শুভেচ্ছা নিবেন। আমি গত ৩ ফেব্রুয়ারিতে একটি ইমেলের মাধ্যমে আপনার কাছে
সিটিজেন রিয়েল এস্টেট ব্যাংক নামক একটি
বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদনহীন ব্যাংককিং কার্যক্রম
বিষয়ক লিখিত অভিযোগ দেই। পরর্বতিতে
আমি কয়েকবার ফোনে যোগাযোগ করি এবং চিঠি দিয়েছি। কিন্তু আশা অনুরূপ কোন অগ্রগতির খবর না পেয়ে আপনার অফিসে সশরীরে লিখিত অভিযোগ দেওয়ার জন্য যাই। যাবার পর শুনতে পাই আপনি চিঠিটি সংশ্লিষ্ট বা দায়িত্বশীল
বিভাগে পাঠিয়ে দিয়েছেন। আমাকে সেই বিভাগে যোগাযোগের জন্য বলা হয়। আমি যখন ঐ বিভাগে যাই তখন হতাশ হই তাদের আচরণে। কারণ কর্তৃপক্ষকে যখনই জিজ্ঞাসা করলাম এই চিঠির বিষয়ে ।তখন তারা আমাকে প্রশ্ন করে আপনার বাড়ি কোথায়? আপনি কি কেন অভিযোগ করেছেন? আপনার
লাভ কি? কোন সুবিধা কি ব্যাংক থেকে পাননি ? আপনি টাকা জমা রাখেনি তাতে
আপনার সমস্যা কি?
আমি ধর্য্য এবং আন্তরিকতার
সাথে তাদের প্রশ্নের উত্তর দিয়েছি। আমি
তাদের বুঝাতে চেয়েছি যে আমি সাধারন
আমাতনকারীদের পক্ষে,
তাই অভিযোগ করেছি। যদি ব্যাংকটি কার্যক্রম বৈধ হয় তবে আমার কোন আপত্তি নেই। কিন্তু বাংলাদেশ ব্যাংকের তালিকায় এই
ব্যাংকটি নাম নেই তাই অবহিত করেছি। তাদের
কয়েকজন যেমন সহযোগিতা করল আর কয়েকজনের আচরণে আমি
ক্ষুব্ধ। কারণ আমার ধারনা ঐ ব্যাক্তিদের যথাযথ নিয়ম জানা প্রয়োজন। যিনি দায়িত্বশীল ছিলেন তিনি আমাকে বলেছেন যে আমি যেন ঐ ব্যাংকে যাই এবং গ্রাহকদের সকল তথ্য
সংগ্রহ করি। তারপর তারা কোন ব্যাংকের তাদের আমানত রাখে তার বিবরণ সংগ্রহ করি। একজন ব্যক্তি বা
প্রতিষ্ঠানের হিসাব বিবরনি আমি কি করে সংগ্রহ করতে পারি? পাশাপাশি বাংলাদেশ ব্যাংকের মত
একটি দায়িত্বশীল প্রতিষ্ঠানের অবশ্য গ্রাহকদের মতামতকে প্রাধান্য দেওয়া উচিত। তাদের বিশ্বাস রাখা উচিত যে আমাদের মত হাজার হাজার মানুষের সহযোগিতা হাত প্রশস্ত করলে তাদের কার্যক্রম
আরো নিরবিচ্ছিন্ন হবে।
আমি আসার আগে তারা জানায় যে
তারা এই বিষয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত নয়। আপনি
তাদের তদন্তের জন্য ভুল জায়গায় চিঠিটি
পাঠিয়েছেন। মাননীয় মেয়র আমি অনুরোধ করছি আপনি সময় করে চিঠিটি সঠিক স্থানে পাঠান। হাজার কোটি টাকার দূনীতির বিষয় আপনি সামাল দিচ্ছেন । এই মূহুর্তে এই ছোট বিষয়টি হয়তবা খুবই ছোট। কিন্তু আমার এলাকার
সাধারন মানুষগুলো এই শত টাকার দু:খ কোটি টাকা ছাপিয়ে যাবে। কারণ তাদের সারাজীবনের আয়ই কয়েক হাজার
টাকা। আর সেই টাকা যদি এই রকম প্রতারকদের কাছে চলে যায়। তবে তারা নিরুপায়।
আমি জানি আপনি
আপনার প্রতিষ্ঠানের ঐ কমকতাদের মত বলবেন না। যে মানুষগুলো ধরা খাওয়া উচিত। কারণ
আপনি আপনার জীবনের একটি বড় অংশ গ্রামে কাটিয়েছে। আর তাই আপনি বুঝে মানুষগুলো খুবই
সাধারণ। সহজেই অন্যের কথায় বিশ্বাস করে প্রতারিত হয়।
আমি আপনার প্রতিষ্ঠানের
কয়েকজন কর্মকর্তা পরামর্শ ক্রমে স্থানীয় প্রশাসনকে অবহিত করি। এবং
তার অনুলিপিও আপনাকে প্রেরণ করেছি। কিন্তু
তারা বাংলাদেশ ব্যাংকের চিঠি ছাড়া কোন প্রকার উদ্দ্যোগ নিতে অপারগ বলে আমাকে অবহিত করেছে। তাই আপনার সুবিধামত সময়ে এই বিষয়টি গুরুত্বসহকারে দেখার জন্য অনুরোধ করছি। পাশাপাশি আপনার প্রতিষ্ঠানের যদি এটি এখতিয়ারে না থাকে । তবে কাদের এখতিয়ারে আছে তা জানানো কিংবা ঐ প্রতিষ্ঠানে চিঠিটি প্রেরণ করে গ্রামবাসীর আমানত সুরক্ষায়
পদক্ষেপ গ্রহণের
অনুরোধ করছি। বাংলাদেশ ব্যাংকের মত একটি দায়িত্বশীল ও
আমি আপনার সুস্বাস্থ্য কামনা করছি।
No comments:
Post a Comment