Friday 3 April 2015

রেলের ভাড়া বৃদ্ধি নয়, সেবার মান বাড়াও

রেলের ভাড়া বৃদ্ধি নয়, সেবার মান বাড়াও


৩ এপ্রিল ২০১৫ জাতীয় প্রেসকাব, ঢাকায় নিরাপদ ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন এর উদ্যোগে রেলের ভাড়া বৃদ্ধি নয়, সেবার মান বাড়াও দাবিতে এবং রেলের ভাড়া বৃদ্ধির প্রতিবাদে নাগরিক সমাবেশ অনুষ্টিত হয়।
এডভোকেট সুলতান মাহমুদ বান্না‘র সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন এনডিএফ এর চেয়ারম্যান ইবনুল সাঈদ রানা, সম্মিলিত জলাধার রা আন্দোলনের সদস্যসচিব মশিউর রহমান রুবেল, স্বদেশ মৃত্তিকা মানব উন্নয়ন সংস্থার সভাপতি আকবর হোসেন, নিরাপদ ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন এর ডিরেক্টর আলাউদ্দিন, এসইএল ভলান্টিয়ার্স এর সদস্য হারেজ আলী, কামাল হোসেন, রেজাউল করিম, সানবিন ইসলাম, আমেনা ইয়াসমিন ইতি, ওমড় ফারুক, মুহাইমিনুল ইসলাম লিমন, কামরুল হাসান ফরাজি ইয়াসির আরাফাত এবং নিরাপদ ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশনের সদস্যবৃন্দ প্রমূখ। সভায় সভাপতিত্ব করেণ পিস এর সমাসচিব ইফমা হোসাইন।

সভায় বক্তারা বলেন রেলের ভাড়া বৃদ্ধি রেলের যাত্রীদের অন্যপথে চলায় বাধ্য করবে।  রেলের ভাড়া বাড়ানো নয়, সেবার মান বাড়ানো হউক, রেলের অপচয়, দূর্নিতি অব্যবস্থাপনা দূর করার উদ্যোগ নেয়া হউক। রাষ্ট্রের সেবা প্রতিষ্ঠান রেল, এটা বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান নয়, এটার লাভ লোকসান বর্ণনার প্রয়োজন নেই, প্রয়োজন সেবার মান বৃদ্ধি। 

সেবার মান বাড়ানো ও লোকসান কমানোর অজুহাতে রেলের ভাড়া বাড়ানোর উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। যাহা রেল এর সুনাম নষ্ট করার জন্য আরোও একবার চেষ্টা। আবারো বাড়ানো হচ্ছে রেল ভাড়া। ইতিপূর্বে আড়াই বছর আগে একবার রেলের ভাড়া বাড়ানো হয়েছে।  পান্তরে বাড়েনি কোন সেবার মান। বেড়েছে টিকেট কালোবাজারী, বেড়েছে রেলের উন্নয়নের নামে পুকুরচুড়ি। নতুন করে ভাড়া বাড়ানোর েেত্র যুক্তি দেখানো হচ্ছে- প্রতিবেশী দেশের তুলনায় এদেশে রেলের ভাড়া কম। এজন্য রুট ও ট্রেন ভেদে ১০ থেকে ১৫ শতাংশ ভাড়া বাড়ানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। তাছাড়া রেলে পণ্য ও কনটেইনার পরিবহনে ভাড়া ১৫ শতাংশ  পার্সেল পরিবহনে ক্ষেত্রে ১০ শতাংশ ভাড়া বাড়ানো পায়তারা চলছে। ইতিপূর্বে বিগত ২০১২ সালের অক্টোবরে রেলের যাত্রী ও পণ্য উভয় ক্ষেত্রেই ৫০ শতাংশ ভাড়া বাড়ানো হয়। যদিও বিভিন্ন যাত্রীবাহী ট্রেনে ভাড়ায় ছাড় তুলে দেয়ায় প্রকৃতপে ভাড়া বেড়ে যায় ৭০ থেকে ১১০ ভাগ। যার ফলে রেলে যাত্রী ও পণ্য পরিবহন কমে যায়, এতে তিগ্রস্ত হয় রেলের সুনাম।

২০১২ সালের অক্টোবরে রেলের ভাড়া বাড়ানোর ক্ষেত্রে যাত্রী পরিবহন ভাড়া কিলোমিটার প্রতি ২৪ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ৩৬ পয়সা করা হয়েছিল। নতুনভাবে ভাড়া বাড়ানোর ক্ষেত্রে তা বাড়িয়ে ৪০ পয়সার করা হচ্ছে। নতুন করে ভাড়া বাড়ানোর পরও এদেশের রেল ভাড়া প্রতিবেশী ভারতের চেয়ে কমই থাকবে বলে দাবি করছেন রেল সংশ্লিষ্টরা, যা প্রশ্নবিদ্য। আমাদের প্রশ্ন প্রতিবেশী দেশের তুলনায় আমাদের রেলের সেবার মান বৃদ্ধি পাচ্ছে কতটুকু?

সভায় সরকারের প্রতি দাবি করা হয়
১। রেলের ভাড়া বৃদ্ধি নয়, সেবার মান বাড়াও
২। রেলের আসন, বগি (কোচ) বাড়াও, ট্রিপ বাড়াও
৩। প্রতিটি লাইনে ট্রেন সংখ্যা বাড়াও
৪। প্রতিটি ষ্টেশন  টয়লেট, বিশ্রামাগার পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখার উদ্যোগ নাও
৫। সারা দেশে নতুন করে রেল লাইন স্থাপনের উদ্যোগ নাও
৬। ট্রেনের সময়সূচী ঠিক রাখার উদ্যোগ নাও
৭। রেলের উন্নয়নের জন্য প্রতিবেশী দেশের সাথে তাল মিলিয়ে খরচ করা নয়, সেবার মান নিশ্চিত কর
৮। রেলের সম্পত্তি ইজারা বা লিজ দিয়ে রেলকে ধ্বংস করা যাবে না। সকল সম্পত্তির হিসাব জন সম্মুখে প্রকাশ করা হউক
৯। রেলের মান উন্নয়নে রেলের কর্মকর্তা কর্মচারীদের দতা বৃদ্ধির প্রশিন এর ব্যবস্থা করা হউক
১০। দ কর্মকর্তা কর্মচারীদের ভাল কাজের জন্য পুরস্কার এবং অদদের তিরস্কার নিশ্চিত করা হউক

Wednesday 1 April 2015

বুড়িগঙ্গা আদি চ্যানেল দখল, ভরাট ও দূষণমুক্ত কর


                                     বুড়িগঙ্গা আদি চ্যানেল দখল, ভরাট ও দূষণমুক্ত কর



বেপরোয়া  দখল-ভরাট এবং ক্রমবর্ধমান দূষণ ও অব্যাহত আগ্রাসনের ফলে বুড়িগঙ্গার আদি চ্যানেল এখন মৃত প্রায়। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ ও মহামান্য হাইকোর্টের সুস্পষ্ট নির্দেশনা থাকলেও ঢাকার প্রাণস্বরূপ বুড়িগঙ্গার আদি চ্যানেল পুণরুদ্ধারে বিভিন্ন সময়ে বিচ্ছিন্ন কিছু উচ্ছেদ অভিযান ছাড়া কিছু হয়নি। যা আদি চ্যানেল উদ্ধারে কোন কাজে আসেনি। মহানগরী ঢাকার জনস্বাস্থ্য, পরিবেশ ও অর্থনীতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বুড়িগঙ্গার এই আদি চ্যানেলের সরকারি বেসরকারি সকল দখল অবিলম্বে উচ্ছেদ করে বুড়িগঙ্গা আদি চ্যানেল পুণরুদ্ধার করা হোক। আজ ২৮ মার্চ ২০১৫, শনিবার, সকাল ১১ টায়, জাতীয় প্রেসকাবের সামনে পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (পবা) সহ ১৪টি সংগঠনের যৌথ উদ্যোগে এক মানববন্ধনে বক্তারা উক্ত দাবী জানান।

নাসফের সভাপতি ও পবার যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমান ময়নার সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন পবার নির্বাহী সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী মো: আবদুস সোবহান, পবার সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য মনজুর হাসান দিলু, শামীম খান টিটো, পবার সমন্বয়কারী আতিক মোরশেদ, গ্রীণমাইন্ড সোসাইটির সভাপতি আমির হাসান, পল্লীমা গ্রীণের সদস্য সচিব আনিসুল হোসেন তারিক, বিসিএইচআরডির নির্বাহী পরিচালক মো: মাহবুল হক, দেবীদাস ঘাট সমাজ কল্যাণ সংসদের সভাপতি মো: মুসা, পীসের মহাসচিব ইফমা হোসাইন, আইইডির সহকারী সমন্বয়কারী তারিক হাসান মিঠুল, কাজী এনায়েত হোসেন প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নদী খাল জলাধার দখল ভরাট বন্ধে বিভিন্ন সময়ে নির্দেশনা দিয়ে আসছেন এবং সম্প্রতি কুড়িল ফাইওভারের ওখানে দুটি লেক করে নদীর সাথে সরাসরি সংযোগ স্থাপনের বিষয়ে জোরালে বক্তব্য দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য এবং মহামান্য হাইকোর্টের নির্দেশনা থাকলেও দখল ভরাট ও দূষণে বুড়িগঙ্গা আদি চ্যানেল সংলগ্ন ঢাকার পশ্চিমাঞ্চলের মো:পুর, রায়েরবাজার, হাজারীবাগ, কালুনগর, ভাগলপুর, নবাবগঞ্জ, শহীদনগর, কামালডাঙ্গা, ইসলামবাগসহ এ এলাকার খালগুলোও এখন মরতে বসেছে। ফলে বর্ষার সময় এই এলাকা সামান্য বৃষ্টিতেই ভয়াবহ জলাবদ্ধতার মুখে পড়ে। অধিক বৃষ্টিতে অনেক ঘরবাড়ি পানিতে তলিয়ে যায়। জনগণের দুর্ভোগ তখন আরও প্রকট আকার ধারণ করে। মহানগরীর পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্যের কথা বিবেচনা করে স্থানীয় জনসাধারণ, মহানগরবাসী, পরিবেশ বিশেষজ্ঞসহ সুশীল সমাজ দখলের এই জঘন্য প্রতিযোগিতা বন্ধে সরকারের কঠোর হস্তেেপর দাবী জানিয়ে আসছেন। 

মানববন্ধন থেকে নিন্মোক্ত দাবীসমূহ জানানো হয়ঃ

ক্স    বুড়িগঙ্গা আদি চ্যানেল দখল ভরাট করে নির্মাণকৃত কারখানা ও বাড়িঘরের পানি বিদ্যুৎ গ্যাসসহ সকল নাগরিক সুযোগ এখনই বন্ধ করে দেয়া এবং অবিলম্বে সকল দখল ও ভরাট এবং দূষণমুক্ত করতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা।
ক্স    সিএস রের্কড অনুযায়ী বুড়িগঙ্গার আদি চ্যানেলের সিমানা নির্ধারণ করে স্থায়ী পিলার স্থাপন করা।
ক্স    বুড়িগঙ্গার আদি চ্যানেলে প্রদত্ত ভ’মি বরাদ্দসমূহ সরকার কর্তৃক অনতিবিলম্বে বাতিল করা।
ক্স    ব্যক্তি ও সংস্থার নামে বুড়িগঙ্গার আদি চ্যানেলের রেকর্ডসমূহ আইন বহির্ভূত ঘোষণা করে সেগুলো বাতিল করা।
ক্স    খনন করে আদি চ্যানেলের গতি প্রবাহ পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে আনা।
ক্স    নদী দূষণমুক্ত করার লক্ষে পয়ঃবর্জ্য পরিশোনাগার স্থাপন; গৃহস্থালী বর্জ্য পানি প্রবাহে ফেলা থেকে বিরত থাকা; ট্যানারীগুলো জরুরীভিত্তিতে স্থানান্তর এবং বর্জ্য পরিশোধনাগার স্থাপন ও বর্জ্য পরিশোধন করা; শিল্পকারখানায় বর্জ্য পরিশোনাগার স্থাপন এবং নিয়মিত তা পরিচালনা করা, নৌযানের বর্জ্য ও তেল নদীতে ফেলা থেকে বিরত থাকা।