এক দেশের সঙ্গে অন্যদেশে খেলাধূলা আয়োজনের অন্যতম উদ্দেশ্য দু দেশের
সম্পর্কের উন্নয়ন। দুনিয়াব্যাপী খেলাধূলা আয়োজকদের আয়োজনের এই উদ্দেশ্য ও
লক্ষ্য ব্যাপক পরিবর্তন হয়েছে। এখন পাকিস্তানের ভারত খেলা মানে দুইদেশের
বোমারু বিমানগুলো আর একবার রণসাজে যুদ্ধে যাওয়ার প্রস্তুতি।
বাংলাদেশ/পাকিস্তান, ভারত/পাকিস্তানের খেলা মানে ফেবুর পাতায় পাতায় পাকিস্তানের/ভারতের পতাকার উপর মুতে দেশেপ্রেমের প্রকাশ।
যেখানে
উদ্দেশ্য ছিল এই খেলাধূলাকে কেন্দ্র করে দুইদেশের মধ্যে সর্ম্পকের উন্নয়ন
হবে। সেখানে এই খেলাধূলাকে পুজিঁ করে। রাষ্ট্রের সঙ্গে রাষ্ট্রের যে
সর্ম্পকের সূচনা হচ্ছে তাতে ফলাফল রাষ্ট্রগুলোর জাতীয় বাজেটে হাজার কোটি
টাকার অস্ত্রের খাত বাড়ার পক্ষে জন সমর্থন বাড়ে।
বছর কয়েক পর যদি
খেলার বিরতীর মাঝে বড় বড় অস্ত্র কোম্পানীর বিজ্ঞাপন দেখা যায়। তবে অবাক
হওয়ার কিছু থাকবে না। কারণ ক্রীড়া আসর মানেই দেশপ্রেম পুজিঁ করে দুদেশের
পতাকায় মুতামুতি। যুদ্ধ বিমানের ছুটাছুটির কিংবা আর একটা হিন্দু পরিবার দেশ
ছাড়ার প্রস্তুতি।
সমর্থক গোষ্ঠীর অপরিপক্ক দেশপ্রেমের সাথে যদি ধর্ম যোগ হয়। তবে বিদ্বেষ ছড়াতে খেলাধূলা থেকে ভয়ানক কিছু নেই দুনিয়াতে।
Thursday, 27 February 2014
Tuesday, 25 February 2014
ধানমন্ডিতে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান ॥ জেল ও জরিমানা আদায়
তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন লঙ্ঘণ করে সিগারেটের প্রচারণার দায়ে আজ ভ্রাম্যমান আদালত ধানমন্ডির দুটি দোকানে অভিযান চালিয়ে পয়ষট্টি হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে ম্যানেজারকে আটক এবং অবৈধ বিজ্ঞাপন অপসারণ করেছে। ঢাকা জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. শওকত আলী এ ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন।
ধানমন্ডি সাতমসজিদ সড়কে (৪নং সড়কসংলগ্ন) জারুরিয়া সুপারশপে অভিযান চালিয়ে মার্লবোরো সিগারেটের অবৈধ বিজ্ঞাপন প্রদর্শনের অভিযোগে ভ্রাম্যমান আদালত “ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন ২০০৫ (সংশোধিত ২৯ এপ্রিল ২০১৩)” এর ধারা ৫ এর উপধারা ৪ অনুযায়ী পঞ্চাশ হাজার টাকা (৫০,০০০/=) জরিমানা করে। এ সময় জরিমানা অনাদায়ে জারুরিয়া সুপার শপ-এর ব্যবস্থাপক আটক করে ২ মাসের কারাদন্ড প্রদান করা হয়। পরে সরকারী কোষাগারে জরিমানার অর্থ জমা দিলে আটককৃত ম্যানেজারকে ছেড়ে দেয়া হয়।
এছাড়া ধানমন্ডির রবীন্দ্র সরোবর মঞ্চসংলগ্ন ডায়নামিক ফুড কর্নার-এ অভিযান চালিয়ে সিগারেটের অবৈধ বিজ্ঞাপন প্রদর্শনের দায়ে পনের হাজার টাকা (১৫,০০০/=) জরিমানা করা হয়।
ভ্রাম্যমান আদালত এ সময় বিভিন্ন দোকানে সিগারেটসহ তামাকজাত দ্রব্যের অবৈধ বিজ্ঞাপন অপসারণ করে। এ সময় ধানমন্ডি এলাকায় ব্যাপক সাড়া করে। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শওকত আলীর নেতৃত্বে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করার সময় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ধানমন্ডি এলাকার পরিদর্শক নাজমুল হোসেন খান, ধানমন্ডি থানার এস আই শামসুল হক ও মতিউর রহমান, তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়নে ঢাকা জেলা টাস্কফোর্স কমিটির সদস্য ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ (ডাবি¬উবিবি) এর ন্যাশনাল এডভোকেসি অফিসার, সোস্যাল এডভান্সমেন্ট ফোরাম (সাফ) সংস্থার নির্বাহী পরিচালক মীর আবদুর রাজ্জক উপস্থিত ছিলেন।
ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা শেষে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. শওকত আলী বলেন, সরকার জনস্বার্থে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন প্রণয়ন করেছে। কিন্তু কিশোর-তরুণ প্রজন্মকে ধূমপানের নেশায় আসক্ত করার জন্য তামাক কোম্পানিগুলোর প্রলোভনে অন্যায্য মুনাফার লোভে অনেকে আইন লঙ্ঘণ করে প্রচারণা চালাচ্ছে। আইন বাস্তবায়নে সবার সহযোগিতা প্রয়োজন।
ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ (ডাবি¬উবিবি) ট্রাস্ট এর ন্যাশনাল এডভোকেসি অফিসার সৈয়দা অনন্যা রহমান বলেন, তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়নে ঢাকা জেলা প্রশাসনের ভূমিকা ইতিবাচক। তামাক কোম্পানিগুলো আইন লঙ্ঘণ করে প্রচারণা চালাচ্ছে। আইন লঙ্ঘনের তথ্য গণমাধ্যমে তুলে ধরে প্রশাসনকে অবহিত করার ক্ষেত্রে গণমাধ্যম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
ধানমন্ডিতে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান ॥
জেল ও জরিমানা আদায়
তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন লঙ্ঘণ করে সিগারেটের প্রচারণার দায়ে আজ ভ্রাম্যমান আদালত ধানমন্ডির দুটি দোকানে অভিযান চালিয়ে পয়ষট্টি হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে ম্যানেজারকে আটক এবং অবৈধ বিজ্ঞাপন অপসারণ করেছে। ঢাকা জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. শওকত আলী এ ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন।
ধানমন্ডি সাতমসজিদ সড়কে (৪নং সড়কসংলগ্ন) জারুরিয়া সুপারশপে অভিযান চালিয়ে মার্লবোরো সিগারেটের অবৈধ বিজ্ঞাপন প্রদর্শনের অভিযোগে ভ্রাম্যমান আদালত “ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন ২০০৫ (সংশোধিত ২৯ এপ্রিল ২০১৩)” এর ধারা ৫ এর উপধারা ৪ অনুযায়ী পঞ্চাশ হাজার টাকা (৫০,০০০/=) জরিমানা করে। এ সময় জরিমানা অনাদায়ে জারুরিয়া সুপার শপ-এর ব্যবস্থাপক আটক করে ২ মাসের কারাদন্ড প্রদান করা হয়। পরে সরকারী কোষাগারে জরিমানার অর্থ জমা দিলে আটককৃত ম্যানেজারকে ছেড়ে দেয়া হয়।
এছাড়া ধানমন্ডির রবীন্দ্র সরোবর মঞ্চসংলগ্ন ডায়নামিক ফুড কর্নার-এ অভিযান চালিয়ে সিগারেটের অবৈধ বিজ্ঞাপন প্রদর্শনের দায়ে পনের হাজার টাকা (১৫,০০০/=) জরিমানা করা হয়।
ভ্রাম্যমান আদালত এ সময় বিভিন্ন দোকানে সিগারেটসহ তামাকজাত দ্রব্যের অবৈধ বিজ্ঞাপন অপসারণ করে। এ সময় ধানমন্ডি এলাকায় ব্যাপক সাড়া করে। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শওকত আলীর নেতৃত্বে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করার সময় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ধানমন্ডি এলাকার পরিদর্শক নাজমুল হোসেন খান, ধানমন্ডি থানার এস আই শামসুল হক ও মতিউর রহমান, তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়নে ঢাকা জেলা টাস্কফোর্স কমিটির সদস্য ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ (ডাবি¬উবিবি) এর ন্যাশনাল এডভোকেসি অফিসার, সোস্যাল এডভান্সমেন্ট ফোরাম (সাফ) সংস্থার নির্বাহী পরিচালক মীর আবদুর রাজ্জক উপস্থিত ছিলেন।
ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা শেষে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. শওকত আলী বলেন, সরকার জনস্বার্থে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন প্রণয়ন করেছে। কিন্তু কিশোর-তরুণ প্রজন্মকে ধূমপানের নেশায় আসক্ত করার জন্য তামাক কোম্পানিগুলোর প্রলোভনে অন্যায্য মুনাফার লোভে অনেকে আইন লঙ্ঘণ করে প্রচারণা চালাচ্ছে। আইন বাস্তবায়নে সবার সহযোগিতা প্রয়োজন।
ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ (ডাবি¬উবিবি) ট্রাস্ট এর ন্যাশনাল এডভোকেসি অফিসার সৈয়দা অনন্যা রহমান বলেন, তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়নে ঢাকা জেলা প্রশাসনের ভূমিকা ইতিবাচক। তামাক কোম্পানিগুলো আইন লঙ্ঘণ করে প্রচারণা চালাচ্ছে। আইন লঙ্ঘনের তথ্য গণমাধ্যমে তুলে ধরে প্রশাসনকে অবহিত করার ক্ষেত্রে গণমাধ্যম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
Monday, 17 February 2014
বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন হটলাইন ০১৭৫৫৬৬০০৩৩ সচল করার প্রসঙ্গে।
বরাবর
প্রধান বন সংরক্ষক
বন ভবন, আগারগাঁও
ঢাকা।
বিষয় : বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন হটলাইন ০১৭৫৫৬৬০০৩৩ সচল করার প্রসঙ্গে।
জনাব
শুভেচ্ছা নিবেন।
বন্যপ্রাণী দেশের সম্পদ, জীবন,জীবিকা ও পরিবেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দেশের বন্যপ্রাণী রক্ষায় বন্যপ্রাণী অপরাধ সংক্রান্ত যে কোন তথ্য জানাতে বন অধিদপ্তর ও বিশ্ব ব্যাংক যৌথভাবে হটলাইন (০১৭৫৫৬৬০০৩৩) নাম্বারে জনগণকে ফোন করুন অথবা ইমেইল করার জন্য অনুরুধ করে একটি স্টিকার প্রকাশ করেছে।
২০ অক্টোবর ২০১৩ বন অধিদপ্তরের আগারগাঁওস্থ বন ভবন থেকে এই স্টিকারটি সংগ্রহ করি। দেশের একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে জনগণকে বন্যপ্রাণী অপরাধ বিষয়ক তথ্য জানানোর অনুরুধ করে এই স্টিকারটি ফেসবুক, ইমেইল, ব্লগসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারনা চালাই। অনেকেই এই স্টিকারটির মধ্যে যে মোবাইল ফোন নাম্বারটি যোগাযোগের জন্য দেওয়া হয়েছে তাতে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে একাধিকবার কল দিয়ে কাক্ষিত নাম্বারে সংযোগ পায়নি। নাম্বাটিতে কল দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কলটি রিসিভ করার পর বিভিন্ন তথ্যের জন্য বিভিন্ন নাম্বারে চাপুন বলা হয়। উক্ত নাম্বার সমূহে চাপলেই লাইনটি কেটে যায়। ফলে জনগণ সংশ্লিষ্ট্য কর্তব্যরত ব্যক্তিদের বন্যপ্রাণী অপরাধ বিষয়ক তথ্য প্রদানে ব্যর্থ হচ্ছে।
বন্যপ্রাণী সংক্রান্ত অপরাধ দমনে এগিয়ে দেশের সাধারণ জনগণকে সম্পক্তি করতে উক্ত নাম্বারটি সচল করতে প্রয়োজনীর ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য অনুরুধ করছি।
ধন্যবাদসহ
সৈয়দ সাইফুল আলম
পরিবেশকর্মী
সংযুক্তি
বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন হটলাইন বিষয়ক স্টিকার।
অনুলিপি
ক্স সচিব, বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়
ক্স বিশ্ব ব্যাংক
প্রধান বন সংরক্ষক
বন ভবন, আগারগাঁও
ঢাকা।
বিষয় : বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন হটলাইন ০১৭৫৫৬৬০০৩৩ সচল করার প্রসঙ্গে।
জনাব
শুভেচ্ছা নিবেন।
বন্যপ্রাণী দেশের সম্পদ, জীবন,জীবিকা ও পরিবেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দেশের বন্যপ্রাণী রক্ষায় বন্যপ্রাণী অপরাধ সংক্রান্ত যে কোন তথ্য জানাতে বন অধিদপ্তর ও বিশ্ব ব্যাংক যৌথভাবে হটলাইন (০১৭৫৫৬৬০০৩৩) নাম্বারে জনগণকে ফোন করুন অথবা ইমেইল করার জন্য অনুরুধ করে একটি স্টিকার প্রকাশ করেছে।
২০ অক্টোবর ২০১৩ বন অধিদপ্তরের আগারগাঁওস্থ বন ভবন থেকে এই স্টিকারটি সংগ্রহ করি। দেশের একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে জনগণকে বন্যপ্রাণী অপরাধ বিষয়ক তথ্য জানানোর অনুরুধ করে এই স্টিকারটি ফেসবুক, ইমেইল, ব্লগসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারনা চালাই। অনেকেই এই স্টিকারটির মধ্যে যে মোবাইল ফোন নাম্বারটি যোগাযোগের জন্য দেওয়া হয়েছে তাতে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে একাধিকবার কল দিয়ে কাক্ষিত নাম্বারে সংযোগ পায়নি। নাম্বাটিতে কল দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কলটি রিসিভ করার পর বিভিন্ন তথ্যের জন্য বিভিন্ন নাম্বারে চাপুন বলা হয়। উক্ত নাম্বার সমূহে চাপলেই লাইনটি কেটে যায়। ফলে জনগণ সংশ্লিষ্ট্য কর্তব্যরত ব্যক্তিদের বন্যপ্রাণী অপরাধ বিষয়ক তথ্য প্রদানে ব্যর্থ হচ্ছে।
বন্যপ্রাণী সংক্রান্ত অপরাধ দমনে এগিয়ে দেশের সাধারণ জনগণকে সম্পক্তি করতে উক্ত নাম্বারটি সচল করতে প্রয়োজনীর ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য অনুরুধ করছি।
ধন্যবাদসহ
সৈয়দ সাইফুল আলম
পরিবেশকর্মী
সংযুক্তি
বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন হটলাইন বিষয়ক স্টিকার।
অনুলিপি
ক্স সচিব, বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়
ক্স বিশ্ব ব্যাংক
Wednesday, 5 February 2014
তামাকজাত দ্রব্যের মোড়কে ছবিসহ স্বাস্থ্য সতর্কবাণীর প্রচলন দ্রুত করতে হবে।
তামাকজাত দ্রব্যের মোড়কে ছবিসহ স্বাস্থ্য সতর্কবাণীর প্রচলন দ্রুত করতে হবে।
মানবদেহে ক্যান্সার সৃষ্টির অন্যতম প্রধান কারণ ধূমপানসহ তামাক ব্যবহার। প্রতিবছর পৃথিবীতে প্রায় ৮২ ল মানুষ ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মারা যায়। বাংলাদেশে প্রতিবছর ১২ ল মানুষ ক্যান্সারসহ তামাক ব্যবহারজনিত প্রধান ৮টি রোগে আক্রান্ত হয়। এর মধ্যে ৫৭ হাজার মানুষ মৃত্যুবরণ করে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গবেষণায় বলা হয়েছে; বিড়ি-সিগারেটসহ তামাকজাত দ্রব্যে প্রায় ৪ হাজারেরও বেশী তিকর রাসায়নিক পদার্থ রয়েছে; যার মধ্যে ৪৩ টি সরাসরি ক্যান্সার সৃষ্টির সঙ্গে জড়িত। ক্যান্সার নিয়ন্ত্রণে তামাকের ব্যবহার কমিয়ে আনা এবং তামাকজাত দ্রব্যের মোড়কে ছবিসহ স্বাস্থ্য সতর্কবাণী থাকা আবশ্যক।
ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগীর চিকিৎসা খরচ খুবই বেশী। এছাড়া প্রাথমিক অবস্থায় ক্যান্সার সনাক্ত না হলে এ রোগে আক্রান্ত রোগীর চিকিৎসা করেও রোগীকে বাচানো সম্ভব হয় না। তাই চিকিৎসা ব্যবস্থার চাইতে ক্যান্সার প্রতিরোধকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিতে হবে। ক্যান্সারের অন্যতম কারণ তামাক ব্যবহার। এ ল্েয তামাকের ব্যবহার নিরুৎসাহিতকরণ এবং ক্যান্সার প্রতিরোধে বিড়ি-সিগারেটসহ তামাকজাত দ্রব্যের মোড়কে ছবিসহ সতর্কবাণীর প্রচলন দ্রুত করা জরুরি ।
ক্যান্সার নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজন প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহন করা। এজন্য তিকর তামাক, মাদকের ব্যবহার কমাতে কার্যকর পদপে নিতে হবে। বিড়ি-সিগারেটের প্যাকেটে ছবিসহ সতর্কবাণী প্রচলন দ্রুত করা জরুরি। মাদক ব্যবসা ও চোরাচালানের সঙ্গে জড়িতদের কঠোর সাজা নিশ্চিত করতে হবে।
ক্যান্সার নিয়ন্ত্রণে সব বয়সী মানুষের শারীরিক পরিশ্রম বাড়াতে হবে। পর্যাপ্ত শারীরিক পরিশ্রম ক্যান্সারের ঝুঁকি হ্রাসে সহায়ক। শহরের সবজায়গায় হাঁটার উপযোগী পরিবেশ তৈরি করতে হবে। মানুষকে শারীরিক পরিশ্রমে উদ্বুদ্ধ করার জন্য উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করতে সরকারের যথাযথ পদপে গ্রহন করতে হবে। ক্যান্সার নিয়ন্ত্রণে মাদকসহ ক্ষতিকর কোমল পানীয়-ফাস্ট ফুড ও জাঙ্ক ফুড সামগ্রীর বিজ্ঞাপন ও প্রচারণা নিষিদ্ধ করতে হবে। এজন্য সরকারকে কঠোর হতে হবে। এছাড়া এসব তিকর সামগ্রীর ওপর উচ্চহারে কর বাড়াতে হবে।
ক্যান্সার প্রতিরোধে তামাক ও মাদক ব্যবহার, ফাস্টফুড-জাঙ্কফুড-কোমল পানীয় নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি তাজা শাকসব্জি ও ফলমূল খেতে শিশু-কিশোরসহ সব বয়সী মানুষকে উৎসাহী করে তুলতে হবে। মানুষতে খেলাধুলা, হাঁটা ও সাইকেল চালনায় উৎসাহী করে তুলতে হবে। এজন্য খেলার মাঠ, পার্ক, ফুটপাথের পরিবেশ উন্নত ও সাইকেল লেন গড়ে তোলার প্রতি মনোনিবেশ করতে হবে।
Subscribe to:
Posts (Atom)