Tuesday 6 January 2015

সুন্দরবন নিয়ে বন্ধুদের সুন্দর স্বপ্নটা বাঁচিয়ে রাখতে এগিয়ে আসুন।

সুন্দরবন ইস্যুটা চাপা পড়ে গেল। কিন্তু কয়েকটা ছেলে-মেয়ে এখনো সুন্দরবন থেকে ফিরেনি। দিনের পর দিন সুন্দরবন এলাকা থেকে গ্রামবাসীর সহযোগিতায় তেলের বর্জ্য সংগ্রহ করছে।

বিপুল পরিমাণ তেল চুপচুপে কচুরিপানা এবং ডালপালা-শিকড় নদী থেকে তুলে এনে যেখানে সেখানে স্তুপ করে ফেলে রাখা হয়েছিল, কিছু মাটিচাপা দেয়া হয়েছিল বনবিভাগের ব্যবস্থাপনায়। @Anusheh Anadil, @Tanjilur Rahman এবং তাঁদের বন্ধুরা মিলে এই বাঁশের মাচাগুলো বানিয়ে চারিদিকে ছড়িয়ে পড়া থেকে রক্ষা করেছেন। তাদের সংগ্রহে এখন প্রায় প্রায় ২০টন বর্জ্য হয়েছে। এই বর্জ্যগুলোর সঠিক ব্যবস্থাপনার দরকার।

কোন ভাবে মাটির নিচে পুতে ফেলে স্থানীয় মানুষের ভূগর্স্থ পানি ও মাটি দূষিণত করা যাবে না । তাছাড়া বর্ষায় যদি নদী/খালে আবার মিশে যায় বর্জ্য। তবে তা বর্জন করতে হবে।

আগুনে পুড়াতে চাইলে কোথায় পুড়তে হবে। কিভাবে পুড়তে হবে। কিভাবে পোড়ালে স্বাস্থ্য ও পরিবেশের ঝুঁকি কমবে? এগুলো হল প্রশ্ন। এই প্রশ্নের উত্তর চায় আমাদের সুন্দরবনের অবস্থানকারী বন্ধুরা।

সুন্দরবন মানে বাঘ, কুমির, ডলফিনের বন নয়। সুন্দরবন ঘিরে থাকা মানুষগুলো, নদীর পাড়ের ছোট মাছরাঙা, ছোট ছোট কীটপতঙ্গগুলোরও বন সুন্দরবন। সুতরাং সুন্দরবনের আশে পাশে এই বর্জ্যগুলো সঠিক ব্যবস্থাপনার আগে বাঘ, কুমির, ডলফিনের পাশাপাশি সুন্দরবনের আশেপাশে বসবাসকারী মানুষগুলোর স্বাস্থ্য, কৃষি, খাদ্য নিরাপত্তার কথা কথা বিবেচনায় আনতে হবে।

যে মানুষগুলো সুন্দরবনে তেল কাদায় মাখামাখি করে বর্জ্যগুলো সংগ্রহে ব্যস্ত। তারা কেউ কিন্তু সেচ্ছাসেবি প্রতিষ্ঠান কিংবা সুন্দরবন তাদের কারো বসতি নয়। তবুও নাড়ীর টান। কারণ এই মানুষগুলো বিশ্বাস করে তারা প্রকৃতির সন্তান।

এই মানুষগুলো বিশ্বাস করে আধুনিকতা, জ্ঞান, উন্নয়ন, প্রযুক্তির উদ্দেশ্য হল প্রকৃতিকে বশে আনা কিংবা প্রকৃতি থেকে বিছিন্ন হওয়ার প্রচেষ্টা নয়। প্রকৃতির কাছাকাছি বসবাস আর অভ্যস্থ হয়ে উঠার নামই টেকসই উন্নয়ন। তাই তারা প্রকৃতির পক্ষে লড়ে।

আমি আপনি হয়তো সুন্দরবন যেতে পারিনি। কিন্তু যে ছেলে মেয়েগুলো স্থানীয় গ্রামবাসীর সহযোগিতায় এত বড় একটা কাজ করেছে। তাদের পাশে তো দাড়াতে পারি।

আমরা তো বলতেই পারি সাড়ে তিন লাখ লিটার তেল ব্যবস্থাপনার সামর্থ্য আমাদের নেই। কিন্তু ২০টন বর্জ্য ব্যবস্থাপনার শক্তি কি আমাদের নেই? যদি শক্তি না থাকে, আমাদের শক্তি অর্জন করতে হবে। কারণ দূর্যোগ মোকাবেলার শক্তি আমাদেরই অর্জন করতে হবে।

আর এই শক্তি অর্জনে যে মানুষগুলো এগিয়ে আসে রাষ্ট্রের দূযোর্গে সবার আগে। তাদের সমর্থন জানানো, সাহস জোগানো অন্যতম কাজ। আমার বিশ্বাস করি তরুনা পরিবর্তন আনবে । যদি এই তরুনদের কর্মকান্ডে আপনি যুক্ত না হন । তবে কি করে পরিবর্তন আসবে।

কোন আর্থিক সহযোগিতা নয়। আমরা বন্ধুরা ‍সুন্দরবনে অপেক্ষায় আছে কি করে বর্জ্যগুলো পরিবেশসম্মত ব্যবস্থাপনা করতে পারে। আসুন মতামত দিয়ে তাদের সহযোগিতা করি।

No comments:

Post a Comment