তিনদিন পর মেয়ের গায়ে হলুদ । সূর্য ডুবার পর থেকে উৎসব। ছেলে পক্ষের লোকজন আসে মোটর সাইকেলের বিশাল বহর নিয়ে। পুরো এলাকা কাপিয়ে দিল মোটর সাইকেলের হণের শব্দে।
তারপর ভোর রাত পযন্ত চলছে সঙ্গীত অনুষ্ঠান। বাইরে থেকে শিল্পী আনা হয়েছে। কিন্তু শব্দ ছাড়া আর কিছু উপভোগ করার ভাগ্য আমাদের নেই।
তার পরে দিন মেয়ের বাড়ি লোকজন ছেলের বাড়িতে গেল বিশাল বহর নিয়ে। রাতে আবারও শতাধিক মোটর সাইকেল হর্ণ দিয়ে মেয়েদের বাড়ি পযন্ত দিয়ে গেল। আনন্দ আর আনন্দ। পুরো এলাকা বিয়ে বিযে উৎসব আলোর ঝলকানি।
বিনামূল্যের গানের এই উৎসব ব্যাপক বিরক্ত হয়ে গেল। রাত জাগাটা আমাদের জন্য ভয়াবহ যন্ত্রণার। গান বন্ধ বা নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা আমার নেই। কিন্তু হতাশা হলে কি চলে ???
আমি শব্দ দূষণ বিধিমালা ২০০৬ পড়লাম। সেখানে সুস্পষ্ট ভাবে বলা হয়েছে। রাত ১০টার পর উচ্চ শব্দে গান বাজানো নিষেধ। তাছাড়া অনুমতি নেওয়াা বাধ্যতামূলক। তবে অনুমতি কোন ভাবেই ৫ ঘন্টার বেশি হতে পারবে না।
বিধিমালাটি প্রিন্ট করে থানায় দিয়ে আসলাম। পাশাপাশি অনুরোধ করলাম। রাত ১২টা পযন্ত যেন তাদের গান বাজানোর সুযোগ দেওয়া হয়। তবে মটর সাইকেলের ইতরামি যেন বন্ধ হয়।
বাসায় এসে আমি ৮টায় পুলিশকে অনুরোধ করলাম। তারা যেন জানিয়ে দেয় রাত ১২টার পর উচ্চ শব্দে গান বাজাতে নিষেধ করে দিয়ে আসে। টহল পুলিশের গাড়িটি এসে সর্তক করে দিয়ে যায়।
১২টায় আমি পুলিশকে ফোন দিলাম। ধন্যবাদ জানাতে। আজ আর কোন পটকার বিকট শব্দ নেই। গানের উচ্চ শব্দ নেই।
তারপর থেকে যতদিন ১২টার পর উচ্চ শব্দে গান বাজে আমি দুইবার ফোন দেই। একবার পুলিশকে অনুরোধ করি। ২য় বার ফোন দেই ধন্যবাদ দেওয়ার জন্য।
আপনারএলাকায় রাত বিরাতে “ শীলা, শীলা কি……. গান কিংবা বুকটা ফাইটা যায় অথবা যেকোন উচ্চ শব্দ শুধু অভিযোগ দিন ফোনে। বাকি কাজ পুলিশের ।