Wednesday 5 February 2014

তামাকজাত দ্রব্যের মোড়কে ছবিসহ স্বাস্থ্য সতর্কবাণীর প্রচলন দ্রুত করতে হবে।


তামাকজাত দ্রব্যের মোড়কে ছবিসহ স্বাস্থ্য সতর্কবাণীর প্রচলন দ্রুত করতে হবে।

মানবদেহে ক্যান্সার সৃষ্টির অন্যতম প্রধান কারণ ধূমপানসহ তামাক ব্যবহার। প্রতিবছর পৃথিবীতে প্রায় ৮২ ল মানুষ ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মারা যায়। বাংলাদেশে প্রতিবছর ১২ ল মানুষ ক্যান্সারসহ তামাক ব্যবহারজনিত প্রধান ৮টি রোগে আক্রান্ত হয়। এর মধ্যে ৫৭ হাজার মানুষ মৃত্যুবরণ করে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গবেষণায় বলা হয়েছে; বিড়ি-সিগারেটসহ তামাকজাত দ্রব্যে প্রায় ৪ হাজারেরও বেশী তিকর রাসায়নিক পদার্থ রয়েছে; যার মধ্যে ৪৩ টি সরাসরি ক্যান্সার সৃষ্টির সঙ্গে জড়িত। ক্যান্সার নিয়ন্ত্রণে তামাকের ব্যবহার কমিয়ে আনা এবং তামাকজাত দ্রব্যের মোড়কে ছবিসহ স্বাস্থ্য সতর্কবাণী থাকা আবশ্যক। 

ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগীর চিকিৎসা খরচ খুবই বেশী। এছাড়া প্রাথমিক অবস্থায় ক্যান্সার সনাক্ত না হলে এ রোগে আক্রান্ত রোগীর চিকিৎসা করেও রোগীকে বাচানো সম্ভব হয় না। তাই চিকিৎসা ব্যবস্থার চাইতে ক্যান্সার প্রতিরোধকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিতে হবে। ক্যান্সারের অন্যতম কারণ তামাক ব্যবহার। এ ল্েয তামাকের ব্যবহার নিরুৎসাহিতকরণ এবং ক্যান্সার প্রতিরোধে বিড়ি-সিগারেটসহ তামাকজাত দ্রব্যের মোড়কে ছবিসহ সতর্কবাণীর প্রচলন দ্রুত করা জরুরি ।

 ক্যান্সার নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজন প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহন করা। এজন্য তিকর তামাক, মাদকের ব্যবহার কমাতে কার্যকর পদপে নিতে হবে। বিড়ি-সিগারেটের প্যাকেটে ছবিসহ সতর্কবাণী প্রচলন দ্রুত করা জরুরি। মাদক ব্যবসা ও চোরাচালানের সঙ্গে জড়িতদের কঠোর সাজা নিশ্চিত করতে হবে। 

ক্যান্সার নিয়ন্ত্রণে সব বয়সী মানুষের শারীরিক পরিশ্রম বাড়াতে হবে। পর্যাপ্ত শারীরিক পরিশ্রম ক্যান্সারের ঝুঁকি হ্রাসে সহায়ক। শহরের সবজায়গায় হাঁটার উপযোগী পরিবেশ তৈরি করতে হবে। মানুষকে শারীরিক পরিশ্রমে উদ্বুদ্ধ করার জন্য উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করতে সরকারের যথাযথ পদপে গ্রহন করতে হবে। ক্যান্সার নিয়ন্ত্রণে মাদকসহ ক্ষতিকর কোমল পানীয়-ফাস্ট ফুড ও জাঙ্ক ফুড সামগ্রীর বিজ্ঞাপন ও প্রচারণা নিষিদ্ধ করতে হবে। এজন্য সরকারকে কঠোর হতে হবে। এছাড়া এসব তিকর সামগ্রীর ওপর উচ্চহারে কর বাড়াতে হবে। 

 ক্যান্সার প্রতিরোধে তামাক ও মাদক ব্যবহার, ফাস্টফুড-জাঙ্কফুড-কোমল পানীয় নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি তাজা শাকসব্জি ও ফলমূল খেতে শিশু-কিশোরসহ সব বয়সী মানুষকে উৎসাহী করে তুলতে হবে। মানুষতে খেলাধুলা, হাঁটা ও সাইকেল চালনায় উৎসাহী করে তুলতে হবে। এজন্য খেলার মাঠ, পার্ক, ফুটপাথের পরিবেশ উন্নত ও সাইকেল লেন গড়ে তোলার প্রতি মনোনিবেশ করতে হবে। 

No comments:

Post a Comment