বরাবর
ড. মিজানুর রহমান
চেয়ারম্যান
মানবধিকার কমিশন
বিষয় : মোহাম্মদপুর ১০০ শয্যা মা ও শিশু
হাসপাতালের সামনে ডাস্টবিন বন্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ প্রসঙ্গে।
জনাব
শুভেচ্ছা নিবেন। মানুষের অধিকার রক্ষায় মানবধিকার
কমিশনের প্রতি আস্থা, বিশ্বাস অক্ষুণ রাখার আপনার কর্ম
প্রচেষ্টাকে ধন্যবাদ জানাই। ঢাকা
শহরে একটা শিশুর জন্মগ্রহণে লক্ষ টাকা ব্যয়
হয়। বেশির
ভাগ হাসপাতালের বাধ্যতামূলক সিজার বাণিজ্য আর যদি এনআইসিওতে বাচ্চাটা ভর্তি করা যায়। তবে তার ব্যয় কয়েক লক্ষ টাকা ছেড়ে যায়। এই বাস্তবতায় মোহাম্মদপুরের ১০০ শয্যার
মা ও শিশু হাসপাতালটি মধ্যবিত্ত,নিম্ন মধ্যবিত্ত, বিত্তহীন মধ্যবিত্ত, কাগুজে মধ্যবিত্ত আর পোষাকী মধ্যবিত্তের জন্য
আর্শিবাদ। মাত্র
৫০০০ টাকায় সিজার আর ১২০০ টাকায় সাধারণ
ডেলিভারি হয়। স্বল্পমূল্যে
প্রতিবছর অসংখ্য নারীদের মাতৃকালী স্বাস্থ্যসেবা
প্রদান করে।
সাধারণ পরিবারগুলো মা ও শিশুর স্বাস্থ্য
সেবা প্রদানকারী এই হাসপাতালটির প্রবেশপথের
একাংশ বন্ধ করে স্থায়ীভাবে ময়লা স্থানান্তর কেন্দ্র তৈরি করা হচ্ছে। যা মা ও শিশুর স্বাস্থ্যের জন্য হুমকি
সরূপ। এই বাস্তবতায় আমি কয়েকবার সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান
ঢাকা সিটি করপোরেশনকে বিষয়টি জানিয়ে চিঠি দিয়েছি। বিভিন্ন গণমাধ্যম এই বিষয়ে সংবাদ প্রকাশ
করে। তারপরও এই
হাসপাতাটির প্রবেশের
একাংশ বন্ধ করে কর্তৃপক্ষ নিমার্ণ কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
রাষ্ট্র্রীয় এই হাসপাতাল আমাদের সম্পদ এবং এই
হাসপাতালে মান সম্পন্ন সেবা পাওয়া আমাদের অধিকার। কিন্তু একটি সরকারী প্রতিষ্ঠানকর্তৃক এই
রকম গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ডাস্টবিন
বানিয়ে অসংখ্য নবজাতক মা ও শিশুর জীবন হুমকির মাঝে ফেলে দিচ্ছে।
আমরা বিশ্বাস করি রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের কর্তৃক
জনস্বাস্থের জন্য ক্ষতিকর কার্যক্রম বন্ধে আমাদের
আস্থারস্থল আপনি উক্ত
স্থান পরিদর্শন করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
সৈয়দ সাইফুল আলম
- কাজী রেজাউল হক, স্থায়ী সদস্য
- প্রফেসর মাফুজা খানম সমানিত সদস্য
- সেলিনা হোসেন সমানিত সদস্য
- ফৌজিয়া করিম ফিরোজ সমানিত সদস্য
- এরমা দত্ত সমানিত সদস্য
No comments:
Post a Comment