Thursday 27 February 2014

সমর্থক গোষ্ঠীর অপরিপক্ক দেশপ্রেমের সাথে যদি ধর্ম যোগ হয়। তবে বিদ্বেষ ছড়াতে খেলাধূলা থেকে ভয়ানক কিছু নেই দুনিয়াতে।

এক দেশের সঙ্গে অন্যদেশে খেলাধূলা আয়োজনের অন্যতম উদ্দেশ্য দু দেশের সম্পর্কের উন্নয়ন। দুনিয়াব্যাপী খেলাধূলা আয়োজকদের আয়োজনের এই উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য ব্যাপক পরিবর্তন হয়েছে। এখন পাকিস্তানের ভারত খেলা মানে দুইদেশের বোমারু বিমানগুলো আর একবার রণসাজে যুদ্ধে যাওয়ার প্রস্তুতি।

বাংলাদেশ/পাকিস্তান, ভারত/পাকিস্তানের খেলা মানে ফেবুর পাতায় পাতায় পাকিস্তানের/ভারতের পতাকার উপর মুতে দেশেপ্রেমের প্রকাশ।

যেখানে উদ্দেশ্য ছিল এই খেলাধূলাকে কেন্দ্র করে দুইদেশের মধ্যে সর্ম্পকের উন্নয়ন হবে। সেখানে এই খেলাধূলাকে পুজিঁ করে। রাষ্ট্রের সঙ্গে রাষ্ট্রের যে সর্ম্পকের সূচনা হচ্ছে তাতে ফলাফল রাষ্ট্রগুলোর জাতীয় বাজেটে হাজার কোটি টাকার অস্ত্রের খাত বাড়ার পক্ষে জন সমর্থন বাড়ে।

বছর কয়েক পর যদি খেলার বিরতীর মাঝে বড় বড় অস্ত্র কোম্পানীর বিজ্ঞাপন দেখা যায়। তবে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। কারণ ক্রীড়া আসর মানেই দেশপ্রেম পুজিঁ করে দুদেশের পতাকায় মুতামুতি। যুদ্ধ বিমানের ছুটাছুটির কিংবা আর একটা হিন্দু পরিবার দেশ ছাড়ার প্রস্তুতি।

সমর্থক গোষ্ঠীর অপরিপক্ক দেশপ্রেমের সাথে যদি ধর্ম যোগ হয়। তবে বিদ্বেষ ছড়াতে খেলাধূলা থেকে ভয়ানক কিছু নেই দুনিয়াতে।

No comments:

Post a Comment