Thursday 27 September 2012




পরিবেশ, স্বাস্থ্য, জ্বালানী ও যাতায়াত খরচ বিবেচনায়
সাইকেলে চলাচলের উপযোগী পরিবেশ সৃষ্টি জরুরী 


প্রতিদিন ৩০ মিনিট অথবা বছরে ২১০০ কিমি সাইকিং করলে ৫০ ভাগ মুটিয়ে যাওয়া, ৩০ ভাগ ব্লাড প্রেসার, ৫০ ভাগ হৃদরোগ, ৫০ ভাগ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি হ্রাস পায়। সাইকেল দূষণ ও জ্বালানীমুক্ত বাহন। সাইকেলে চলাচলে খুবই কম জায়গা লাগে। এজন্য সাইকেলে চলাচলের উপযোগী পরিবেশ সৃষ্টি করা জরুরী।

 সাইকেলে চলাচল উপযোগি পরিবেশ আজ সময়ের দাবী। সাইকেল ব্যবহার না করার ফলে নানা রকম স্বাস্থ্য সমস্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। স্বল্প দূরত্বে যাতায়াত হয় ঢাকায়। তাই ঢাকায় মানুষ হেটে ও সাইকেলে যাতায়াত করতে পারে। এজন্য সাইকেলে চলাচল উপযোগী পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে।  

 বর্তমানে বিশ্ব জলবায়ু পরিবর্তনের কারণ অধিক হারে কার্বন-ডাই-অক্সাইড নির্গমণ। যান্ত্রিক যানবাহনের ব্যবহার বৃদ্ধি যার অন্যতম কারণ। যান্ত্রিক যানবাহনের নিয়ন্ত্রিত ব্যবহার দূষণ ও জ্বালানীর ব্যবহার নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখবে। সাইকেলের পাশাপাশি হাঁটা ও পাবলিক বাসে চলাচলের সুবিধা বৃদ্ধি ব্যক্তিগত গাড়ির উপর নির্ভরশীলতা কমাতে সাহায্য করবে। বিশ্বে অনেক উন্নত দেশে নগরভিত্তিক যাতায়াত ব্যবস্থায় সাইকেলে চলাচলে উৎসাহিত করতে পৃথক লেন, পথ ও স্ট্যান্ড তৈরিসহ বিভিন্ন ধরনের সুযোগ-সুবিধা প্রদান করা হচ্ছে। যা প্রতি বছর সাইকেলের ব্যবহার বৃদ্ধি করছে। আমাদের দেশেও সাইকেলে নিরাপদভাবে চলাচলের জন্য প্রয়োজনীয় পদপে গ্রহণের মাধ্যমে পরিবহণ ব্যবস্থায় দীর্ঘস্থায়ী উন্নয়ন করা সম্ভব।

এছাড়া জাতীয় সাইকিং দিবস ঘোষনা ও সাইকেলে চলাচল উপযোগী পরিবেশের তৈরি, ১৮ সেপ্টেম্বর জাতীয় সাইকিং দিবস ঘোষনা করা; শহরের সর্বত্র সাইকেলে চলাচলের জন্য নেটওয়ার্ক তৈরি করা; সাইকেলের জন্য পৃথক লেন ও পথ তৈরি করা; সাইকেলের জন্য স্ট্যান্ড তৈরি করা; সাইকেলের উপর আরোপিত কর কমানো; ফ্রি সাইকেল সার্ভিস চালু করা; “বাইক এন্ড রাইড সিস্টেম” চালু করা; পথচারী, রিকশা ও পাবলিক বাসে চলাচলের উপযোগী পরিবেশ সৃষ্টি করা এবং প্রাইভেট কার নিয়ন্ত্রণ করা প্রয়োজন।



No comments:

Post a Comment