Sunday 31 January 2016

ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালকে স্বাধীনতা পদক/একুশে পদক প্রদান প্রসঙ্গে।

বরাবর
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়
ঢাকা, বাংলাদেশ।


বিষয় : ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালকে স্বাধীনতা পদক/একুশে পদক প্রদান প্রসঙ্গে।

জনাব
শুভেচ্ছা নিবেন।  নানা সীমাবদ্ধতার মাঝেও দেশের চিকিৎসা সেবায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল আস্থার নাম। গভীর রাত, ভোর, দুপুর, হরতাল, বন্যা, বিত্তবান-বিত্তহীন, সজ্ঞান-অজ্ঞান কারো জন্য এই হাসপাতালের দরজা বন্ধ হয় না। গত ৬৭বছরে এই হাসপাতাল কত কোটি পরিচয়হীন আর ভারী পরিচয়যুক্ত মানুষের সুখ,দু:খের সাথী হয়েছে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল তার হিসেব কোথাও নেই। মাত্র দুই হাজারের মত কর্মকর্তা কর্মচারী দিয়ে বছরে এখনও ১০ লরে বেশি মানুষকে সরাসরি সেবা দেয় এই হাসপাতালটি।

শুধু জনস্বাস্থ্যই নয়, ভাষা আন্দোলন, ষাটের দশকে ছাত্র ও জাতীয় রাজনীতিতে, মুক্তিযুদ্ধ, স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ছাত্র,চিকিৎসক,কর্মকর্তা,কর্মচারীরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। দেশের প্রয়োজনে অস্ত্র হাতে যোদ্ধা, জনস্বাস্থ্য রক্ষায় চিকিৎস, দেশের গঠনের অসংখ্য কারিগর তৈরির কারখানা এই ঢামেক।

সীমিত লোকবল, সীমিত সম্পদ এর পাশাপাশি নানাবিধ সমস্যার কারণে এই রাষ্ট্রায়ত্ত্ব হাসপাতালের সেবা নিয়ে প্রতিনিয়ত প্রশ্ন উঠে। তথাপি গরীব সাধারণ মানুষের চিকিৎসায় আশ্রয়স্থল হাসপাতাল। রাষ্ট্রীয় এই হাসপাতাল সেবা নিয়ে নানা ধরনের অভিযোগ রয়েছে , কিন্তু সেবা প্রদানের নূন্যতম স্বীকৃতি নেই।

ভাষা আন্দোলন, ষাটের দশকে ছাত্র ও জাতীয় রাজনীতি, মুক্তিযুদ্ধ, স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনসহ দেশের জনস্বাস্থ্য রক্ষায় স্বীকৃতি সরূপ ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের অবদানের জন্য এই হাসপাতালকে স্বাধীনতা পদক / একুশে পদক প্রদান করা হোক। এক ধরনের ইতিবাচক স্বীকৃতি তাদেরকে জনগণকে আন্তরিক সেবাদানে আরো উদ্ধুদ্ধ করবে।

আমরা বিশ্বাস করি আপনার বলিষ্ঠ নেতৃত্ব আর জনগণের দায়িত্বশীল আচরণ ও ভালবাসায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসা কার্যক্রম আরো গতিশীল হয়ে উঠবে।

অনুলিপি :
১.    মাননীয় মন্ত্রী স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
২.     সিনিয়র সচিব, মন্ত্রী পরিষদ বিভাগ, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
৩.    সচিব, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
৪.    মহাপরিচালক, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
৫.    মহাপরিচালক, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল


ধন্যবাদসহ
সৈয়দ সাইফুল আলম
০১৫৫২৪৪২৮১৪

Sunday 24 January 2016

তামাকজাত দ্রব্যের মোড়কে পণ্যের উৎপাদন ও মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখ প্রদান বিষয়ক শুনানী প্রসঙ্গে।

প্রিয় তামাক নিয়ন্ত্রণের সহযোদ্ধা
শুভেচ্ছা নিবেন। দেশে তামাক ও তামাকজাত দ্রব্য নিয়ন্ত্রণে আপনারা যে ভূমিকা নিয়েছেন তা শ্রদ্ধার স্মরণ করছি। গত এক দশকে দেশের মানুষের জনস্বাস্থ্য রক্ষায় তামাক নিয়ন্ত্রণে আপনাদের কাযকর গতিশীল ভূমিকা আমার মত অসংখ্য তরুণদের তামাক নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা  রাখতে উৎসাহ যুগিয়েছে। একথা বলার অপেক্ষা রাখে না তামাক কোম্পানীগুলো এখন আপনাদের ভয়ে ততস্থ। তারপরও দেশে বিভিন্নভাবে কোম্পানীগুলো আইন বিরোধী কর্মকান্ত পরিচালনা করছে। আমরা বিশ্বাস করি আমাদের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা আর দেশের পরিবেশ অর্থনীতি, জনস্বাস্থ্য রক্ষার দৃঢ় প্রত্যয়ের কাছে তাদের সকল অপচেষ্টা ব্যর্থ হবে। যার প্রমাণ ভয়েজ অব ডিসকভারী রুখে দেওয়া, তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন পাশ, বিধিমালা পাশ, আইন সংশোধন, আইন প্রয়োগ ও বাস্তবায়নের মাধ্যমে যা প্রতি নিয়ত আপনারা প্রমাণ দিচ্ছেন। আজ আমরা দৃঢ় প্রত্যয়ের সাথে বলতে পারি তামাক নিয়ন্ত্রণকর্মী  আপনারা এ দেশের জনস্বাস্থ্য রক্ষায় অতন্ত্র প্রহরী।

তামাক নিয়ন্ত্রণের সহযোদ্ধাবৃন্দ
আমি সৈয়দ সাইফুল আলম। জাতীয় ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তরে তামাক কোম্পানীর বিপক্ষে একটি অভিযোগ দাখিল করি। বাংলাদেশ সরকার রাষ্ট্রের জনগনের ভোক্তা অধিকার সংরক্ষনের জন্য ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন,২০০৯ পাশ করেছে। এ আইনের ধারায় ৩৭ বলা হয়েছে, কোন ব্যক্তি বা বিধি দ্বারা কোন পণ্য মোড়কাবদ্ধভাবে বিক্রয় করিবার এবং মোড়কের গায়ে সংশ্লিষ্ট পণ্যের ওজন, পরিমাণ, উৎপাদন, ব্যবহার-বিধি, সর্বোচ্চ খুচরা বিক্রয় মূল্য, উৎপাদনের তারিখ, প্যাকেটজাতকরণের তারিখ এবং মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখ স্পষ্টভাবে লিপিবদ্ধ করিবার বাধ্যবাধকতা লঙ্ঘন করিয়া থাকিলে তিনি অনূর্ধ্ব এক বৎসর কারাদন্ড, বা অনধিক পঞ্চাশ হাজার টাকা অর্থদন্ড, বা উভয় দন্ডে দন্ডিত হইবেন। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন,২০০৯ এ বলা হয়েছে পণ্যের সংজ্ঞায় “পণ্য” অর্থ যে কোন অস্থাবর বাণিজ্যিক সামগ্রী যাহা অর্থ বা মূল্যের বিনিময়ে কোন ক্রেতা-বিক্রেতার নিকট হইতে ক্রয় করেন বা করিতে চুক্তিবদ্ধ হন।

আমার অভিযোগের বিষয়বস্তু ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন,২০০৯ ধারায় ৩৭ অনুযায়ী প্রতিটি তামাক ও তামাকজাত দ্রব্যের মোড়কে অবশ্যই উৎপাদনের তারিখ, প্যাকেটজাতকরণের তারিখ এবং মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখ স্পষ্টভাবে লিপিবদ্ধ করতে হবে। তামাক একটি পচনশীল পণ্য। জনস্বাস্থ্যের ক্ষতিকর এই পণ্যটি কখনোই আজীবন মেয়াদের ব্যবহার উপযোগী হতে পারে না। নিশ্চয় তা একটি নিদিষ্ট মেয়াদ অন্তর ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়ে। এই ব্যবহার অনুযোগী পণ্য জনস্বাস্থ্যের জন্য আরো বেশি ভয়ানক ক্ষতিকর হতে পারে । ভোক্তা হিসেবে একজন তামাকজাত ব্যবহারকারী গ্রাহকের অধিকার আছে তার ক্রয়কৃত পণ্যে  প্যাকেটজাতকরণের তারিখ এবং মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখ জানার।

প্রিয় সহযোদ্ধা
সকলের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টার আমরা বহুবার তামাক কোম্পানীর বহু অপকৌশল রুখে দিয়েছি, নিশ্চিত করেছি জনস্বাস্থ্য। তামাকজাত দ্রব্যের মোড়কের  উৎপাদনের তারিখ, প্যাকেটজাতকরণের তারিখ এবং মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখ স্পষ্টভাবে লিপিবদ্ধ করার দাবী বাস্তবায়নের এই লড়াইয়ে আপনাকে সহযোগী হিসেবে চাই। আপনার মূল্যবান বুদ্ধি ও পরামর্শ নিশ্চয় দেশের তামাক নিয়ন্ত্রণে অতীতের মত এবারও ভূমিকা রাখবে। এই বিষয়ে মতামত, পরামর্শ প্রদানের জন্য অনুরোধ করছি এবং আগামী  শুনানীর দিন উপস্থিত থেকে দাবীর প্রতি জোড়ালো ভূমিকা  রাখার জন্য অনুরোধ করছি। উল্লেখ্য গত ৪ নভেম্বর ২০১৫ জাতীয় ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তরে প্রথম শুনানীর আয়োজন করা হয়। অভিযুক্ত  তামাক কোম্পানীর (বিএটির পক্ষে) প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।

বি:দ্র:  ইমেলের মাধ্যমে আপনাকে আগামী শুনানীর দিন জানিয়ে দেওয়া হবে।

ধন্যবাদসহ

সৈয়দ সাইফুল আলম