক্ষায় আছে কি করে বর্জ্যগুলো পরিবেশসম্মত ব্যবস্থাপনা করতে পারে। আসুন
মতামত দিয়ে তাদের সহযোগিতা করি।
Tuesday 6 January 2015
Thursday 1 January 2015
কোমল পানীয় কোম্পানীর মিথ্যা ও অনৈতিক বিজ্ঞাপন:
অধ্যাদেশ ১৯৫৯ মিথ্যা প্রচারণার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা বিষয়ে ১৯ ধারার (১) এ
বলা আছে, কোন ব্যক্তি এমন বিজ্ঞাপন প্রকাশ করিবেন না, তাহা কোন
খাদ্যবস্তুকে মিথ্যাভাবে বর্ণনা করে বা এর প্রকৃতি, বস্তু বা মান সর্ম্পকে
ভিন্নরূপ ধরাণা দিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করে।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর ৪৪ ধারায় বলা আছে, মিথ্যা বিজ্ঞাপন দ্বারা ক্রেতা সাধারনখে প্রতারিত করিবার দন্ড। -কোন ব্যক্তি কোন পণ্য বা সেবা বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে অসত্য বা মিথ্যা বিজ্ঞাপন দ্বারা ক্রেতা সাধারণকে প্রতারিত করিলে তিনি অনুর্ধ্ব এক বৎসর কারাদন্ড, বা অনাধিক দুই লক্ষ টাকা অর্থদন্ড, বা উভয় দন্ডে দন্ডিত হইবেন।
দুনিয়াব্যাপী বহুজার্তিক কোম্পানীগুলো মুনাফাকে প্রাধান্য দিতে গিয়ে নীতি নৈতিকাকে বিন্দুমাত্র তোয়াক্কা করে না। নামকরা কোমল পানীয় কোম্পানীগুলো অনৈতিক বিজ্ঞাপন প্রচারে র্শীষে। আমাদের মত দেশগুলোতে বিজ্ঞাপন নিয়ন্ত্রণে নীতিমালা না থাকায় কোম্পানীগুলো অসত্য,মিথ্যা, বিভ্রান্তকর তথ্য দিয়ে তাদের পণ্যের প্রচার করছে। এক্ষেত্রে কোমল পানীয় কোম্পানীগুলো অপ্রতিরোধ্য।
মনোলোভা বিজ্ঞাপন দিয়ে কোমল পানীয়ের নামে বিষ তুলে দেয়া হচ্ছে শিশুদের। বিজ্ঞাপনের চমৎকারিত্বের আড়ালে মানুষকে প্রতারিত করে অবাধে ক্ষতিকর কোমল পানীয় বেচা-কেনা চলছে। শিশুদের স্কুলের গেইট, এমনকি পুলিশের থানার গেইটে কোমল পানীয় বিজ্ঞাপন দেখা যাচ্ছে।
ভারতে হিমাচল প্রদেশের মানালী-রোহতাং হাইওয়ের দুপাশের পর্বতে পাথড়ে গায়ে রং দিয়ে কোকাকোলা ও পেপসি তাদের পণ্যের বিজ্ঞাপন দেয়। সুপ্রীম কোর্ট ২০০২ সালে ১৭ সেপ্টেম্বর প্রত্যেক কোম্পানীকে ২লাখ টাকা করে জরিমানা করে। ভারতে সংসদীয় কমিটি তাদের এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করে কোকাকোলা-পেপসি তাদের ভ্রান্ত বিজ্ঞাপন দিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করছে। শিশুদের আকৃষ্টি করেই কোম্পানীগুলো বিজ্ঞাপনগুলো তৈরি করা হয়।
কয়েক যুগ ধরে ভ্রান্ত তথ্যেও বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে কোমল পানীয় কোম্পানীগুলো ইতিমধ্যে একটি প্রজন্মের কাছে কোমল পানীয় মানে স্বাস্থ্যকর, বিশুদ্ধ পানীয় রূপে নিজেদের পরিচয় নিয়েছে। বাংলাদেশে কোমল পানীয় বিজ্ঞাপনের কোন নিয়ন্ত্রণই নেই। যথাযথ কতৃপক্ষের দূর্বলতার সুযোগ নিয়ে মুনাফালোভী, ক্ষতিকরণ কোমল পানীয় তাদের অনৈতিক, ভ্রান্ত তথ্য নির্ভর বিজ্ঞাপন প্রচারে মাধ্যমে মানুষদের আকৃষ্টি করেই যাচ্ছে।
এক বাক্যে বলা যায় কোমল পানীয় ক্ষতিকর অপ্রয়োজনীয় বিলাসী পানীয়। কেবলমাত্র জনমত তৈরি করেই এর ব্যবহার কমিয়ে আনা সম্ভব নয়। সচেনতার পাশাপাশি এই ক্ষতিকারক পানীয়টি নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রয়োজন সুনিদিষ্ট আইন। সরকারী ও সামাজিক ভাবে কিছু উদ্দ্যোগ গ্রহন করলে বহুলাংশে কোমল পানীয় নিয়ন্ত্রণ সম্ভব।
যেমন : কোমল পানীয় বোতল এবং মোড়কে স্বাস্থ্য সর্তকবাণী লিখতে হবে। কোমল পানীয়তে কি পরিমাণ কীটনাশক থাকে তা উল্লেখ্য করতে হবে। শিশুদের বিদ্যালয়ের ক্যান্টিন এবং চারপাশের একটি নিদিষ্ট সীমানায় কোমল পানীয় বিক্রি নিষিদ্ধ করতে হবে।
কোমল পানীয় প্রতি ভ্যাট, ট্যাক্স বাড়াতে হবে। র্সবপরি কোমল পানীয় নিয়ন্ত্রণে একটি নীতিমালা তৈরি করতে হবে। টেলিভিশন, সংবাদপত্রসহ সকল প্রকার প্রচার মাধ্যমে কোমল পানীয় বিজ্ঞাপন নিষিদ্ধ করতে হবে।
শুধুমাত্র অর্থনীতির দোহাই দিয়ে বিষাক্ত কোমল পানীয় বেচা-কেনা বন্ধে সরকারের দায়িত্ব এড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ নেই। মনে রাখতে হবে আমরা ব্যবসা চাই কিন্তু জনস্বাস্থ্য, পরিবেশ, প্রাণ ও প্রকৃতি, সংস্কৃতি বিকিয়ে দিয়ে ব্যবসার করার অধিকার রাষ্ট্রেকে কেউ দেয়নি। তাই জনস্বার্থে মানবদেহের জন্য তিকর কোমল পানীয় বেচা-কেনা বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা রাষ্ট্রকে নিতে হবে।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর ৪৪ ধারায় বলা আছে, মিথ্যা বিজ্ঞাপন দ্বারা ক্রেতা সাধারনখে প্রতারিত করিবার দন্ড। -কোন ব্যক্তি কোন পণ্য বা সেবা বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে অসত্য বা মিথ্যা বিজ্ঞাপন দ্বারা ক্রেতা সাধারণকে প্রতারিত করিলে তিনি অনুর্ধ্ব এক বৎসর কারাদন্ড, বা অনাধিক দুই লক্ষ টাকা অর্থদন্ড, বা উভয় দন্ডে দন্ডিত হইবেন।
দুনিয়াব্যাপী বহুজার্তিক কোম্পানীগুলো মুনাফাকে প্রাধান্য দিতে গিয়ে নীতি নৈতিকাকে বিন্দুমাত্র তোয়াক্কা করে না। নামকরা কোমল পানীয় কোম্পানীগুলো অনৈতিক বিজ্ঞাপন প্রচারে র্শীষে। আমাদের মত দেশগুলোতে বিজ্ঞাপন নিয়ন্ত্রণে নীতিমালা না থাকায় কোম্পানীগুলো অসত্য,মিথ্যা, বিভ্রান্তকর তথ্য দিয়ে তাদের পণ্যের প্রচার করছে। এক্ষেত্রে কোমল পানীয় কোম্পানীগুলো অপ্রতিরোধ্য।
মনোলোভা বিজ্ঞাপন দিয়ে কোমল পানীয়ের নামে বিষ তুলে দেয়া হচ্ছে শিশুদের। বিজ্ঞাপনের চমৎকারিত্বের আড়ালে মানুষকে প্রতারিত করে অবাধে ক্ষতিকর কোমল পানীয় বেচা-কেনা চলছে। শিশুদের স্কুলের গেইট, এমনকি পুলিশের থানার গেইটে কোমল পানীয় বিজ্ঞাপন দেখা যাচ্ছে।
ভারতে হিমাচল প্রদেশের মানালী-রোহতাং হাইওয়ের দুপাশের পর্বতে পাথড়ে গায়ে রং দিয়ে কোকাকোলা ও পেপসি তাদের পণ্যের বিজ্ঞাপন দেয়। সুপ্রীম কোর্ট ২০০২ সালে ১৭ সেপ্টেম্বর প্রত্যেক কোম্পানীকে ২লাখ টাকা করে জরিমানা করে। ভারতে সংসদীয় কমিটি তাদের এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করে কোকাকোলা-পেপসি তাদের ভ্রান্ত বিজ্ঞাপন দিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করছে। শিশুদের আকৃষ্টি করেই কোম্পানীগুলো বিজ্ঞাপনগুলো তৈরি করা হয়।
কয়েক যুগ ধরে ভ্রান্ত তথ্যেও বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে কোমল পানীয় কোম্পানীগুলো ইতিমধ্যে একটি প্রজন্মের কাছে কোমল পানীয় মানে স্বাস্থ্যকর, বিশুদ্ধ পানীয় রূপে নিজেদের পরিচয় নিয়েছে। বাংলাদেশে কোমল পানীয় বিজ্ঞাপনের কোন নিয়ন্ত্রণই নেই। যথাযথ কতৃপক্ষের দূর্বলতার সুযোগ নিয়ে মুনাফালোভী, ক্ষতিকরণ কোমল পানীয় তাদের অনৈতিক, ভ্রান্ত তথ্য নির্ভর বিজ্ঞাপন প্রচারে মাধ্যমে মানুষদের আকৃষ্টি করেই যাচ্ছে।
এক বাক্যে বলা যায় কোমল পানীয় ক্ষতিকর অপ্রয়োজনীয় বিলাসী পানীয়। কেবলমাত্র জনমত তৈরি করেই এর ব্যবহার কমিয়ে আনা সম্ভব নয়। সচেনতার পাশাপাশি এই ক্ষতিকারক পানীয়টি নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রয়োজন সুনিদিষ্ট আইন। সরকারী ও সামাজিক ভাবে কিছু উদ্দ্যোগ গ্রহন করলে বহুলাংশে কোমল পানীয় নিয়ন্ত্রণ সম্ভব।
যেমন : কোমল পানীয় বোতল এবং মোড়কে স্বাস্থ্য সর্তকবাণী লিখতে হবে। কোমল পানীয়তে কি পরিমাণ কীটনাশক থাকে তা উল্লেখ্য করতে হবে। শিশুদের বিদ্যালয়ের ক্যান্টিন এবং চারপাশের একটি নিদিষ্ট সীমানায় কোমল পানীয় বিক্রি নিষিদ্ধ করতে হবে।
কোমল পানীয় প্রতি ভ্যাট, ট্যাক্স বাড়াতে হবে। র্সবপরি কোমল পানীয় নিয়ন্ত্রণে একটি নীতিমালা তৈরি করতে হবে। টেলিভিশন, সংবাদপত্রসহ সকল প্রকার প্রচার মাধ্যমে কোমল পানীয় বিজ্ঞাপন নিষিদ্ধ করতে হবে।
শুধুমাত্র অর্থনীতির দোহাই দিয়ে বিষাক্ত কোমল পানীয় বেচা-কেনা বন্ধে সরকারের দায়িত্ব এড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ নেই। মনে রাখতে হবে আমরা ব্যবসা চাই কিন্তু জনস্বাস্থ্য, পরিবেশ, প্রাণ ও প্রকৃতি, সংস্কৃতি বিকিয়ে দিয়ে ব্যবসার করার অধিকার রাষ্ট্রেকে কেউ দেয়নি। তাই জনস্বার্থে মানবদেহের জন্য তিকর কোমল পানীয় বেচা-কেনা বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা রাষ্ট্রকে নিতে হবে।
তুরাগ নদী আমাদের নদী। আমার আমাদের মালিকানা বুঝে নিতে চাই। আমার স্বার্থে, আমার ভবিষ্যৎ প্রজন্ম রক্ষার স্বার্থে।
ঢাকার চারপাশে যে চারটি নদী আছে তার মধ্যে তুরাগ অন্যতম। তুরাগ নদী ও তার
দুইপারের বিস্তৃণ সবুজ বেষ্টনী ঢাকা, সাভার, গাজীপুর, টাংঙ্গাইলসহ বিশাল
এলাকাকে এখন সবুজের মোড়কে জড়িয়ে রেখেছে। এই তুরাগ আজ বিপন্ন।
তুরাগের দুই পারে উন্নয়নের নামে কিছু ব্যক্তি ও গোষ্ঠী বিশেষ দখলে নেমে। এই শহর, বুড়িগঙ্গাকে গ্রাস করে এখন তারা হাত বাড়িয়েছে তুরাগের দিকে। তুরাগ দখলের প্রাথমিক পর্যায়ে যদি আমরা রুখে দিতে পারি, এই দখলদারদের তবে জয় আমাদের অনিবার্য। আমাদের নিজেদের এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের বিশুদ্ধ পানি, খাবার আর নির্মল প্রানবন্ত পরিবেশে বাঁচার অধিকার নিশ্চিত করেতে তুরাগকে রক্ষা করতে হবে।
গত কয়েক মাস আমি তুরাগ নদীর বিভিন্ন এলাকার দখলের ছবি তুলেছি। খুব বেশি পরিমান দখল এখনো শুরু হয়নি। সেচ্ছাশ্রমে কাজ করে এমন কিছু ব্যক্তির মাধ্যমে আমরা ১৯০টি দখলের তালিকা আমার তৈরি করেছি। প্রাথমিকভাবে এই দখলদার ও তাদের স্থাপনা উচ্ছেদ করতে পারলেই তুরাগ রক্ষায় কার্যকর সমাধান হবে। আমাদের সংগ্রহ করা ছবিগুলো আমরা নিয়মিত বিভিন্ন গণমাধ্যম, সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্টানগুলোতে পাঠিয়েছি। ইতিমধ্যেই অনেক গণমাধ্যম এই বিষয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। কিন্তু তাতে তো তুরাগের দখল থামে না। আসুন আর একটু কঠোর হই। আর একটু জোরে কন্ঠ ছাড়ি। বুঝতে শিখি তুরাগ আমার নদী। এই নদীতে যতটা মালিকানা আমার তারচেয়ে অনেক কম দাবীদার ঐসকল দখলদার। আইন, আদালত, সাহসী, সচেতন মানুষ সবই আছে আমাদের পক্ষে। তারপরও চোখের সামানে তুরাগ শেষ হতে পারে না।
তুরাগ নদী আমাদের নদী। আমার আমাদের মালিকানা বুঝে নিতে চাই। আমার স্বার্থে, আমার ভবিষ্যৎ প্রজন্ম রক্ষার স্বার্থে।
তুরাগের দুই পারে উন্নয়নের নামে কিছু ব্যক্তি ও গোষ্ঠী বিশেষ দখলে নেমে। এই শহর, বুড়িগঙ্গাকে গ্রাস করে এখন তারা হাত বাড়িয়েছে তুরাগের দিকে। তুরাগ দখলের প্রাথমিক পর্যায়ে যদি আমরা রুখে দিতে পারি, এই দখলদারদের তবে জয় আমাদের অনিবার্য। আমাদের নিজেদের এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের বিশুদ্ধ পানি, খাবার আর নির্মল প্রানবন্ত পরিবেশে বাঁচার অধিকার নিশ্চিত করেতে তুরাগকে রক্ষা করতে হবে।
গত কয়েক মাস আমি তুরাগ নদীর বিভিন্ন এলাকার দখলের ছবি তুলেছি। খুব বেশি পরিমান দখল এখনো শুরু হয়নি। সেচ্ছাশ্রমে কাজ করে এমন কিছু ব্যক্তির মাধ্যমে আমরা ১৯০টি দখলের তালিকা আমার তৈরি করেছি। প্রাথমিকভাবে এই দখলদার ও তাদের স্থাপনা উচ্ছেদ করতে পারলেই তুরাগ রক্ষায় কার্যকর সমাধান হবে। আমাদের সংগ্রহ করা ছবিগুলো আমরা নিয়মিত বিভিন্ন গণমাধ্যম, সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্টানগুলোতে পাঠিয়েছি। ইতিমধ্যেই অনেক গণমাধ্যম এই বিষয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। কিন্তু তাতে তো তুরাগের দখল থামে না। আসুন আর একটু কঠোর হই। আর একটু জোরে কন্ঠ ছাড়ি। বুঝতে শিখি তুরাগ আমার নদী। এই নদীতে যতটা মালিকানা আমার তারচেয়ে অনেক কম দাবীদার ঐসকল দখলদার। আইন, আদালত, সাহসী, সচেতন মানুষ সবই আছে আমাদের পক্ষে। তারপরও চোখের সামানে তুরাগ শেষ হতে পারে না।
তুরাগ নদী আমাদের নদী। আমার আমাদের মালিকানা বুঝে নিতে চাই। আমার স্বার্থে, আমার ভবিষ্যৎ প্রজন্ম রক্ষার স্বার্থে।
Subscribe to:
Posts (Atom)