Tuesday 15 March 2016

মাননীয় গভর্নর আমি কার কাছে যাব?



 
শুভেচ্ছা নিবেনআমি গত ৩ ফেব্রুয়ারিতে একটি ইমেলের মাধ্যমে আপনার কাছে সিটিজেন রিয়েল এস্টেট ব্যাংক নামক একটি বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদনহীন ব্যাংককিং কার্যক্রম বিষয়ক লিখিত অভিযোগ দেইপরর্বতিতে আমি কয়েকবার ফোনে যোগাযোগ করি  এবং চিঠি দিয়েছিকিন্তু আশা অনুরূপ কোন অগ্রগতির খবর না পেয়ে আপনার অফিসে সশরীরে লিখিত অভিযোগ দেওয়ার জন্য যাইযাবার পর শুনতে পাই আপনি চিঠিটি সংশ্লিষ্ট বা  দায়িত্বশীল বিভাগে পাঠিয়ে দিয়েছেনআমাকে সেই বিভাগে যোগাযোগের জন্য বলা হয়আমি যখন ঐ বিভাগে যাই তখন হতাশ হই তাদের আচরণে কারণ কর্তৃপক্ষকে যখনই জিজ্ঞাসা করলাম এই চিঠির বিষয়ে তখন তারা আমাকে প্রশ্ন করে আপনার বাড়ি কোথায়? আপনি কি কেন অভিযোগ করেছেন? আপনার লাভ কি? কোন সুবিধা কি ব্যাংক থেকে পাননি ? আপনি টাকা জমা রাখেনি তাতে আপনার সমস্যা কি?

আমি ধর্য্য এবং আন্তরিকতার সাথে তাদের প্রশ্নের উত্তর দিয়েছিআমি তাদের বুঝাতে চেয়েছি যে আমি সাধারন আমাতনকারীদের পক্ষে, তাই অভিযোগ করেছিযদি ব্যাংকটি কার্যক্রম বৈধ হয় তবে আমার কোন আপত্তি নেই কিন্তু বাংলাদেশ ব্যাংকের তালিকায় এই ব্যাংকটি নাম নেই তাই অবহিত করেছি। তাদের কয়েকজন যেমন সহযোগিতা করল আর কয়েকজনের আচরণে আমি ক্ষুব্ধকারণ আমার ধারনা ঐ ব্যাক্তিদের যথাযথ নিয়ম জানা প্রয়োজনযিনি দায়িত্বশীল ছিলেন তিনি আমাকে বলেছেন যে আমি যেন ঐ ব্যাংকে যাই এবং গ্রাহকদের সকল তথ্য সংগ্রহ করিতারপর তারা কোন ব্যাংকের তাদের আমানত রাখে তার বিবরণ সংগ্রহ করিএকজন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের হিসাব বিবরনি আমি কি করে সংগ্রহ করতে পারি? পাশাপাশি বাংলাদেশ ব্যাংকের মত একটি দায়িত্বশীল প্রতিষ্ঠানের অবশ্য গ্রাহকদের মতামতকে প্রাধান্য দেওয়া উচিততাদের বিশ্বাস রাখা উচিত যে আমাদের মত হাজার হাজার মানুষের সহযোগিতা হাত প্রশস্ত করলে তাদের কার্যক্রম আরো নিরবিচ্ছিন্ন হবে

আমি আসার আগে তারা জানায় যে তারা এই বিষয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত নয়আপনি তাদের তদন্তের জন্য ভুল জায়গায় চিঠিটি পাঠিয়েছেনমাননীয় মেয়র আমি অনুরোধ করছি আপনি সময় করে চিঠিটি সঠিক স্থানে পাঠানহাজার কোটি টাকার দূনীতির বিষয় আপনি সামাল দিচ্ছেন এই মূহুর্তে এই ছোট বিষয়টি হয়তবা খুবই ছোটকিন্তু আমার এলাকার সাধারন মানুষগুলো এই শত টাকার দু:খ কোটি টাকা ছাপিয়ে যাবে কারণ তাদের সারাজীবনের আয়ই কয়েক হাজার টাকা। আর সেই টাকা যদি এই রকম প্রতারকদের কাছে চলে যায়। তবে তারা নিরুপায়।

আমি জানি আপনি আপনার প্রতিষ্ঠানের ঐ কমকতাদের মত বলবেন না। যে মানুষগুলো ধরা খাওয়া উচিত। কারণ আপনি আপনার জীবনের একটি বড় অংশ গ্রামে কাটিয়েছে। আর তাই আপনি বুঝে মানুষগুলো খুবই সাধারণ। সহজেই অন্যের কথায় বিশ্বাস করে প্রতারিত হয়।

আমি আপনার প্রতিষ্ঠানের কয়েকজন কর্মকর্তা পরামর্শ ক্রমে স্থানীয় প্রশাসনকে অবহিত করিএবং তার অনুলিপিও আপনাকে প্রেরণ করেছিকিন্তু তারা বাংলাদেশ ব্যাংকের চিঠি ছাড়া কোন প্রকার উদ্দ্যোগ নিতে অপারগ বলে আমাকে অবহিত করেছেতাই আপনার সুবিধামত সময়ে এই বিষয়টি গুরুত্বসহকারে দেখার জন্য অনুরোধ করছিপাশাপাশি আপনার প্রতিষ্ঠানের যদি  এটি এখতিয়ারে না থাকে তবে কাদের এখতিয়ারে আছে তা জানানো কিংবা ঐ প্রতিষ্ঠানে চিঠিটি প্রেরণ করে গ্রামবাসীর আমানত সুরক্ষায় পদক্ষেপ গ্রহণের অনুরোধ করছি  বাংলাদেশ ব্যাংকের মত একটি দায়িত্বশীল ও

আমি আপনার সুস্বাস্থ্য কামনা করছি

Thursday 10 March 2016

জীবনানন্দ দাসের বাড়ি সামনে থেকে ডাস্টবিনটি অপসারণ প্রসঙ্গে।

বরাবর
মেয়র
বরিশাল সিটি করপোরেশন
বরিশাল।

বিষয়: জীবনানন্দ দাসের বাড়ি সামনে থেকে ডাস্টবিনটি অপসারণ প্রসঙ্গে।

জনাব
শুভেচ্ছা নিবেন। বরিশালের রূপ দেখে আমরা ভ্রমণ পিপাসুরা এক বাক্যে বলি “ এটি বাংলাদেশের সবচেয়ে সুন্দর শহর”। শুধু স্থানীয় ভ্রমণকারী নয়। বিদেশি ভ্রমণকারীদের কাছে বরিশাল এখন অন্যতম আকর্ষণীয় স্থান। ভ্রমণকারীরা বরিশালের সাথে জীবনানন্দ দাসের  অন্যরকম যোগসূত্র খোঁজে পায়। তাই বরিশালের রূপে মুগ্ধ ভ্রমণকারীরা একবারের জন্য হলেও জীবনাননন্দ দাসের বাড়িতে বেড়াতে যায়। দিন কয়েক আগে আমিও গিয়েছিলাম কয়েকজন ভ্রমণকারীদের সাথে জীবনানন্দ দাসের বাড়ি দেখতে। কিন্তু তার বাড়ির প্রবেশপথে ডাস্টবিনটি দেখে আমরা হতাশ হয়েছি।


আমি বিশ্বাস করি আপনার মত একজন দায়িত্বশীল মেয়র এর নিকট এই বিষয়টি দৃষ্টিগোচর হলে। জীবনানন্দ দাসের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা রেখে নিশ্চয় অতিসত্ত্বর অপসারনের ব্যবস্থা নিবেন। একজন ভ্রমণকারী হিসেবে আমি আপনাকে ধন্যবাদ জানাই দেশের অন্যতম পরিচ্ছন্ন ও নিরাপদ শহরের নগরপিতা হিসেবে সফল দায়িত্ব পালনের জন্য। আমি আপনার ও  আপনার সিটি করপোরেশনের সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সুস্বাস্থ্য কামানা করি।

ধন্যবাদসহ
সৈয়দ সাইফুল আলম শোভন
৫৮/১ কলাবাগান, সড়ক : ১লেন
ধানমন্ডি, ঢাকা

Tuesday 8 March 2016

সব দোষ কৃষ্ণচূড়া আর সাজ্জা খালিদ মাহমুদ মিঠুর।

নন্দিত চলচ্চিত্র নির্মাতা ও গুণী চিত্রশিল্পী খালিদ মাহমুদ মিঠুর হত্যাকারী কৃষ্ণচূড়া গাছটির ছবি আজ অনেক পত্রিকায় ছাপা হয়েছে/হবে। ঘাতক সেই গাছ ঘিরে অনেকের ক্ষোভ। এই শহরের রাস্তার ধারে আর কোন গাছ থাকবে কিনা তা নিয়েও অনেক মন্তব্য চলছে/চলবে। কিন্তু এই কৃষ্ণচূড়া গাছটিকে যারা ঘাতক বানিয়ে দিল তাদের কোনদিন বিচার হবে না?

সব দোষ কৃষ্ণচূড়া আর সাজ্জা খালিদ মাহমুদ মিঠুর।

কিন্তু দিন কয়েক আগেই এই গাছটির রূপে মুগ্ধ হয়ে হাজার মানুষ প্রশান্তি নিঃশ্বাস নিয়েছে। গেল বসন্তে হাজার কপোত-কপোতীর মন রাঙিয়েছে এই কৃষ্ণচূড়ার রূপে। কত সৌখিন ক্যামেরাম্যানের ক্যামেরায় ধারণ করা হয়েছে এর রূপ তার হিসেবে নেই।

আজ এই গাছটি শুধুই ঘাতক কৃষ্ণচূড়া, শত শত মানুষের মন রাঙানো, জীবনের জন্য অক্সিজেনের জোগানদাতা আজ সকলের কাছে ঘাতক!!!

এই গাছটি কি বয়সের কারণে ভেঙ্গে পড়েছে? ঢাকার রাস্তার ধারের প্রতিটি গাছকে মাটি থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছে। ক্রংকিটের চাপা দেওয়া আছে গাছগুলোর চারপাশে। উন্নয়ন করতে গেলেই বার বার গাছগুলোর শিকড় কেটে দেওয়া হয় কিংবা পুরো গাছ কেটে ফেলা হয়।

ঢাকায় এমন শত শত গাছ আছে যা ভেঙ্গে পড়ার অপেক্ষায় আছে। এই গাছগুলো কেটে ফেলার সিদ্ধান্ত হবে নিশ্চয় কয়েকদিনের মধ্যেই। কিন্তু এটি আর একটি ভুল পদক্ষেপ হবে। যে গাছগুলো ঢাকার কোটি মানুষের বাঁচার অন্যতম মাধ্যম অক্সিজেনের জোগান দাতা তাদের রক্ষার জন্য কোথাও কোন পরিকল্পনা নেই। বৃক্ষরোপনের নামে প্রতি বছর যে গাছ লাগানো হয় ঢাকায়, তার কতটা এই শহরের জন্য উপযোগী তা বিবেচনা করা হয় না। নেই কোন নীতিমালা। সিটি করপোরেশনের আরবরি কালচার নামের একটা বিভাগ ছিল। এখন আর আছে বলে মনে হয় না।

এই শহরে কত কারণে যে গাছ কাটা হয় তার কোন পরিসংখ্যান নেই। ভিআইপি চলাচল, নিরাপত্তা, উন্নয়ন, বিশ্বকাপ, সৌন্দর্যবর্ধন, সংস্কার শত অযুহাতে গাছ কাটা হয়। সেখানে গাছের চাপায় পড়ে একজন গুণী মানুষের মৃত্যুর পর হয়তবা আরো শত শত গাছ কাটার সিদ্ধান্ত আসবেই। কিন্তু কোটি কোটি মানুষের জীবন রক্ষাকারী গাছগুলো রক্ষার জন্য এ শহরের কোন সিদ্ধান্ত আসে না।

এই শহরে গাছ লাগানো হয় শুধু্ই সৌন্দর্যবর্ধন আর ঠিকাদারের ব্যবসায়ী উদ্দ্যেশ সাধনের জন্য।ঢাকা শহরের রাস্তার সৌন্দর্যবর্ধনের জন্য দায়িত্ব দেওয়া আছে ১২৯টি প্রতিষ্ঠানকে। এসব প্রতিষ্ঠান মূলত রাস্তার মাঝখানে ডিভাইডার দিয়ে ছোট-বড় বিভিন্ন ধরনের গাছ লাগিয়েছে। প্রতি বছর গাছ লাগানো হয় এবং কয়েক মাস পরই ঐ স্থান শূণ্য। কারণ গাছগুলো লাগানোর সময় ভাবা হয় না এটি উপযোগী কিনা। সড়কের মাঝে অসংখ্য গাছ লাগানো হচ্ছে যা একটু বড় হলেই ভেঙ্গে পড়তে বাধ্য । কারণ গাছগুলোর সাথে মাটির তেমন কোন যোগাযোগ নেই। আর এই গাছ পড়া দায় যদি গাছের উপরই পরে তবে বলতেই হয় আমরা নিজেদের দোষ অন্যের উপর চাপিয়ে ভাল থাকতে চাওয়া প্রচেষ্টায় আছি।

কিন্তু কতদিন আর ঘাতক কৃষ্ণচূড়ার উপর দায় চাপিয়ে নিরাপদে থাকব। তারচেয়ে বরং এবার সাজ্জা দেওয়া হোক সিটি করপোরেশনসহ ঐ সকল ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে যারা উন্নয়নের নামে গাছগুলোকে মাটি থেকে বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে। যারা তাদের পরিকল্পনা এক ইঞ্চি জায়গা রাখে না গাছের জন্য।

খালিদ মাহমুদ মিঠুর হত্যাকারী কৃষ্ণচূড়া হয়তবা আমাদের এই জানান দিচ্ছে। এশহর শুধুই মানুষের জন্য নিরাপদ নয়। আমরা গাছগুলোও এই শহরে নিরাপদ নই। খালিদ মাহমুদ মিঠুর মৃত্যুর পথ ধরে আমাদের সমাধানের পথে হাঁটতে। গাছ লাগানোর একটা নীতিমালা তৈরি করতে হবে। গাছ রক্ষায় আইন তৈরি করতে হবে। ক্রংকিটে চারপাশ চাপা দিয়ে গাছগুলোকে ঘাতক বানানোর প্রক্রিয়া বন্ধ করতে হবে।

খালিদ মাহমুদ মিঠুর আর কৃষ্ণচূড়া মৃত্যুর পরও যেন আমরা শিক্ষা নেই। বড্ড ভুল পথে এগিয়ে যাচ্ছে ঢাকার কথিত উন্নয়ন। ঘাতক কৃষ্ণচূড়াকে শাস্তি নয়, শাস্তির আওতায় আসুক তারা যারা প্রাণরক্ষাকারী গাছগুলোকে ঘাতকের ভূমিকায় অবর্তীন করছে।

Sunday 6 March 2016

বরিশাল বিভাগের সকল পুলিশ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ধন্যবাদ প্রসঙ্গে।



বরবার
পুলিশ কমিশনার
বাংলাদেশ পুলিশ
বরিশাল, বাংলাদেশ

বিষয়: বরিশাল বিভাগের সকল পুলিশ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ধন্যবাদ প্রসঙ্গে


জনাব
শুভেচ্ছা নিবেন
আমি একজন সৌখিন ভ্রমণকারী দেশে-বিদেশে অসংখ্য জায়গায় ভ্রমণ করেছিবেশ কয়েকবার বরিশাল বিভাগের বিভিন্ন জায়গাতে দেশি বিদেশি পর্যটকসহ আমার ভ্রমনের অভিজ্ঞতা হয়েছেভ্রমণের জন্য বরিশালকে পছন্দ তালিকায় রাখায় এবং বরিশাল শহরের সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে আমার দেশি-বিদেশি বন্ধুরা আমাকে প্রতিবার আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়েছেবরিশাল শহর ও তার আশেপাশে ভ্রমণ বাংলাদেশের অন্যান্য এলাকা থেকে আমরা অধিক নিরাপদ মনে হয়েছে আবার এজন্য বরিশালের নিরাপত্তায় রক্ষায় নিয়োজিত বাংলাদেশ পুলিশের সকল কর্মকর্তাকে তাই আমি আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই

বরিশাল বিভাগ সারা বিশ্বে পর্যটকদের ক্রমেই দৃষ্টি আকর্ষণ করছেকিছু বিছিন্ন ঘটনা বরিশালের প্রতি পর্যটকের মনে বিরূপ ধারনা জন্ম দিতে পারেতাই বরিশাল বিভাগে পর্যটন আকর্ষণের জন্য বরিশাল বিভাগের পুলিশের পক্ষ থেকে কয়েকটি পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য অনুরোধ করছি

১.একটি বিশেষ নাম্বার যেখানে ফোন দিলে পর্যটক সহজেই সকল প্রকার পুলিশি সহযোগিতা পাবে
২. বরিশালের ভিন্ন প্রান্তে যাবার জন্য স্পীড বোট চলাচল করেএই স্পীড বোর্ডগুলো কোন নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেই
প্রতিটি বোট বাধ্যতামূলক লাইফ জ্যাকেট দেওয়া
৩. রাতের বেলায় চলাচলের ক্ষেত্রে এই স্পীডবোটগুলো কোন বাতি নেইফলে যেকোন সময় দূঘটনা ঘটতে পারেতাই সংকেত ও বাতির ব্যবস্থা  করা
৪. স্পীডবোট কোন নাম্বার এবং চালকদের কোন নাম্বার নেইফলে পর্যটকরা কিছুক্ষেত্রে অনিরাপত্তা অনুভব করে
৫. পর্যটকদের জন্য লঞ্চের কোটার ব্যবস্থা রাখা
৬. লঞ্চে পর্যটক ভ্রমনের ক্ষেত্রে বিদেশিদের জন্য আলাদা ভাবে নিবন্ধন করাগন্তব্য, অবস্থান ও গাইডের নাম লিপিবদ্ধ করা

আমি বিশ্বাস করি বরিশাল বিভাগের পুলিশের আন্তরিক সেবা কয়েকদিনের মধ্যে দেশের অন্যান্য অঞ্চলের জন্য দৃষ্টান্ত হবে

ধন্যবাদসহ

সৈয়দ সাইফুল আলম
+8801552442814
shovan1209@yahoo.com


Wednesday 2 March 2016

পুনঃনিবন্ধনে গ্রাহকদের কাছ থেকে অর্থ আদায় প্রসঙ্গে।

বরাবর
বেগম তারানা হালিম
প্রতিমন্ত্রী
ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
ঢাকা।

বিষয় : পুনঃনিবন্ধনে গ্রাহকদের কাছ থেকে অর্থ আদায় প্রসঙ্গে।

জনাব
শুভেচ্ছা নিবেন। টেলিকম শিল্পের উন্নয়ন ও জবাবদিহিতার লক্ষ্যে আপনাদের পরিচালিত কার্যক্রমকে স্বাগত জানাই।
দেশে বায়োমেট্রিক পদ্ধতি বা আঙুলের ছাপে সিম নিবন্ধন ও পুনঃনিবন্ধন চালু হওয়ার পর মোবাইল অপারেটরগুলো তা বিনামূল্যে ঘোষণা দেওয়ার পরও বিভিন্ন স্থানে পুনঃনিবন্ধনে টাকা নিচ্ছে। যা গ্রাহকদের বায়োমেট্রিক পদ্ধতি বা আঙুলের ছাপে সিম নিবন্ধন ও পুনঃনিবন্ধনের আগ্রহের ব্যাঘাত ঘটাবে। গত কয়েকদিন আমি রায়েরবাজার এলাকায় বাংলালিংক কর্তৃপক্ষের ভ্রামমান নিবন্ধনের নিয়োজিত লোকরা বাধ্যতামূলক টাকা নিয়েছে। টাকা ছাড়া নিবন্ধন হবে না এই মর্মে ঘোষণা ও দিচ্ছে। শুধু রায়ের বাজারই নয় দেশের বিভিন্ন স্থানে একই অবস্থা বিরাজমান।

সুতরাং কোম্পানীগুলোর এই অনৈতিক কার্যক্রম রুখতে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহন করুন। পাশাপাশি বিনামূল্যে নিবন্ধন চালু এবং যে গ্রাহকদের কাছ থেকে টাকা নিয়েছে তা ফেরত প্রদানে কোম্পানীগুলোকে বাধ্য করার পদক্ষেপ গ্রহন করা আবেদন করছি।

ধন্যবাদসহ

সৈয়দ সাইফুল আলম
০১৫৫২৪৪২৮১৪


অনুলিপি
১. সচিব, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ
২.চেয়ারম্যান, বিটিআরসি

Saturday 27 February 2016

“চেনা দৃশ্য বদলে দিচ্ছেন মেয়র আনিসুল হক" ধন্যবাদ জ্ঞাপন প্রসঙ্গে।


বরাবর
মাননীয় মেয়র 
আনিসুল হক
উত্তর সিটি করপোরেশন
ঢাকা

বিষয় : ধন্যবাদ জ্ঞাপন প্রসঙ্গে।

জনাব
শুভেচ্ছা নিবেন। এই নগরবাসীদের জন্য উন্নয়ন মানেই নতুন কোন ভোগান্তির নাম। তাই মাঝে মাঝে নগরবাসী উন্নয়নে ভয় পায়। নগরবাসীর উন্নয়নের তিক্ত অভিজ্ঞতা লাঘবের জন্য আপনি যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা আমি নিজেই স্বচোখে দেখে মুুগ্ধ হয়েছে। আজ অন লাইন সংবাদ মাধ্যম  সংবাদটি পড়ে আনন্দিত। আমি বিশ্বাস করি এই সংবাদ আমার মত কোটি নগরবাসীর জন্য আনন্দের সংবাদ।

নগরে অন্যান্য প্রতিষ্ঠান যদি তাদের উন্নয়ন কর্মকান্ডের সময় নাগরিক অসুবিধার কথা বিবেচনা করে ঠিকাদারকে রাতের বেলায় কাজ করা, ধূলাবালি পরিষ্কার করা, রাস্তা খুড়াখুড়ি রাতের মাঝেই শেষ করার বাধ্যবাধকতা তৈরি করতে পারে। তবে তা সকলের জন্য মঙ্গলকর। নাগরিক সুবিধার কথা বিবেচনা করে আপনি যে সাহসী ভূমিকা নিয়েছেন তার জন্য আপনার পুরো দলকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি। আমরা বিশ্বাস করি ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন জনসেবায় অন্যান্য সিটি করপোরেশনের জন্য অনুকরনীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে।

আমি আপনার সিটি করপোরেশনের সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সুস্বাস্থ্য কামনা করি। পাশাপাশি “চেনা দৃশ্য বদলে দিচ্ছেন মেয়র আনিসুল হক” বাংলানিউজ২৪ডটকম কর্তৃপক্ষকে এই রকম একটি ইতিবাচক সংবাদ গুরুত্ব সহকারে প্রকাশের জন্য ধন্যবাদ জানাই।


ধন্যবাদসহ

সৈয়দ সাইফুল আলম

অনুলিপি : সম্পাদক বাংলানিউজ২৪ডটকম

সংযুক্তি বাংলানিউজ২৪ডটকমে প্রকাশিত সংবাদের কপি।

Friday 26 February 2016

মোহাম্মদপুর ১০০ শয্যা মা ও শিশু হাসপাতালের সামনে ডাস্টবিন বন্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ প্রসঙ্গে।



বরাবর
ড. মিজানুর রহমান
চেয়ারম্যান
মানবধিকার কমিশন
 
 
বিষয় : মোহাম্মদপুর ১০০ শয্যা মা ও শিশু হাসপাতালের সামনে ডাস্টবিন বন্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ প্রসঙ্গে
 
জনাব
শুভেচ্ছা নিবেনমানুষের অধিকার রক্ষায় মানবধিকার কমিশনের প্রতি আস্থা, বিশ্বাস অক্ষুণ রাখার আপনার কর্ম প্রচেষ্টাকে ধন্যবাদ জানাই  ঢাকা শহরে একটা শিশুর জন্মগ্রহণে লক্ষ টাকা ব্যয় হয়বেশির ভাগ হাসপাতালের বাধ্যতামূলক সিজার বাণিজ্য আর যদি এনআইসিওতে বাচ্চাটা ভর্তি করা যায়তবে তার ব্যয় কয়েক লক্ষ টাকা ছেড়ে যায়এই বাস্তবতায় মোহাম্মদপুরের ১০০ শয্যার মা ও শিশু হাসপাতালটি মধ্যবিত্ত,নিম্ন মধ্যবিত্ত, বিত্তহীন মধ্যবিত্ত, কাগুজে মধ্যবিত্ত আর পোষাকী মধ্যবিত্তের জন্য আর্শিবাদমাত্র ৫০০০ টাকায় সিজার আর ১২০০ টাকায় সাধারণ ডেলিভারি হয়স্বল্পমূল্যে প্রতিবছর অসংখ্য নারীদের মাতৃকালী স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করে
 
সাধারণ পরিবারগুলো মা ও শিশুর স্বাস্থ্য সেবা প্রদানকারী এই হাসপাতালটির প্রবেশপথের একাংশ বন্ধ করে স্থায়ীভাবে ময়লা স্থানান্তর কেন্দ্র তৈরি করা হচ্ছেযা মা ও শিশুর স্বাস্থ্যের জন্য হুমকি সরূপএই বাস্তবতায় আমি কয়েকবার সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান ঢাকা সিটি করপোরেশনকে বিষয়টি জানিয়ে চিঠি দিয়েছিবিভিন্ন গণমাধ্যম এই বিষয়ে সংবাদ প্রকাশ করেতারপরও এই হাসপাতাটির প্রবেশের একাংশ বন্ধ করে কর্তৃপক্ষ নিমার্ণ কাজ চালিয়ে যাচ্ছে
 
রাষ্ট্র্রীয় এই হাসপাতাল আমাদের সম্পদ এবং এই হাসপাতালে মান সম্পন্ন সেবা পাওয়া আমাদের অধিকারকিন্তু একটি সরকারী প্রতিষ্ঠানকর্তৃক এই রকম গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ডাস্টবিন বানিয়ে অসংখ্য নবজাতক মা ও শিশুর জীবন হুমকির মাঝে ফেলে দিচ্ছে
 
আমরা বিশ্বাস করি রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের কর্তৃক জনস্বাস্থের জন্য ক্ষতিকর কার্যক্রম বন্ধে আমাদের আস্থারস্থল আপনি  উক্ত স্থান পরিদর্শন করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন
 
 
সৈয়দ সাইফুল আলম
 
 
  • কাজী রেজাউল হক, স্থায়ী সদস্য
  • প্রফেসর মাফুজা খানম সমানিত সদস্য
  • সেলিনা হোসেন সমানিত সদস্য
  • ফৌজিয়া করিম ফিরোজ সমানিত সদস্য
  • এরমা দত্ত সমানিত সদস্য

Saturday 20 February 2016

জিগাতলা পিডাব্লিউডি পুকুর সংরক্ষণ প্রসঙ্গে।




বরাবর


ইঞ্জিনিয়ার মোশারফ হোসেন
মাননীয় মন্ত্রী
গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
ঢাকা, বাংলাদেশ

বিষয় :জিগাতলা পিডাব্লিউডি পুকুর সংরক্ষণ  প্রসঙ্গে

জনাব
শুভেচ্ছা নিবেন
অপরিকল্পতি উন্নয়নে ফলে ঢাকা এখন পুকুর শূণ্যজলাশয় সংরক্ষণে আইন থাকার পর পর্যাপ্ত সংরক্ষণ অভাবে যে কিছু  পুকুর আছে তা বিলিন হবার পথেএই পুকুরগুলো যথাযথ সংরক্ষণ করা গেলে একদিকে যেমন প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষা হবেপাশাপাশি স্থানীয় মানুষের পানির চাহিদা পূরণে বিশেষ ভূমিকা রাখবেএই পুকুরগুলো ঘিরে স্থানীয় মানুষের বিনোদন কেন্দ্র হয়ে উঠতে পারেঢাকার ধানমন্ডি জিগাতলা এলাকায় অবস্থিত পিডাব্লিউডি পুকুরটি পর্যাপ্ত সংস্কার ও অব্যবস্থাপনার কারণে বিলিন হবার পথেদীর্ঘদিন সংরক্ষণ অভাবে পুকুরটি দখলের প্রচেষ্টা চলছে


জনস্বার্থে এই পুকুরটি রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের অনুরোধ করছি

ধন্যবাদসহ
  সৈয়দ সাইফুল আলম
০১৫৫২৪৪২৮১৪, shovan1209@yahoo.com
অনুলিপি:

১.      মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ্, সচিব, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
২.      খান মোহাম্মদ বিলালপ্রধান নিবার্হী, দক্ষিণ সিটি করপোরেশন
৩.     আব্দুল মতিন, সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা)
৪.      আবু নাসের খান, চেয়ারম্যান, পরিবেশ বাঁচাও আন্দোল (পবা)

Saturday 13 February 2016

শাহবুদ্দিনদের বাংলাদেশ।

 ঢাকায় টাকা হলে বাঘের দুধ মিলে মুখে মুখে এই কথা থাকলেও।  টাকা থাকলেই ঢাকায় প্রয়োজনের সময় সিএনজি অটো রিক্সা মিলবে তা দাবী করা কঠিন।

ঢাকার রাস্তায় সিএনজি অটো রিক্সা এক ভোগান্তির নাম। এই ভোগান্তি নিরসনে সরকার কাজ করছেন। কিন্তু কোন ভাবেই ভোগান্তি রোধ করা যাচ্ছে না। মিটারের অতিরিক্ত ভাড়া নিতে চালকদের যানজট, শীত, গরম, দুপুরবেলা, বেশি রাত, বেশি ভোর কত শত অযুহাত। সবচেয়ে বেশি অযুহাত মালিক অতিরিক্ত দৈনিক জমা নেয় বিষয়ে। যেহেতু দৈনিক জমা নেওয়ার বিষয়টি সরকার কোন ভাবেই নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না। তাই চালকরাও বাধ্য হয়ে মিটারের অতিরিক্ত ভাড়া নিচ্ছে।

মোবাইল কোর্ট, মন্ত্রীর দৌড় ঝাপ, বিএটির অভিযান, পত্রিকা-টেলিভিশনের ছবি সংবাদ ছাপিয়ে কোন কোন নিস্তার নেই। ঢাকাবাসী অসহায়। হয় চুক্তিতে নয়তো বা মিটারের বেশি অতিরিক্ত ভাড়া দিতে হবে। কাগজে কলমে যাই থাক জনগণকে এটাই ঢাকার রাস্তার নিয়ম। ৬০ ভাগ ভাড়া বেড়ে যাবার পরও মানুষ ভেবেছিল এবার হয়তবা চাইলেই অটো রিক্সা মিলবে । তাদের কে রাস্তায় হতাশ করল চালক-মালিক পক্ষ।

সিএনজি অটো রিক্সার নৈরাজ নিয়ে হাজার খবর পাবেন পত্রিকার পাতায়, টেলিভিশনের সংবাদগুলোতে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে। কোন ভাল খবরই কি নেই ঢাকার অটো রিক্সা নিয়ে?

এমন কোন চালকই নেই, যে মিটারের অতিরিক্ত ভাড়া নেয় না। আপনি যেখানে যেতে চাইবেন সেখানেই আপনাকে নিয়ে যাবে?

এই প্রশ্নের উত্তরে হাজারটা না মাঝে যে দু একটা হ্যাঁ আসতে পারে। মাদারিপুরের মো: শাহবুদ্দিন চাচা  তাদের একজন।
কত বছর এই লাইনে আছেন, তার হিসেব নিজের কাছে মিলানো কঠিন। ঢাকায় সেই বেবি ট্যাক্সি দিয়ে শুরু। ৪০ বছরের বেশি সময় পার হয়ে গেছে। মানুষ ঠকাতে কিংবা জিম্মি করে বেশি আয় করতে চাই না বাবা। মিটারে যা আসে তাতেই খুশি, আয় তো খুবই মন্দ না।

 সকালে একটু তাড়াতাড়ি বের হন তিনি।   দিন শেষে কত মানুষের ঠিক সময় মত অফিস পৌছে দিয়েছেন তার হিসেবেই নাকি তার প্রশান্তি। অফিস টাইমে তিনি কাউকে না বলেন, না। সব গন্তব্যে যেতে রাজি। কিন্তু বয়সের ভারে মাঝে মাঝে কান্তি লাগে। তাই দুপুরটায় বিশ্রাম নেন। তখন মাঝে মাঝে না বলতেই হয়। এই না বলটাতেও ভদ্রলোকের হাজার সংকোচ। খুবই নরম সুরে বলেন বাবা একটু বিশ্রাম নিচ্ছি।

শাহবুদ্দিন চাচা আর তার গাড়ির মালিক দেলোয়ার শুরু করেছেন। মিটারে গাড়ি চালিয়ে যাত্রীকে গন্তব্যে পৌছে দেবার লড়াই। ঢাকা নিয়ে হাজার হতাশার মাঝে শাবুদ্দিনরাই বাংলাদেশ। আপনি যেমন বাংলাদেশ স্বপ্ন দেখেন তেমনি বাংলাদেশ গড়ার কারিগর শাহবুদ্দিন। আসুন একটা ধন্যবাদ নেই এই শাহবুদ্দিন  চাচা কে।  এই ধন্যবাদ না দিলে, আপনি আমি পিছিয়ে পড়ব স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ার লড়াই থেকে।


ধন্যবাদ শাহবুদ্দিন চাচা।
আমরা বিশ্বাস করি আপনি বাংলাদেশ।
শাহবুদ্দিন চাচার মোবাইল ফোন নাম্বার ০১৯৩৪৩০৪০২৭


Wednesday 3 February 2016

সিটিজেন রিয়েল এষ্টেট ব্যাংক নামক একটি ব্যাংকের কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিতকরণ প্রসঙ্গে।

বরাবর
গর্ভনর
বাংলাদেশ ব্যাংক
মতিঝিল,ঢাকা
বিষয় : সিটিজেন রিয়েল এষ্টেট ব্যাংক নামক একটি ব্যাংকের কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিতকরণ প্রসঙ্গে।
জনাব
শুভেচ্ছা নিবেন।
আমি গত কয়েকদিন আগে ব্রাহ্মণবাড়িয়া গোর্কনঘাট এলাকায় সিটিজেন রিয়েল এষ্টেট ব্যাংক নামক একটি ব্যাংকের সাইন বোর্ড দেখি। স্থানীয় লোকজনের সাথে কথা বলে জানি সিটিজেন রিয়েল এষ্টেট ব্যাংক নামে তারা গ্রাহক থেকে আমানত সংগ্রহ করছে। তারা স্থানীয় মানুষের বিদ্যুত বিল গ্রহণ করছে।
আমি বাংলাদেশ ব্যাংকের তালিকাভুক্ত ব্যাংকের তালিকায় এই ব্যাংকটির নাম দেখতে পাইনি। ফলে একজন নাগরিক হিসেবে বিষয়টি আপনাকে অবহিত করছি। ব্যাংকটির অনুমোদিত কিনা জানালে স্থানীয় মানুষজনের আমানত নিশ্চিত হবে।
আমি আস্থা রাখি গ্রাহক স্বার্থরক্ষায় বাংলাদেশ ব্যাংক দ্রুত ব্যবস্থা নিবে।
ধন্যবাদসহ
সৈয়দ সাইফুল আলম

টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য-এসডিজি অর্জন এবং ‘সুস্থ জাতি’ গড়তে আগামী ২৫ বছরের মধ্যে বাংলাদেশ থেকে তামাক নির্মূলের আশা প্রকাশ করায় ধন্যবাদ প্রসঙ্গে

বরাবর
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
প্রধানমন্ত্রী কার্যলয়
ঢাকা ।

বিষয় : টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য-এসডিজি অর্জন এবং ‘সুস্থ জাতি’ গড়তে আগামী ২৫ বছরের মধ্যে বাংলাদেশ থেকে তামাক নির্মূলের আশা প্রকাশ করায় ধন্যবাদ প্রসঙ্গে।

জনাব
শুভেচ্ছা নিবেন।
নানা সীমাবদ্ধতার মাঝেও জনস্বাস্থ্য উন্নয়নে আপনার সরকারের বিভিন্ন ইতিবাচক পদক্ষেপের জন্য ধন্যবাদ জানাই। গত ৩১ জানুয়ারী ২০১৬ রোববার রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে এসডিজি অর্জন নিয়ে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর স্পিকারদের সম্মেলনে  “২০৪০ সালের মধ্যেই বাংলাদেশ থেকে তামাকের ব্যবহার  নির্মূল করা সম্ভব হবে” বলে যে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন তা দেশের তামাক নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

আমরা লক্ষ্য করেছি তামাকের ব্যবহার উল্লেখযোগ্য হারে কমাতে সরকারের পক্ষ থেকে অনেক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। ২০১৩ সালে ধূমপান ও তামাক জাতীয় পণ্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন সংশোধন ও ২০১৫ সালে সংশ্লিষ্ট বিধি প্রণয়ণ  এবং এই আইন-বিধিমালা বাস্তবায়নে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। তারপরও তামাক কোম্পানীগুলো বিভিন্ন ভাবে সরকারে তামাক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমকে বাধাগ্রস্থ করার প্রচেষ্টায় লিপ্ত।

 উল্লেখ্য আগামী ১৯ মার্চ ২০১৬ থেকে দেশের ধূমপান ও তামাক জাতীয় পণ্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন এবং বিধিমালা অনুসারে তামাকজাত দ্রব্যের মোড়কে ছবিসহ সর্তকবাণী আসবে। যা দেশের তামাক নিয়ন্ত্রণে যুগান্তকারী পদক্ষেপ হবে। এ কার্যক্রম বাধাগ্রস্থ করতে কোম্পানীগুলো নানা প্রচেষ্টায় লিপ্ত।

জনগণ হিসেবে আমরা বিশ্বাস করি দেশের  পরিবেশ, কৃষি, অর্থনীতি, জনস্বাস্থ্য রক্ষায় আপনার বলিষ্ঠ পদক্ষেপের মাধ্যমে তামাক কোম্পানীর সকল অপচেষ্টা ব্যর্থ হবে। যথা সময় তামাকজাত দ্রব্যের মোড়কে ছবিসহ সর্তকবাণী প্রচার হবে।

আপনার সুস্বাস্থ্য কামনা করছি।

ধন্যবাদসহ
সৈয়দ সাইফুল আলম
বাসা ৫৮/১, ১লেন কলাবাগান, ধানমন্ডি, ঢাকা
০১৫৫২৪৪২৮১৪
shovan1209@yahoo.com

অনুলিপি :
মাননীয় মন্ত্রী স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
মাননীয় প্রতিমন্ত্রী স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
সচিব, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
রোকসানা কাদের অতিরিক্ত সচিব, স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
সমন্বয়কারী, জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ সেল, স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার

Monday 1 February 2016

গুলশান পার্ক উদ্ধার প্রসঙ্গে।



বরাবর
মাননীয় মেয়র 
আনিসুল হক
উত্তর সিটি করপোরেশন
ঢাকা

বিষয় : গুলশান পার্ক উদ্ধার প্রসঙ্গে।

জনাব
শুভেচ্ছা নিবেন। গুলশান পার্কটি অনেকদিন একটি বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের দখলে ছিল। পরে পার্কটি উদ্ধার করা হয়। কিন্তু বর্তমানে নতুন করে একটি ক্লাবের সাইন বোর্ড পার্কের বিভিন্ন স্থানে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। একটি স্থাপনাও তৈরি করা হয়েছে পার্কের ভিতরে। বিগত সময়ে লক্ষ্য করা গেছে যে পার্কগুলোতে একটি ক্লাব বা সংগঠনের সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে রাখা হয়। তারপর ধীরে ধীরে পার্ক,মাঠটি তাদের দখলে নিয়ে নেয়। ফলে স্থানীয় শিশু-কিশোরদের খেলাধূলার সুযোগ বঞ্চিত হয়। বিনোদনের সুযোগের অভাবে শিশুরা ক্রমেই মাদক ও অন্যান অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে।


এমতবস্থায় নাগরিক সুবিধার কথা বিবেচনা করে আপনি পার্কটি রক্ষায় যথাযথ ভূমিকা নিবেন। আমরা বিশ্বাস করি অন্য কোন প্রতিষ্ঠান নয় বরং ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এই পার্কটি রক্ষনাবেক্ষনে সক্ষম।


ধন্যবাদসহ
সৈয়দ সাইফুল আলম
পরিবেশকর্মী

অনুলিপি
১.    চেয়ারম্যান রাজউক
২.    পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন
৩.    বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন
৪.    বাংলাদেশ পরিবেশ আইনজীবি সমিতি
 

Sunday 31 January 2016

ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালকে স্বাধীনতা পদক/একুশে পদক প্রদান প্রসঙ্গে।

বরাবর
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়
ঢাকা, বাংলাদেশ।


বিষয় : ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালকে স্বাধীনতা পদক/একুশে পদক প্রদান প্রসঙ্গে।

জনাব
শুভেচ্ছা নিবেন।  নানা সীমাবদ্ধতার মাঝেও দেশের চিকিৎসা সেবায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল আস্থার নাম। গভীর রাত, ভোর, দুপুর, হরতাল, বন্যা, বিত্তবান-বিত্তহীন, সজ্ঞান-অজ্ঞান কারো জন্য এই হাসপাতালের দরজা বন্ধ হয় না। গত ৬৭বছরে এই হাসপাতাল কত কোটি পরিচয়হীন আর ভারী পরিচয়যুক্ত মানুষের সুখ,দু:খের সাথী হয়েছে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল তার হিসেব কোথাও নেই। মাত্র দুই হাজারের মত কর্মকর্তা কর্মচারী দিয়ে বছরে এখনও ১০ লরে বেশি মানুষকে সরাসরি সেবা দেয় এই হাসপাতালটি।

শুধু জনস্বাস্থ্যই নয়, ভাষা আন্দোলন, ষাটের দশকে ছাত্র ও জাতীয় রাজনীতিতে, মুক্তিযুদ্ধ, স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ছাত্র,চিকিৎসক,কর্মকর্তা,কর্মচারীরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। দেশের প্রয়োজনে অস্ত্র হাতে যোদ্ধা, জনস্বাস্থ্য রক্ষায় চিকিৎস, দেশের গঠনের অসংখ্য কারিগর তৈরির কারখানা এই ঢামেক।

সীমিত লোকবল, সীমিত সম্পদ এর পাশাপাশি নানাবিধ সমস্যার কারণে এই রাষ্ট্রায়ত্ত্ব হাসপাতালের সেবা নিয়ে প্রতিনিয়ত প্রশ্ন উঠে। তথাপি গরীব সাধারণ মানুষের চিকিৎসায় আশ্রয়স্থল হাসপাতাল। রাষ্ট্রীয় এই হাসপাতাল সেবা নিয়ে নানা ধরনের অভিযোগ রয়েছে , কিন্তু সেবা প্রদানের নূন্যতম স্বীকৃতি নেই।

ভাষা আন্দোলন, ষাটের দশকে ছাত্র ও জাতীয় রাজনীতি, মুক্তিযুদ্ধ, স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনসহ দেশের জনস্বাস্থ্য রক্ষায় স্বীকৃতি সরূপ ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের অবদানের জন্য এই হাসপাতালকে স্বাধীনতা পদক / একুশে পদক প্রদান করা হোক। এক ধরনের ইতিবাচক স্বীকৃতি তাদেরকে জনগণকে আন্তরিক সেবাদানে আরো উদ্ধুদ্ধ করবে।

আমরা বিশ্বাস করি আপনার বলিষ্ঠ নেতৃত্ব আর জনগণের দায়িত্বশীল আচরণ ও ভালবাসায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসা কার্যক্রম আরো গতিশীল হয়ে উঠবে।

অনুলিপি :
১.    মাননীয় মন্ত্রী স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
২.     সিনিয়র সচিব, মন্ত্রী পরিষদ বিভাগ, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
৩.    সচিব, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
৪.    মহাপরিচালক, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
৫.    মহাপরিচালক, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল


ধন্যবাদসহ
সৈয়দ সাইফুল আলম
০১৫৫২৪৪২৮১৪